দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ ১.সিলেটের কোনো ব্যক্তি যদি কোনো উচ্চপদে আসীন হন তবে তিনি নিজেকে সর্বোচ্চ আঞ্চলিকতার টান মুক্ত রাখার চেষ্টা করেন। কখনোই আঞ্চলিকতার জন্য কাওকে কোনো চাকরির সুযোগ দেন না। এলাকার সূত্র ধরে কেউ কোনো সহযোগিতা চাইলেও পায় না। এবং তিনি যথাসম্ভব এলাকার মানুষদের এড়িয়ে চলেন। অন্যদিকে, অন্যান্য জেলা ও বিভাগের লোকেরা কোনো ব্যক্তি বা যে কোনো সূত্রে যদি তাদের এলাকার কোনো উচ্চপদস্থ ব্যক্তির কাছে যায় তবে একেবারে পারিবারিক সুযোগ সুবিধা পায়। আমি এমনও দেখেছি, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের যুগ্মসচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তাকে ফোন করে জাস্ট বলেছে আমি ঐ স্কুলের ছাত্র ছিলাম, আপনিও এখানে পড়েছিলেন। জাস্ট এই পরিচয়টুকু পেয়ে উনি যা করলেন তা আমরা সিলেটিরা রক্তের সম্পর্কের কারো কাছেও আশা করতে পারি না। ২. সিলেটে যখন কোনো মন্ত্রী হোন, তিনি সারাদেশের মন্ত্রী হোন। তিনি আলাদাভাবে সিলেটের জন্য কিছু করাকে নীতিবহির্ভুত বলে মনে করেন। অন্যদিকে, বাকি প্রত্যেক এলাকার মন্ত্রীই তাদের এলাকাকে প্রায়োরিটি দেন। এজন্য আমরা সিলেটবাসী, নিজ দেশের মধ্যেই উন্নয়নের ক্ষেত্রে এক অসম প্রতিযোগিতায় আছি। # চিন্তা করা যায়, টানা ১০ বছর আমাদের একজন অর্থমন্ত্রী ছিলেন। সরকারের এতো প্রভাবশালী মন্ত্রী। অথচ, সিলেট ঢাকা মহাসড়ক এর অবস্থার পরিবর্তন ঘটলো না। রেলওয়েতে নতুন কোনো ট্রেন সংযুক্ত হলো না, রেললাইনের সংস্কার হলো না, রেললাইন সম্প্রসারন হলো না। শুধু সিটি কর্পোরেশনকে বরাদ্দ দিয়েই কি তার কাজ শেষ? অনেক অনেক উন্নয়নের ফিরিস্তি হয়তো তুলে ধরা যাবে। কিন্তু ১০ বছর অর্থমন্ত্রী এক এলাকার থাকলে সেখানে কি মহাসড়ক ও রেলওয়ের এই অবস্থা থাকার কথা? একজন শিক্ষামন্ত্রীও ছিলেন। উনার সম্পর্কে কিছু না বলাই ভালো। আঞ্চলিকতার টানওয়ালা আমাদের একজনই ছিলেন। সিলেটে যতো বড় বড় প্রতিষ্ঠান আছে সবগুলোই উনার আঞ্চলিকতার টানের ই ফসল। জনাব সাইফুর রহমান, সিলেটবাসী আপনাকে আজও স্মরণ করে। ওপারে নিশ্চয়ই আপনি ভালো আছেন। বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শুনেছি সিলেটের প্রতি অনেক টান। তিনি কি পারবেন এই বঞ্চিত সিলেটকে তার প্রাপ্য এনে দিতে? উত্তরটা সময় দিয়ে দেবে।
deshdiganto.com © 2019 কপিরাইট এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত
design and development by : http://webnewsdesign.com