ঢাকা , রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
সাবেক সাংসদ সেলিমা আহমাদ মেরীর সাথে পর্তুগাল আওয়ামিলীগের মতবিনিময় সভা কুলাউড়ার হাজীপুরে বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার ১২ ঘন্টার মধ্যেই দুজন গ্রেফতার কুলাউড়ার হাজীপুর ইউনিয়নে প্রতিপক্ষের হামলায়  আছকির মিয়া (৫০)নিহত  হয়েছেন। বর্ণাঢ্য আয়োজনে পর্তুগাল বিএনপির আহবায়ক কমিটির অভিষেক ও পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত। সিলেট বিভাগের শ্রেষ্ঠ মাদ্রাসা প্রধান নির্বাচিত হলেন অধ্যক্ষ মাওলানা বশির আহমদ মুসলিম কমিউনিটি মৌলভীবাজার এর কমিটি গঠন পবিত্র কাবা থেকে বদরের প্রান্তরে… কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরিফুল আলম কে সংবর্ধনা দিয়েছে মনফালকনে গরিজিয়া বিএনপি ইতালির মিলানে রকমারি সাজে নানান আয়োজনে প্রবাসীদের বৈশাখী অনুষ্ঠান সম্পন্ন বর্তমান পরিস্থিতির উপর দেশবাসীকে যে বার্তা দিলেন শায়খ নূরে আলম হামিদী

বড়লেখায় ২০ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় অবৈধ মহিষ আটক

বড়লেখা প্রতিনিধি
  • আপডেটের সময় : ০৫:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুন ২০২০
  • / ৪৮৬ টাইম ভিউ

বড়লেখা উপজেলার বোবারথল সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে আসা ২০ লক্ষাধিক টাকার ৩০টি ভারতীয় অবৈধ মহিষ আটক করেছে ৫২ বিজিবি। উপজেলার সদর ইউনিয়নের গঙ্গারজল এলাকায় ২৫ জুন বৃহস্পতিবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবি এ অভিযান চালায়। এসময় মহিষ পাচারকারীরা পালিয়ে যায়। বিকেলে বিজিবি জুড়ী কাস্টমস অফিসে মহিষগুলো জমা দিয়েছে।
জানা গেছে, ভারতের আসাম রাজ্যের করিমগঞ্জ জেলার কয়েকটি থানার সাথে বড়লেখা উপজেলার অন্তত ৩০ কি. মিটার সীমান্ত রয়েছে। এ সীমান্তের বোবারথল, বিওসিটিলা, পেকুছড়াসহ কয়েকটি স্পটকে ট্রানজিট রোড হিসেবে প্রভাবশালী চোরাকারবারী সিন্ডিকেট ভারতীয় গরু-মহিষ, মদ, মোটরসাইকেল, সিগারেট, নাসির উদ্দিন বিড়িসহ বিভিন্ন অবৈধ পণ্য পাচার করছে।
বিজিবি তৎপর হওয়ায় দীর্ঘদিন ভারতীয় মহিষ পাচার বন্ধ থাকে। পরবর্তীতে সীমান্তরক্ষীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে চোরাকারবারীরা করোনা সংক্রমণের আশংকার মধ্যেও মহিষ পাচার শুরু করে। মধ্যে কিছু দিন বন্ধ থাকলেও গত প্রায় ১ মাস ধরে চোরাকারবারীরা আবার বেপরোয়া হয়ে উঠে। ভারতীয় ও বড়লেখার পাচারকারী সিন্ডিকেট প্রতিদিন ৫০ থেকে ২০০টি পর্যন্ত ভারতীয় মহিষ বড়লেখার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে দেশের অভ্যন্তরে আনতে থাকে। বিজিবি’র জুড়ী কোম্পানী কমান্ডার গোপন তথ্যে জানতে পারেন বড়লেখা সীমান্তের মেইন পিলার ১৩৮২/৪-এস সংলগ্ন এলাকা দিয়ে একটি বড় ধরনের মহিষের চালান দেশে ঢুকেছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে জুড়ী কোম্পানীর টহল কমান্ডার সুবেদার মো. ইমাম হোসেনের নেতৃত্বে জুড়ী বিওপি’র টহল দলসহ পাশ্বর্বতী বিওসিটিলা, লাতু এবং বোবারথল বিওপি’র ২৪ জন বিজিবি সদস্য বৃহস্পতিবার সকালে মেইন পিলার পিলার ১৩৮২/৪-এস হতে ৭ কি. মিটার অভ্যন্তরে বড়লেখা উপজেলার গঙ্গারজল নামক স্থানে অবস্থান নেন। শতাধিক ভারতীয় মহিষের পাল নিয়ে চোরাচালানীরা অগ্রসর হলে বিজিবি তাদেরকে ধাওয়া করে ৩০ টি মহিষ আটক করেছে।
বিজিবি ৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল গাজী শহীদুল্লাহ জানান, বিজিবি’র উপস্থিতি টের পেয়ে ঝোপঝাড়ের মধ্যে মহিষ পেলে চোরাকারবারীরা পালিয়ে যায়। এসময় বিজিবি ৩০টি ভারতীয় অবৈধ মহিষ আটক করেছে, যার সিজার মূল্য ১৮ লাখ ২০ হাজার টাকা। আটক ভারতীয় অবৈধ মহিষগুলো বৃহস্পতিবার বিকেলে জুড়ী কাস্টমস অফিসে জমা দিয়েছে বিজিবি।

পোস্ট শেয়ার করুন

বড়লেখায় ২০ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় অবৈধ মহিষ আটক

আপডেটের সময় : ০৫:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুন ২০২০

বড়লেখা উপজেলার বোবারথল সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে আসা ২০ লক্ষাধিক টাকার ৩০টি ভারতীয় অবৈধ মহিষ আটক করেছে ৫২ বিজিবি। উপজেলার সদর ইউনিয়নের গঙ্গারজল এলাকায় ২৫ জুন বৃহস্পতিবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবি এ অভিযান চালায়। এসময় মহিষ পাচারকারীরা পালিয়ে যায়। বিকেলে বিজিবি জুড়ী কাস্টমস অফিসে মহিষগুলো জমা দিয়েছে।
জানা গেছে, ভারতের আসাম রাজ্যের করিমগঞ্জ জেলার কয়েকটি থানার সাথে বড়লেখা উপজেলার অন্তত ৩০ কি. মিটার সীমান্ত রয়েছে। এ সীমান্তের বোবারথল, বিওসিটিলা, পেকুছড়াসহ কয়েকটি স্পটকে ট্রানজিট রোড হিসেবে প্রভাবশালী চোরাকারবারী সিন্ডিকেট ভারতীয় গরু-মহিষ, মদ, মোটরসাইকেল, সিগারেট, নাসির উদ্দিন বিড়িসহ বিভিন্ন অবৈধ পণ্য পাচার করছে।
বিজিবি তৎপর হওয়ায় দীর্ঘদিন ভারতীয় মহিষ পাচার বন্ধ থাকে। পরবর্তীতে সীমান্তরক্ষীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে চোরাকারবারীরা করোনা সংক্রমণের আশংকার মধ্যেও মহিষ পাচার শুরু করে। মধ্যে কিছু দিন বন্ধ থাকলেও গত প্রায় ১ মাস ধরে চোরাকারবারীরা আবার বেপরোয়া হয়ে উঠে। ভারতীয় ও বড়লেখার পাচারকারী সিন্ডিকেট প্রতিদিন ৫০ থেকে ২০০টি পর্যন্ত ভারতীয় মহিষ বড়লেখার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে দেশের অভ্যন্তরে আনতে থাকে। বিজিবি’র জুড়ী কোম্পানী কমান্ডার গোপন তথ্যে জানতে পারেন বড়লেখা সীমান্তের মেইন পিলার ১৩৮২/৪-এস সংলগ্ন এলাকা দিয়ে একটি বড় ধরনের মহিষের চালান দেশে ঢুকেছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে জুড়ী কোম্পানীর টহল কমান্ডার সুবেদার মো. ইমাম হোসেনের নেতৃত্বে জুড়ী বিওপি’র টহল দলসহ পাশ্বর্বতী বিওসিটিলা, লাতু এবং বোবারথল বিওপি’র ২৪ জন বিজিবি সদস্য বৃহস্পতিবার সকালে মেইন পিলার পিলার ১৩৮২/৪-এস হতে ৭ কি. মিটার অভ্যন্তরে বড়লেখা উপজেলার গঙ্গারজল নামক স্থানে অবস্থান নেন। শতাধিক ভারতীয় মহিষের পাল নিয়ে চোরাচালানীরা অগ্রসর হলে বিজিবি তাদেরকে ধাওয়া করে ৩০ টি মহিষ আটক করেছে।
বিজিবি ৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল গাজী শহীদুল্লাহ জানান, বিজিবি’র উপস্থিতি টের পেয়ে ঝোপঝাড়ের মধ্যে মহিষ পেলে চোরাকারবারীরা পালিয়ে যায়। এসময় বিজিবি ৩০টি ভারতীয় অবৈধ মহিষ আটক করেছে, যার সিজার মূল্য ১৮ লাখ ২০ হাজার টাকা। আটক ভারতীয় অবৈধ মহিষগুলো বৃহস্পতিবার বিকেলে জুড়ী কাস্টমস অফিসে জমা দিয়েছে বিজিবি।