ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে পর্তুগালে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশী প্রবাসীরা প্রিয়জনদের মানসিক রোগ যদি আপনজন বুঝতে না পারেন আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা করেছে পর্তুগাল আওয়ামীলীগ যেকোনো প্রচেষ্টা এককভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়: দুদক সচিব শ্রীমঙ্গলে দুটি চোরাই মোটরসাইকেল সহ মিল্টন কুমার আটক পর্তুগালের অভিবাসন আইনে ব্যাপক পরিবর্তন পর্তুগাল বিএনপি আহবায়ক কমিটির জুমে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয় এমপি আনোয়ারুল আজিমকে হত্যার ঘটনায় আটক তিনজন , এতে বাংলাদেশী মানুষ জড়িত:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকাস্থ ইরান দুতাবাসে রাইসির শোক বইয়ে মির্জা ফখরুলের স্বাক্ষর

বড়লেখায় সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় অভিযোগ, গ্রেফতার ৩

বড়লেখা প্রতিনিধি:
  • আপডেটের সময় : ০৫:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জুলাই ২০২০
  • / ৪২৮ টাইম ভিউ

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় পলিথিন আটকের জের ধরে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় দুটি মামলা হয়েছে। শুক্রবার (৩ জুলাই) বিকেলে দুটি মামলার এজাহারনামীয় তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে- পৌরসভার গাজিটেকা গ্রামের সুমন আহমদ (২৫), নয়ন আহমদ (২২) ও আবুল হোসেন (২৭)। বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) দুপুরে পৌরসভার গাজিটেকা এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে ।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার (১ জুলাই) উপজেলা প্রশাসন পৌর শহরের বিভিন্নস্থান থেকে মজুদ করা প্রায় ৭০ মণ নিষিদ্ধ পলিথিন উদ্ধার করে। এর মধ্যে মামলার প্রধান আসামি সাইদুল ইসলামের পারিবারিক মালিকানধীন রেলওয়ে স্টেশন রোডস্থ শাহজালাল শপিং সিটি থেকেও পলিথিন উদ্ধার করে প্রশাসন। এই ঘটনায় চারজনকে ৩৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে উদ্ধার করা পলিথিন পুড়িয়ে ফেলা হয়। এ ঘটনার পর থেকে আসামিরা শামীম আহমদকে (মামলার বাদী) সন্দেহ করছিলেন। তাদের ধারণা শামীম আহমদ পুলিশকে তথ্য দিয়ে পলিথিনগুলো ধরিয়ে দিয়েছেন।

এর আক্রোশে বৃহস্পতিবার সকালে শহরের উত্তর বাজার এলাকায় শামীম আহমদকে কুপিয়ে জখম করে রাস্তায় ফেলে যায়। এতে শামীম গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে থাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। শামীম আহমদের উপর হামলার খবর পেয়ে তার ভাই জসিম উদ্দিনসহ স্বজনরা ঘটনাস্থলে গেলে বেলা ১টার দিকে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে জসিম উদ্দিনসহ প্রায় ১২জন আহত হন। জসিম উদ্দিনসহ কয়েকজন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। আহত অন্যরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানিয়েছে, দুপুরে সংঘর্ষের সময় পর পর তিন রাউন্ড গুলির শব্দ শোনেছেন তারা। তবে এই গুলির সত্যতা থানা পুলিশের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়নি।

সংঘর্ষের খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এছাড়া সংঘর্ষের খবরে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ। থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইয়াছিনুল হককে সাথে নিয়ে উভয় পক্ষের সাথে আলোচনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। সংঘর্ষের ঘটনায় আহত শামীম আহমদ বাদী হয়ে ১৮ জনের ও জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। দুটি মামলায় শাহজালাল শপিং সিটির মালিক সাইদুল ইসলামকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। মামলার পর শুক্রবার বিকেলে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ৩জনকে গ্রেফাতার করে।

বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইয়াছিনুল হক মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘সকালে হামলার ঘটনায় একটি ও দুপুরের ঘটনায় একটি করে দুটি মামলা হয়েছে। পৃথক দুটি মামলায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে এজাহারনামীয় ৩জনকে গ্রেফতার করেছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।#

পোস্ট শেয়ার করুন

বড়লেখায় সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় অভিযোগ, গ্রেফতার ৩

আপডেটের সময় : ০৫:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জুলাই ২০২০

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় পলিথিন আটকের জের ধরে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় দুটি মামলা হয়েছে। শুক্রবার (৩ জুলাই) বিকেলে দুটি মামলার এজাহারনামীয় তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে- পৌরসভার গাজিটেকা গ্রামের সুমন আহমদ (২৫), নয়ন আহমদ (২২) ও আবুল হোসেন (২৭)। বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) দুপুরে পৌরসভার গাজিটেকা এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে ।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার (১ জুলাই) উপজেলা প্রশাসন পৌর শহরের বিভিন্নস্থান থেকে মজুদ করা প্রায় ৭০ মণ নিষিদ্ধ পলিথিন উদ্ধার করে। এর মধ্যে মামলার প্রধান আসামি সাইদুল ইসলামের পারিবারিক মালিকানধীন রেলওয়ে স্টেশন রোডস্থ শাহজালাল শপিং সিটি থেকেও পলিথিন উদ্ধার করে প্রশাসন। এই ঘটনায় চারজনকে ৩৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে উদ্ধার করা পলিথিন পুড়িয়ে ফেলা হয়। এ ঘটনার পর থেকে আসামিরা শামীম আহমদকে (মামলার বাদী) সন্দেহ করছিলেন। তাদের ধারণা শামীম আহমদ পুলিশকে তথ্য দিয়ে পলিথিনগুলো ধরিয়ে দিয়েছেন।

এর আক্রোশে বৃহস্পতিবার সকালে শহরের উত্তর বাজার এলাকায় শামীম আহমদকে কুপিয়ে জখম করে রাস্তায় ফেলে যায়। এতে শামীম গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে থাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। শামীম আহমদের উপর হামলার খবর পেয়ে তার ভাই জসিম উদ্দিনসহ স্বজনরা ঘটনাস্থলে গেলে বেলা ১টার দিকে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে জসিম উদ্দিনসহ প্রায় ১২জন আহত হন। জসিম উদ্দিনসহ কয়েকজন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। আহত অন্যরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানিয়েছে, দুপুরে সংঘর্ষের সময় পর পর তিন রাউন্ড গুলির শব্দ শোনেছেন তারা। তবে এই গুলির সত্যতা থানা পুলিশের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়নি।

সংঘর্ষের খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এছাড়া সংঘর্ষের খবরে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ। থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইয়াছিনুল হককে সাথে নিয়ে উভয় পক্ষের সাথে আলোচনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। সংঘর্ষের ঘটনায় আহত শামীম আহমদ বাদী হয়ে ১৮ জনের ও জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। দুটি মামলায় শাহজালাল শপিং সিটির মালিক সাইদুল ইসলামকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। মামলার পর শুক্রবার বিকেলে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ৩জনকে গ্রেফাতার করে।

বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইয়াছিনুল হক মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘সকালে হামলার ঘটনায় একটি ও দুপুরের ঘটনায় একটি করে দুটি মামলা হয়েছে। পৃথক দুটি মামলায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে এজাহারনামীয় ৩জনকে গ্রেফতার করেছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।#