ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

বড়লেখায় ২০ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় অবৈধ মহিষ আটক

বড়লেখা প্রতিনিধি
  • আপডেটের সময় : ০৫:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুন ২০২০
  • / ৫৩০ টাইম ভিউ

বড়লেখা উপজেলার বোবারথল সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে আসা ২০ লক্ষাধিক টাকার ৩০টি ভারতীয় অবৈধ মহিষ আটক করেছে ৫২ বিজিবি। উপজেলার সদর ইউনিয়নের গঙ্গারজল এলাকায় ২৫ জুন বৃহস্পতিবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবি এ অভিযান চালায়। এসময় মহিষ পাচারকারীরা পালিয়ে যায়। বিকেলে বিজিবি জুড়ী কাস্টমস অফিসে মহিষগুলো জমা দিয়েছে।
জানা গেছে, ভারতের আসাম রাজ্যের করিমগঞ্জ জেলার কয়েকটি থানার সাথে বড়লেখা উপজেলার অন্তত ৩০ কি. মিটার সীমান্ত রয়েছে। এ সীমান্তের বোবারথল, বিওসিটিলা, পেকুছড়াসহ কয়েকটি স্পটকে ট্রানজিট রোড হিসেবে প্রভাবশালী চোরাকারবারী সিন্ডিকেট ভারতীয় গরু-মহিষ, মদ, মোটরসাইকেল, সিগারেট, নাসির উদ্দিন বিড়িসহ বিভিন্ন অবৈধ পণ্য পাচার করছে।
বিজিবি তৎপর হওয়ায় দীর্ঘদিন ভারতীয় মহিষ পাচার বন্ধ থাকে। পরবর্তীতে সীমান্তরক্ষীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে চোরাকারবারীরা করোনা সংক্রমণের আশংকার মধ্যেও মহিষ পাচার শুরু করে। মধ্যে কিছু দিন বন্ধ থাকলেও গত প্রায় ১ মাস ধরে চোরাকারবারীরা আবার বেপরোয়া হয়ে উঠে। ভারতীয় ও বড়লেখার পাচারকারী সিন্ডিকেট প্রতিদিন ৫০ থেকে ২০০টি পর্যন্ত ভারতীয় মহিষ বড়লেখার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে দেশের অভ্যন্তরে আনতে থাকে। বিজিবি’র জুড়ী কোম্পানী কমান্ডার গোপন তথ্যে জানতে পারেন বড়লেখা সীমান্তের মেইন পিলার ১৩৮২/৪-এস সংলগ্ন এলাকা দিয়ে একটি বড় ধরনের মহিষের চালান দেশে ঢুকেছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে জুড়ী কোম্পানীর টহল কমান্ডার সুবেদার মো. ইমাম হোসেনের নেতৃত্বে জুড়ী বিওপি’র টহল দলসহ পাশ্বর্বতী বিওসিটিলা, লাতু এবং বোবারথল বিওপি’র ২৪ জন বিজিবি সদস্য বৃহস্পতিবার সকালে মেইন পিলার পিলার ১৩৮২/৪-এস হতে ৭ কি. মিটার অভ্যন্তরে বড়লেখা উপজেলার গঙ্গারজল নামক স্থানে অবস্থান নেন। শতাধিক ভারতীয় মহিষের পাল নিয়ে চোরাচালানীরা অগ্রসর হলে বিজিবি তাদেরকে ধাওয়া করে ৩০ টি মহিষ আটক করেছে।
বিজিবি ৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল গাজী শহীদুল্লাহ জানান, বিজিবি’র উপস্থিতি টের পেয়ে ঝোপঝাড়ের মধ্যে মহিষ পেলে চোরাকারবারীরা পালিয়ে যায়। এসময় বিজিবি ৩০টি ভারতীয় অবৈধ মহিষ আটক করেছে, যার সিজার মূল্য ১৮ লাখ ২০ হাজার টাকা। আটক ভারতীয় অবৈধ মহিষগুলো বৃহস্পতিবার বিকেলে জুড়ী কাস্টমস অফিসে জমা দিয়েছে বিজিবি।

পোস্ট শেয়ার করুন

বড়লেখায় ২০ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় অবৈধ মহিষ আটক

আপডেটের সময় : ০৫:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুন ২০২০

বড়লেখা উপজেলার বোবারথল সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে আসা ২০ লক্ষাধিক টাকার ৩০টি ভারতীয় অবৈধ মহিষ আটক করেছে ৫২ বিজিবি। উপজেলার সদর ইউনিয়নের গঙ্গারজল এলাকায় ২৫ জুন বৃহস্পতিবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবি এ অভিযান চালায়। এসময় মহিষ পাচারকারীরা পালিয়ে যায়। বিকেলে বিজিবি জুড়ী কাস্টমস অফিসে মহিষগুলো জমা দিয়েছে।
জানা গেছে, ভারতের আসাম রাজ্যের করিমগঞ্জ জেলার কয়েকটি থানার সাথে বড়লেখা উপজেলার অন্তত ৩০ কি. মিটার সীমান্ত রয়েছে। এ সীমান্তের বোবারথল, বিওসিটিলা, পেকুছড়াসহ কয়েকটি স্পটকে ট্রানজিট রোড হিসেবে প্রভাবশালী চোরাকারবারী সিন্ডিকেট ভারতীয় গরু-মহিষ, মদ, মোটরসাইকেল, সিগারেট, নাসির উদ্দিন বিড়িসহ বিভিন্ন অবৈধ পণ্য পাচার করছে।
বিজিবি তৎপর হওয়ায় দীর্ঘদিন ভারতীয় মহিষ পাচার বন্ধ থাকে। পরবর্তীতে সীমান্তরক্ষীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে চোরাকারবারীরা করোনা সংক্রমণের আশংকার মধ্যেও মহিষ পাচার শুরু করে। মধ্যে কিছু দিন বন্ধ থাকলেও গত প্রায় ১ মাস ধরে চোরাকারবারীরা আবার বেপরোয়া হয়ে উঠে। ভারতীয় ও বড়লেখার পাচারকারী সিন্ডিকেট প্রতিদিন ৫০ থেকে ২০০টি পর্যন্ত ভারতীয় মহিষ বড়লেখার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে দেশের অভ্যন্তরে আনতে থাকে। বিজিবি’র জুড়ী কোম্পানী কমান্ডার গোপন তথ্যে জানতে পারেন বড়লেখা সীমান্তের মেইন পিলার ১৩৮২/৪-এস সংলগ্ন এলাকা দিয়ে একটি বড় ধরনের মহিষের চালান দেশে ঢুকেছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে জুড়ী কোম্পানীর টহল কমান্ডার সুবেদার মো. ইমাম হোসেনের নেতৃত্বে জুড়ী বিওপি’র টহল দলসহ পাশ্বর্বতী বিওসিটিলা, লাতু এবং বোবারথল বিওপি’র ২৪ জন বিজিবি সদস্য বৃহস্পতিবার সকালে মেইন পিলার পিলার ১৩৮২/৪-এস হতে ৭ কি. মিটার অভ্যন্তরে বড়লেখা উপজেলার গঙ্গারজল নামক স্থানে অবস্থান নেন। শতাধিক ভারতীয় মহিষের পাল নিয়ে চোরাচালানীরা অগ্রসর হলে বিজিবি তাদেরকে ধাওয়া করে ৩০ টি মহিষ আটক করেছে।
বিজিবি ৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল গাজী শহীদুল্লাহ জানান, বিজিবি’র উপস্থিতি টের পেয়ে ঝোপঝাড়ের মধ্যে মহিষ পেলে চোরাকারবারীরা পালিয়ে যায়। এসময় বিজিবি ৩০টি ভারতীয় অবৈধ মহিষ আটক করেছে, যার সিজার মূল্য ১৮ লাখ ২০ হাজার টাকা। আটক ভারতীয় অবৈধ মহিষগুলো বৃহস্পতিবার বিকেলে জুড়ী কাস্টমস অফিসে জমা দিয়েছে বিজিবি।