ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে পর্তুগালে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশী প্রবাসীরা প্রিয়জনদের মানসিক রোগ যদি আপনজন বুঝতে না পারেন আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা করেছে পর্তুগাল আওয়ামীলীগ যেকোনো প্রচেষ্টা এককভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়: দুদক সচিব শ্রীমঙ্গলে দুটি চোরাই মোটরসাইকেল সহ মিল্টন কুমার আটক পর্তুগালের অভিবাসন আইনে ব্যাপক পরিবর্তন পর্তুগাল বিএনপি আহবায়ক কমিটির জুমে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয় এমপি আনোয়ারুল আজিমকে হত্যার ঘটনায় আটক তিনজন , এতে বাংলাদেশী মানুষ জড়িত:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকাস্থ ইরান দুতাবাসে রাইসির শোক বইয়ে মির্জা ফখরুলের স্বাক্ষর

মানবতার ফেরিওয়ালা একজন তুহিন চৌধুরী

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ১২:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ এপ্রিল ২০২০
  • / ২৬৩০ টাইম ভিউ

শেখ নিজামুর রহমান টিপু : যাকে নিয়ে লিখা হচ্ছে উনি কোনো জনপ্রতিনিধি নয় , নয় কোনো শিল্পপতি, বলা চলে নিজের বলতে সামান্য ব্যাবসা তাও পৈতিক।
কিন্তু যে কিনা বিশ্বস্ত বন্ধুমহলে একজন মানবতার ফেরিওয়ালার হিসেবেই, যাকে বলা চলে শ্রীমঙ্গলে তরুনদের আইকন তিনি হলেন হাফিজুর রহমান চৌধুরী তুহিন ।
যেখানে মানবতা কষ্টে সেখানেই উনার উপস্থিতি সম্মুখে, সেই ছোটবেলা থেকেই তিনি মানবতার পথে কখনও নিজেকে বিলিয়ে দিচ্ছেন প্রতিবন্ধীদের সহায়তায়, আবার হারিয়ে যাচ্ছেন বিশুদ্ধ পানি থেকে বন্চিতদের সেবায় নলকুপ নিয়ে তাদের বাড়িতে , এসব সেবাই যেনো উনার নেশা ।
ছাত্ররাজনীতি থেকে হাঁটি হাঁটি পা পা করে এখন যুবনেতা এবং নাট্যকর্মী থেকে সামাজিক কর্মি ।

 

লিখতে গেলে কয়েক দিনেও উনাকে নিয়ে লিখা শেষ করা সম্ভব নয়, সবকিছু মাড়িয়ে শ্রীমঙ্গলে তাঁর পরিচয় একজন মানবতার ফেরিওয়ালা, লিখছি হাফিজুর রহমান চৌধুরী তুহিনের কথা।
তিনি বিদায়ী বছর ২০১৯ এর বন্যায় বন্যার্তদের পাশে ছিলেন প্রতিনিয়ত এমন কি শুধু শ্রীমঙ্গলই নয় একাধারে কমলগঞ্জ ও কুলাউড়ার হাজীপুরে বন্যার্তদের সাহায্য খাদ্যসামগ্রী নিয়ে এগিয়ে ছিলেন সমান্তরালে ।
সমস্ত পৃথিবী এখন এক অস্বাভাবিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন। অদৃশ্য এমনই এক ভয়ংকর মরন ব্যাধি শত্রু যে,ছোট-বড়,ধনী-দরিদ্র,ধর্ম-বর্ণ কোন কিছুই মানে না,আমাদেরকে ক্রমেই গ্রাস করে ফেলছে। আমরা এমনই এক কঠিন অন্ধকার সময়ের মুখাপেক্ষী।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে যে মহাদুর্যোগের সৃষ্টি হচ্ছে ,তা যুদ্ধের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। তাই এখনই সময় আমাদের প্রকৃত মানবিকতা প্রকাশের।
এই দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে কিছু মহৎ ব্যক্তিরাই সাহায্যের হাত নিয়ে এগিয়ে আসে মানুষের সেবার জন্য,
সেই আক্রান্ত দরিদ্র ও অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানোর লক্ষ্যে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তুহিন চৌধুরী ।
যেভাবে সম্ভব হচ্ছে বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করে যাচ্ছেন ।
এই মহামারির কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া শ্রীমঙ্গলের কালাপুর ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের ক্ষুধা নিবারণে তিনি প্রাণপ্রণ চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছেন।
দিয়ে যাচ্ছেন একের পর এক খাদ্যসামগ্রী উপহার প্রথম ধাপ থেকে সপ্তম ধাপে ৫/৬শ জনকে ।
তিনি নিজ উদ্যোগে কর্মহীন নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে থাকার জন্য দিনরাত বিরামহীনভাবে ছুটে চলেছেন এই জনবান্ধব তুহিন চৌধুরী ।
বন্ধুদের কাছে হলেন মানবতার ফেরিওয়ালা, মানবিক কারণে বন্ধুদের সহযোগিতায় বর্তমান পরিস্থিতিতে যানবাহনসহ সকল দোকানপাট বন্ধ থাকায় গৃহবন্দি হয়ে পড়েছে কালাপুর ইউনিয়নের কয়েক সহস্রাধিক কর্মজীবী নিম্ন আয়ের মানুষ। যার কারণে সবাই ক্ষুধার জ্বালায় এক মানবেতর জীবনযাপন করছে। সেই অসহায় ও কর্মহীন মানুষের কষ্টের কথা চিন্তা করে মানবিক উদ্যোগ গ্রহণ করে তুহিন চৌধুরী প্রবাসী বন্ধুদের কাছে হাত পেতেন ।
প্রবাসীদের সহায়তায় এই খাদ্য সামগ্রী ইউনিয়নের প্রত্যকটি গ্রামের কর্মহীন, দিনমজুর, রিকশাচালক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও দুঃস্থ মানুষের বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছেন।
উনার উদ্যোগে ইউনিয়নের আরো খাদ্য সহায়তা বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তুহিন চৌধুরীর এমন উদ্যোগকে শ্রীমঙ্গল সহ কালাপুর ইউনিয়নের সর্বস্তরের মানুষ প্রশংসার চোখে দেখছেন।
ভাইরাসের সময়ও নিজের জীবনের তুয়াক্কা না করে নিজেকে বিলিয়ে দিচ্ছেন মানবতার কল্যানে জনগণের সেবায় ।
দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে যেভাবে মানুষের পাশে দাড়াচ্ছেন ,সারাজীবন যেন মানুষের পাশে এইভাবে দাড়াতে পারেন এই আশা ব্যাক্ত করেন তুহিন চৌধুরী ।

পোস্ট শেয়ার করুন

মানবতার ফেরিওয়ালা একজন তুহিন চৌধুরী

আপডেটের সময় : ১২:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ এপ্রিল ২০২০

শেখ নিজামুর রহমান টিপু : যাকে নিয়ে লিখা হচ্ছে উনি কোনো জনপ্রতিনিধি নয় , নয় কোনো শিল্পপতি, বলা চলে নিজের বলতে সামান্য ব্যাবসা তাও পৈতিক।
কিন্তু যে কিনা বিশ্বস্ত বন্ধুমহলে একজন মানবতার ফেরিওয়ালার হিসেবেই, যাকে বলা চলে শ্রীমঙ্গলে তরুনদের আইকন তিনি হলেন হাফিজুর রহমান চৌধুরী তুহিন ।
যেখানে মানবতা কষ্টে সেখানেই উনার উপস্থিতি সম্মুখে, সেই ছোটবেলা থেকেই তিনি মানবতার পথে কখনও নিজেকে বিলিয়ে দিচ্ছেন প্রতিবন্ধীদের সহায়তায়, আবার হারিয়ে যাচ্ছেন বিশুদ্ধ পানি থেকে বন্চিতদের সেবায় নলকুপ নিয়ে তাদের বাড়িতে , এসব সেবাই যেনো উনার নেশা ।
ছাত্ররাজনীতি থেকে হাঁটি হাঁটি পা পা করে এখন যুবনেতা এবং নাট্যকর্মী থেকে সামাজিক কর্মি ।

 

লিখতে গেলে কয়েক দিনেও উনাকে নিয়ে লিখা শেষ করা সম্ভব নয়, সবকিছু মাড়িয়ে শ্রীমঙ্গলে তাঁর পরিচয় একজন মানবতার ফেরিওয়ালা, লিখছি হাফিজুর রহমান চৌধুরী তুহিনের কথা।
তিনি বিদায়ী বছর ২০১৯ এর বন্যায় বন্যার্তদের পাশে ছিলেন প্রতিনিয়ত এমন কি শুধু শ্রীমঙ্গলই নয় একাধারে কমলগঞ্জ ও কুলাউড়ার হাজীপুরে বন্যার্তদের সাহায্য খাদ্যসামগ্রী নিয়ে এগিয়ে ছিলেন সমান্তরালে ।
সমস্ত পৃথিবী এখন এক অস্বাভাবিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন। অদৃশ্য এমনই এক ভয়ংকর মরন ব্যাধি শত্রু যে,ছোট-বড়,ধনী-দরিদ্র,ধর্ম-বর্ণ কোন কিছুই মানে না,আমাদেরকে ক্রমেই গ্রাস করে ফেলছে। আমরা এমনই এক কঠিন অন্ধকার সময়ের মুখাপেক্ষী।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে যে মহাদুর্যোগের সৃষ্টি হচ্ছে ,তা যুদ্ধের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। তাই এখনই সময় আমাদের প্রকৃত মানবিকতা প্রকাশের।
এই দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে কিছু মহৎ ব্যক্তিরাই সাহায্যের হাত নিয়ে এগিয়ে আসে মানুষের সেবার জন্য,
সেই আক্রান্ত দরিদ্র ও অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানোর লক্ষ্যে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তুহিন চৌধুরী ।
যেভাবে সম্ভব হচ্ছে বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করে যাচ্ছেন ।
এই মহামারির কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া শ্রীমঙ্গলের কালাপুর ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের ক্ষুধা নিবারণে তিনি প্রাণপ্রণ চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছেন।
দিয়ে যাচ্ছেন একের পর এক খাদ্যসামগ্রী উপহার প্রথম ধাপ থেকে সপ্তম ধাপে ৫/৬শ জনকে ।
তিনি নিজ উদ্যোগে কর্মহীন নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে থাকার জন্য দিনরাত বিরামহীনভাবে ছুটে চলেছেন এই জনবান্ধব তুহিন চৌধুরী ।
বন্ধুদের কাছে হলেন মানবতার ফেরিওয়ালা, মানবিক কারণে বন্ধুদের সহযোগিতায় বর্তমান পরিস্থিতিতে যানবাহনসহ সকল দোকানপাট বন্ধ থাকায় গৃহবন্দি হয়ে পড়েছে কালাপুর ইউনিয়নের কয়েক সহস্রাধিক কর্মজীবী নিম্ন আয়ের মানুষ। যার কারণে সবাই ক্ষুধার জ্বালায় এক মানবেতর জীবনযাপন করছে। সেই অসহায় ও কর্মহীন মানুষের কষ্টের কথা চিন্তা করে মানবিক উদ্যোগ গ্রহণ করে তুহিন চৌধুরী প্রবাসী বন্ধুদের কাছে হাত পেতেন ।
প্রবাসীদের সহায়তায় এই খাদ্য সামগ্রী ইউনিয়নের প্রত্যকটি গ্রামের কর্মহীন, দিনমজুর, রিকশাচালক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও দুঃস্থ মানুষের বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছেন।
উনার উদ্যোগে ইউনিয়নের আরো খাদ্য সহায়তা বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তুহিন চৌধুরীর এমন উদ্যোগকে শ্রীমঙ্গল সহ কালাপুর ইউনিয়নের সর্বস্তরের মানুষ প্রশংসার চোখে দেখছেন।
ভাইরাসের সময়ও নিজের জীবনের তুয়াক্কা না করে নিজেকে বিলিয়ে দিচ্ছেন মানবতার কল্যানে জনগণের সেবায় ।
দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে যেভাবে মানুষের পাশে দাড়াচ্ছেন ,সারাজীবন যেন মানুষের পাশে এইভাবে দাড়াতে পারেন এই আশা ব্যাক্ত করেন তুহিন চৌধুরী ।