ঢাকা , শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পূর্ব লন্ডনে বড়লেখার সোয়েব আহমেদের সমর্থনে মতবিনিময় সভা ইতালির ভেনিসে গ্রিন সিলেট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এর জরুরি সভা অনুষ্ঠিত ইতালির ভেনিসে এনটিভির ইউরোপের ডিরেক্টর সাবরিনা হোসাইন কে সংবর্ধনা দিয়েছে ইউরোপিয়ান বাংলা প্রেসক্লাব পর্তুগালে বেজা আওয়ামীলীগের কর্মি সভা পর্তুগাল এ ফ্রেন্ডশিপ ক্রিকেট ক্লাবের জার্সি উন্মোচন লিসবনে আত্মপ্রকাশ হয় সামাজিক সংগঠন “গোলাপগঞ্জ কমিউনিটি কেয়ারর্স পর্তুগাল “ উচ্ছ্বাস আর আনন্দে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখের উদযাপন করেছে পর্তুগাল যথাযথ গাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে পরিবেশে মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর পালন করেছে ভেনিস প্রবাসীরা ভেনিসে বৃহত্তর সিলেট সমিতির আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত এক অসুস্থ প্রজন্ম কে সাথি করে এগুচ্ছি আমরা

তিন বছরেও তনু হত্যা মামলার তদন্ত শেষ করতে পারেনি সিআইডি

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেটের সময় : ০৮:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০১৯
  • / ৭২৬ টাইম ভিউ

 দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ  কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্রী সোহাগী জাহান তনু হত্যার তিন বছর পূর্ণ হবে ২০ মার্চ। এখন পর্যন্ত তনুর হত্যাকারীদের শনাক্ত করা যায়নি,নেই মামলার তদন্তের উল্লেখযোগ্য কোনও অগ্রগতি। মামলার তদন্তকারী সংস্থা সিআইডিকে এখন মোবাইলে কল দিয়ে পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ করেছেন তনুর মা আনোয়ারা বেগম।তিনি বলেন, ‘প্রায় এক বছর ধরে সিআইডির সঙ্গে আমাদের কোনও যোগাযোগ নেই। অফিসে গিয়ে তদন্ত কর্মকর্তাকেও পাওয়া যায় না। ফলে তদন্ত সম্পর্কে কিছুই জানতে পারতেছি না। সর্বশেষ যখন সিআইডির সঙ্গে কথা হয়েছিল তখন বলেছিল তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদ চলতেছে। বিচারের আশায় তাই চুপ করে বসে আছি।’

তিনি বলেন, ‘তনুর বাবা এবং আমি খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছি। মৃত্যুর আগে মেয়ে হত্যার বিচার দেখে যেতে পারবো কিনা জানি না। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মেয়ের হত্যার বিচার চাওয়ার সুযোগ পেলে শান্তি পেতাম। আমার নিরাপরাধ মেয়ের হত্যার বিচার আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছি।’

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ২০ মার্চ সন্ধ্যায় কুমিল্লা সেনানিবাসের ভেতরে একটি বাসায় টিউশনি করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। পরে তার স্বজনরা খোঁজাখুঁজি করে রাতে বাসার অদূরে সেনানিবাসের ভেতর একটি জঙ্গলে তনুর মরদেহ পায়। পরদিন তার বাবা কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অফিস সহায়ক ইয়ার হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে  হত্যা মামলা করেন। থানা পুলিশ ও ডিবি’র পর ২০১৬ সালের ১ এপ্রিল থেকে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি কুমিল্লা। তনুর দুই দফা ময়নাতদন্তে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ফরেনসিক বিভাগ মৃত্যুর সুস্পষ্ট কারণ উল্লেখ করেনি। শেষ ভরসা ছিল ডিএনএ রিপোর্ট। ২০১৭ সালের মে মাসে সিআইডি তনুর জামা-কাপড় থেকে নেওয়া নমুনার ডিএনএ পরীক্ষা করে তিনজন পুরুষের শুক্রানু পাওয়ার কথা গণমাধ্যমকে জানিয়েছিল। পরে সন্দেহভাজনদের ডিএনএ ম্যাচিং করার কথা থাকলেও তা করা হয়েছে কিনা- এ নিয়েও সিআইডি বিস্তারিত কিছু বলছে না। সর্বশেষ সন্দেহভাজন হিসেবে তিনজনকে ২০১৭ সালের ২৫ -২৭ অক্টোবর পর্যন্ত সিআইডির একটি দল ঢাকা সেনানিবাসে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদ করা ব্যক্তিরা তনুর মায়ের সন্দেহ করা আসামি বলেও সিআইডি জানায়। তবে তাদের নাম জানানো হয়নি।

তনুর মা আরও বলেন, ‘সার্জেন্ট জাহিদ ও তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যাকারীকে বেরিয়ে আসবে। কারণ সার্জেন্ট জাহিদের বাসায় টিউশনি করতে যাওয়ার পর জঙ্গলে তনুর মরদেহ পাওয়া যায়।’

গণজাগরণ মঞ্চ কুমিল্লার মুখপাত্র খায়রুল আনাম রায়হান বলেন, ‘তনু হত্যা মামলা নিয়ে সিআইডি যেন নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। এমনটি আসলেই দুঃখজনক।

মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সিআইডি কুমিল্লার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জালাল উদ্দীন আহমেদের কার্যালয়ে গিয়ে পাওয়া যায়নি। এরপর মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করননি।

পোস্ট শেয়ার করুন

তিন বছরেও তনু হত্যা মামলার তদন্ত শেষ করতে পারেনি সিআইডি

আপডেটের সময় : ০৮:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০১৯

 দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ  কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্রী সোহাগী জাহান তনু হত্যার তিন বছর পূর্ণ হবে ২০ মার্চ। এখন পর্যন্ত তনুর হত্যাকারীদের শনাক্ত করা যায়নি,নেই মামলার তদন্তের উল্লেখযোগ্য কোনও অগ্রগতি। মামলার তদন্তকারী সংস্থা সিআইডিকে এখন মোবাইলে কল দিয়ে পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ করেছেন তনুর মা আনোয়ারা বেগম।তিনি বলেন, ‘প্রায় এক বছর ধরে সিআইডির সঙ্গে আমাদের কোনও যোগাযোগ নেই। অফিসে গিয়ে তদন্ত কর্মকর্তাকেও পাওয়া যায় না। ফলে তদন্ত সম্পর্কে কিছুই জানতে পারতেছি না। সর্বশেষ যখন সিআইডির সঙ্গে কথা হয়েছিল তখন বলেছিল তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদ চলতেছে। বিচারের আশায় তাই চুপ করে বসে আছি।’

তিনি বলেন, ‘তনুর বাবা এবং আমি খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছি। মৃত্যুর আগে মেয়ে হত্যার বিচার দেখে যেতে পারবো কিনা জানি না। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মেয়ের হত্যার বিচার চাওয়ার সুযোগ পেলে শান্তি পেতাম। আমার নিরাপরাধ মেয়ের হত্যার বিচার আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছি।’

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ২০ মার্চ সন্ধ্যায় কুমিল্লা সেনানিবাসের ভেতরে একটি বাসায় টিউশনি করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। পরে তার স্বজনরা খোঁজাখুঁজি করে রাতে বাসার অদূরে সেনানিবাসের ভেতর একটি জঙ্গলে তনুর মরদেহ পায়। পরদিন তার বাবা কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অফিস সহায়ক ইয়ার হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে  হত্যা মামলা করেন। থানা পুলিশ ও ডিবি’র পর ২০১৬ সালের ১ এপ্রিল থেকে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি কুমিল্লা। তনুর দুই দফা ময়নাতদন্তে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ফরেনসিক বিভাগ মৃত্যুর সুস্পষ্ট কারণ উল্লেখ করেনি। শেষ ভরসা ছিল ডিএনএ রিপোর্ট। ২০১৭ সালের মে মাসে সিআইডি তনুর জামা-কাপড় থেকে নেওয়া নমুনার ডিএনএ পরীক্ষা করে তিনজন পুরুষের শুক্রানু পাওয়ার কথা গণমাধ্যমকে জানিয়েছিল। পরে সন্দেহভাজনদের ডিএনএ ম্যাচিং করার কথা থাকলেও তা করা হয়েছে কিনা- এ নিয়েও সিআইডি বিস্তারিত কিছু বলছে না। সর্বশেষ সন্দেহভাজন হিসেবে তিনজনকে ২০১৭ সালের ২৫ -২৭ অক্টোবর পর্যন্ত সিআইডির একটি দল ঢাকা সেনানিবাসে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদ করা ব্যক্তিরা তনুর মায়ের সন্দেহ করা আসামি বলেও সিআইডি জানায়। তবে তাদের নাম জানানো হয়নি।

তনুর মা আরও বলেন, ‘সার্জেন্ট জাহিদ ও তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যাকারীকে বেরিয়ে আসবে। কারণ সার্জেন্ট জাহিদের বাসায় টিউশনি করতে যাওয়ার পর জঙ্গলে তনুর মরদেহ পাওয়া যায়।’

গণজাগরণ মঞ্চ কুমিল্লার মুখপাত্র খায়রুল আনাম রায়হান বলেন, ‘তনু হত্যা মামলা নিয়ে সিআইডি যেন নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। এমনটি আসলেই দুঃখজনক।

মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সিআইডি কুমিল্লার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জালাল উদ্দীন আহমেদের কার্যালয়ে গিয়ে পাওয়া যায়নি। এরপর মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করননি।