ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পূর্ব লন্ডনে বড়লেখার সোয়েব আহমেদের সমর্থনে মতবিনিময় সভা ইতালির ভেনিসে গ্রিন সিলেট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এর জরুরি সভা অনুষ্ঠিত ইতালির ভেনিসে এনটিভির ইউরোপের ডিরেক্টর সাবরিনা হোসাইন কে সংবর্ধনা দিয়েছে ইউরোপিয়ান বাংলা প্রেসক্লাব পর্তুগালে বেজা আওয়ামীলীগের কর্মি সভা পর্তুগাল এ ফ্রেন্ডশিপ ক্রিকেট ক্লাবের জার্সি উন্মোচন লিসবনে আত্মপ্রকাশ হয় সামাজিক সংগঠন “গোলাপগঞ্জ কমিউনিটি কেয়ারর্স পর্তুগাল “ উচ্ছ্বাস আর আনন্দে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখের উদযাপন করেছে পর্তুগাল যথাযথ গাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে পরিবেশে মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর পালন করেছে ভেনিস প্রবাসীরা ভেনিসে বৃহত্তর সিলেট সমিতির আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত এক অসুস্থ প্রজন্ম কে সাথি করে এগুচ্ছি আমরা

বড়লেখায় সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় অভিযোগ, গ্রেফতার ৩

বড়লেখা প্রতিনিধি:
  • আপডেটের সময় : ০৫:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জুলাই ২০২০
  • / ৪০৯ টাইম ভিউ

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় পলিথিন আটকের জের ধরে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় দুটি মামলা হয়েছে। শুক্রবার (৩ জুলাই) বিকেলে দুটি মামলার এজাহারনামীয় তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে- পৌরসভার গাজিটেকা গ্রামের সুমন আহমদ (২৫), নয়ন আহমদ (২২) ও আবুল হোসেন (২৭)। বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) দুপুরে পৌরসভার গাজিটেকা এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে ।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার (১ জুলাই) উপজেলা প্রশাসন পৌর শহরের বিভিন্নস্থান থেকে মজুদ করা প্রায় ৭০ মণ নিষিদ্ধ পলিথিন উদ্ধার করে। এর মধ্যে মামলার প্রধান আসামি সাইদুল ইসলামের পারিবারিক মালিকানধীন রেলওয়ে স্টেশন রোডস্থ শাহজালাল শপিং সিটি থেকেও পলিথিন উদ্ধার করে প্রশাসন। এই ঘটনায় চারজনকে ৩৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে উদ্ধার করা পলিথিন পুড়িয়ে ফেলা হয়। এ ঘটনার পর থেকে আসামিরা শামীম আহমদকে (মামলার বাদী) সন্দেহ করছিলেন। তাদের ধারণা শামীম আহমদ পুলিশকে তথ্য দিয়ে পলিথিনগুলো ধরিয়ে দিয়েছেন।

এর আক্রোশে বৃহস্পতিবার সকালে শহরের উত্তর বাজার এলাকায় শামীম আহমদকে কুপিয়ে জখম করে রাস্তায় ফেলে যায়। এতে শামীম গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে থাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। শামীম আহমদের উপর হামলার খবর পেয়ে তার ভাই জসিম উদ্দিনসহ স্বজনরা ঘটনাস্থলে গেলে বেলা ১টার দিকে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে জসিম উদ্দিনসহ প্রায় ১২জন আহত হন। জসিম উদ্দিনসহ কয়েকজন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। আহত অন্যরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানিয়েছে, দুপুরে সংঘর্ষের সময় পর পর তিন রাউন্ড গুলির শব্দ শোনেছেন তারা। তবে এই গুলির সত্যতা থানা পুলিশের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়নি।

সংঘর্ষের খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এছাড়া সংঘর্ষের খবরে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ। থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইয়াছিনুল হককে সাথে নিয়ে উভয় পক্ষের সাথে আলোচনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। সংঘর্ষের ঘটনায় আহত শামীম আহমদ বাদী হয়ে ১৮ জনের ও জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। দুটি মামলায় শাহজালাল শপিং সিটির মালিক সাইদুল ইসলামকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। মামলার পর শুক্রবার বিকেলে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ৩জনকে গ্রেফাতার করে।

বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইয়াছিনুল হক মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘সকালে হামলার ঘটনায় একটি ও দুপুরের ঘটনায় একটি করে দুটি মামলা হয়েছে। পৃথক দুটি মামলায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে এজাহারনামীয় ৩জনকে গ্রেফতার করেছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।#

পোস্ট শেয়ার করুন

বড়লেখায় সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় অভিযোগ, গ্রেফতার ৩

আপডেটের সময় : ০৫:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জুলাই ২০২০

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় পলিথিন আটকের জের ধরে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় দুটি মামলা হয়েছে। শুক্রবার (৩ জুলাই) বিকেলে দুটি মামলার এজাহারনামীয় তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে- পৌরসভার গাজিটেকা গ্রামের সুমন আহমদ (২৫), নয়ন আহমদ (২২) ও আবুল হোসেন (২৭)। বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) দুপুরে পৌরসভার গাজিটেকা এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে ।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার (১ জুলাই) উপজেলা প্রশাসন পৌর শহরের বিভিন্নস্থান থেকে মজুদ করা প্রায় ৭০ মণ নিষিদ্ধ পলিথিন উদ্ধার করে। এর মধ্যে মামলার প্রধান আসামি সাইদুল ইসলামের পারিবারিক মালিকানধীন রেলওয়ে স্টেশন রোডস্থ শাহজালাল শপিং সিটি থেকেও পলিথিন উদ্ধার করে প্রশাসন। এই ঘটনায় চারজনকে ৩৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে উদ্ধার করা পলিথিন পুড়িয়ে ফেলা হয়। এ ঘটনার পর থেকে আসামিরা শামীম আহমদকে (মামলার বাদী) সন্দেহ করছিলেন। তাদের ধারণা শামীম আহমদ পুলিশকে তথ্য দিয়ে পলিথিনগুলো ধরিয়ে দিয়েছেন।

এর আক্রোশে বৃহস্পতিবার সকালে শহরের উত্তর বাজার এলাকায় শামীম আহমদকে কুপিয়ে জখম করে রাস্তায় ফেলে যায়। এতে শামীম গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে থাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। শামীম আহমদের উপর হামলার খবর পেয়ে তার ভাই জসিম উদ্দিনসহ স্বজনরা ঘটনাস্থলে গেলে বেলা ১টার দিকে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে জসিম উদ্দিনসহ প্রায় ১২জন আহত হন। জসিম উদ্দিনসহ কয়েকজন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। আহত অন্যরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানিয়েছে, দুপুরে সংঘর্ষের সময় পর পর তিন রাউন্ড গুলির শব্দ শোনেছেন তারা। তবে এই গুলির সত্যতা থানা পুলিশের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়নি।

সংঘর্ষের খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এছাড়া সংঘর্ষের খবরে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ। থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইয়াছিনুল হককে সাথে নিয়ে উভয় পক্ষের সাথে আলোচনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। সংঘর্ষের ঘটনায় আহত শামীম আহমদ বাদী হয়ে ১৮ জনের ও জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। দুটি মামলায় শাহজালাল শপিং সিটির মালিক সাইদুল ইসলামকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। মামলার পর শুক্রবার বিকেলে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ৩জনকে গ্রেফাতার করে।

বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইয়াছিনুল হক মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘সকালে হামলার ঘটনায় একটি ও দুপুরের ঘটনায় একটি করে দুটি মামলা হয়েছে। পৃথক দুটি মামলায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে এজাহারনামীয় ৩জনকে গ্রেফতার করেছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।#