ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
অন্তর্বর্তী সরকারকে বিপদে ফেলতেবিভিন্ন চক্রান্তে লিপ্ত আ’লীগ গ্রিন সিলেট ট্রাভেলসের আয়োজনে বাংলাদেশে পর্তুগাল দূতাবাস/কনসুলেট চেয়ে খোলা চিঠি স্বৈরাচার সরকার পতনের পর যুক্তরাজ্যে ফিরছেন সিলেট আওয়ামী লীগ নেতারা বিএনপি পর্তুগাল শাখার উদ্যোগে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত! বন্যার্ত মানুষের ত্রান তহবিলের জন্যে ৬ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা ঘোষণা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বেজা শাখার কর্মি সম্মেলন অনুষ্ঠিত বিমানের নতুন চেয়ারম্যান কুলাউড়ার আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও ২৪ কোটা আন্দোলনে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা দোয়া মাহফিল পর্তুগালে রাজনগর প্রবাসী ওয়েলফেয়ার সোসাইটির আত্মপ্রকাশ পর্তুগাল বিএনপি’র আয়োজনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্বরণে দোয়া ও মাহফিল সম্পন্ন বিমূর্ত সব মুর্হুতরা, আমার মা’য়ের সাথের শেষ শনিবার – শাহারুল কিবরিয়া

বিদেশের মাটিতে বিয়ে করলেন আমব্রিন

অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেটের সময় : ০২:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর ২০১৭
  • / ১৫৮৫ টাইম ভিউ

বিয়ে করলেন মডেল-উপস্থাপিকা আমব্রিনা সারজিন আমব্রিন। আর এ খবর আজ মঙ্গলবার তিনি নিজেই দিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে।

জানা গেছে, আমব্রিনের স্বামী তৌসিফ আহসান চৌধুরী পরিবারের সঙ্গে কানাডায় স্থায়ীভাবে আছেন। সেখানে একটি প্রতিষ্ঠানের প্রপাটি ম্যানেজমেন্ট ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছেন। গত শনিবার কানাডার টরন্টোতে তাদের বিয়ে হয়েছে।

ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘বন্ধুরা, কেমন আছেন? এবার বিপিএলে কেন আমি নেই?—গত কয়েক দিন ধরে ফেসবুকে অনেকেই আমাকে এই প্রশ্ন করছেন, জানতে চেয়েছেন, লিখেছেন অনেকেই নাকি আমাকে মিস করছেন। আপনাদের এই আগ্রহ আমাকে মুগ্ধ করেছে। কিন্তু এ মুহূর্তে আমি কানাডায়। ৪ নভেম্বর বিয়ে করেছি। আমার জীবনের নতুন এক অধ্যায় শুরু হয়েছে। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন। এ বছরের বিপিএলের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।’

আরো জানা যায়, আমব্রিনের সঙ্গে তৌসিফের পরিচয় হয়েছে মাস ছয়েক আগে। এরপর ফেসবুক আর মুঠোফোনে কথা হয়। এর মাঝেই নিজেদের মাঝে মন দেওয়া-নেওয়া শুরু। এবার তাদের বিয়েটা পারিবারিকভাবেই হয়েছে।

২০০৭ সালে ‘লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার’ প্রতিযোগিতায় সেরা দশে ছিলেন আমব্রিন। এরপর মডেল আর উপস্থাপক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। অভিনয় করেছেন টিভি নাটকে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) টিভি অনুষ্ঠানের প্রেজেন্টার হিসেবে পান দারুণ জনপ্রিয়তা।

আমব্রিন বাদ, বিপিএল উপস্থাপনায় পিয়া
বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট লীগের সবচেয়ে বড় আসর বিপিএল। আসরটির উপস্থাপক হিসেবে এতোদিন আমব্রিনের নাম থাকলেও এবার নেই তিনি। সে স্থানে চূড়ান্ত করা হয়েছে মডেল উপস্থাপিকা পিয়া জান্নাতুলকে। তাই এবারের বিপিএলের পঞ্চম আসরের উপস্থাপিকা হিসেবে দর্শকরা পিয়া জান্নাতুলকেই দেখতে পাবেন দর্শকরা।

গ্রাউন্ড মাঠের এ উপস্থাপনায় পিয়া জান্নাতুলের সঙ্গে টুর্নামেন্টগুলোতে প্লেগ্রাউন্ড থেকে সরাসরি উপস্থাপনা করবেন দেশের আরও জনপ্রিয় একজন মডেল। এছাড়াও সামিয়া আফরিন ও মারিয়া নূরও উপস্থাপনায় থাকবেন বলে জানা গেছে।

এ প্রসঙ্গে পিয়া জানান, এবার বিপিএলের মাঠে থাকবো আগাগোড়া। বিশ্বের বড়বড় দেশে গিয়ে মডেলিং করার অভিজ্ঞতা থাকলেও ক্রিকেট উপস্থাপিকার ভূমিকায় এটা আমার জন্য একদমই নতুন অভিজ্ঞতা হতে যাচ্ছে। তবে আশা করি কাজ ভালোভাবেই করতে পারবো।

প্রথম প্রেমে পড়েছিলাম ১৮ বছর বয়সে: আমব্রিন
মডেল ও অভিনেত্রী আমব্রিনকে এখন সবাই ক্রিকেট উপস্থাপিকা হিসেবেই চেনেন। বিপিএলে সাবলীল উপস্থাপনার জন্য আন্তর্জাতিক একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইটের জরিপে বিশ্বের সেরা পাঁচ মহিলা ক্রিকেট উপস্থাপিকার একজনও হয়েছেন তিনি। আফজাল হোসেনের পরিচালনায় প্রথম টিভি নাটকে অভিনয় করেছিলেন তিনি। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে জীবনে ঘটে যাওয়া প্রথম উল্লেখযোগ্য আরো অনেক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন আমব্রিন।

প্রথম স্কুল: লিবিয়ার একটি স্কুলে পড়েছি।

প্রথম শিক্ষক: লিবিয়ার স্কুলের কোন একজন শিক্ষক ছিলেন। এখন তার নামটা আমার মনে নেই। পঞ্চম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় লিবিয়া থেকে আমি ঢাকায় আসি। তখন আমি ঢাকার উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলে ভর্তি হয়েছিলাম। সেখানকার একজন মিসকে এখনো আমার অনেক মনে পড়ে। তিনি হলেন রেহানা মিস। আমাকে অনেক আদর করতেন। স্টুডেন্ট হিসেবে আমি খুব ভালো ছিলাম না আবার খুব বেশি খারাপও ছিলাম না। মোটামুটি পর্যায়ের স্টুডেন্ট ছিলাম। ফলাফলও ভালো হতো।

প্রথম উপস্থাপনা: এনটিভির ‘মিউজিক ইউফোনি’ নামের একটি অনুষ্ঠান প্রথম উপস্থাপনা করেছিলাম। অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচারিত হয়েছিল। আমার অতিথি ছিলেন সংগীতশিল্পী ন্যান্সি আপু। তারও প্রথম লাইভ অনুষ্ঠান ছিল এটা। সত্যি বলতে আমি উপস্থাপনা করতে গিয়ে একটু নার্ভাস হয়েছিলাম। এটা সম্ভবত সরাসরি অনুষ্ঠান প্রচারের কারণে হয়েছিল।

প্রথম বিজ্ঞাপন: আফজাল হোসেনের নির্দেশনায় এইডসের বিষয়ে সচেতনতামূলক একটি বিজ্ঞাপনের মডেল হয়েছিলাম। এটা ২০০৮ সালের কথা। প্রথম বিজ্ঞাপনেই দেশের গুণী একজন নির্মাতাকে আমি পেয়েছিলাম।

প্রথম টিভি নাটক: আফজাল হোসেন পরিচালিত নাটকটির নাম ছিল ‘চলো বিয়ে করি’। নাটকটিতে আমার সহশিল্পী ছিলেন জয়া আহসান ও মাহফুজ আহমেদ। নাটকটির শুটিং ২০০৮ সালেই হয়েছিল।

প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর অভিজ্ঞতা: লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার সুন্দরী প্রতিযোগিতায় ২০০৭ সালে আমি সেরা দশে ছিলাম। তখনই আমি প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছি। এরপর তো বিজ্ঞাপনের মডেল এবং নাটকে অভিনয় করলাম। প্রথম ক্যামেরার সামনে আমি অনেক ফ্রেন্ডলি ছিলাম।

প্রথম পারিশ্রমিক: এটার একটা ভিন্ন গল্প আছে। আমি একসময় হাতে সুন্দরভাবে মেহেদী লাগিয়ে দিতে পারতাম। আমাদের বাসার নিচে একটা বড় আমগাছ ছিল। একদিন দুষ্টুমি করে একটা কাগজে লিখেছিলাম ‘এখানে মেহেদী লাগানো হয়’। সেই কাগজের পোস্টারটি গাছে লাগিয়ে দিয়েছিলাম। এটা দেখে অনেকে সেদিন মেহেদী লাগাতে এসেছিলেন। আমি সেদিন খুব মজা করে সবার হাতে মেহেদী লাগিয়ে দিয়েছিলাম। মেহেদী লাগিয়ে দিয়েই জীবনের প্রথম পারিশ্রমিক পেয়েছিলাম আমি। সেদিন ৫০০ টাকা পেয়েছিলাম। আম্মুকে টাকাটা দিয়েছি। তখন আমি ক্লাস সিক্সে পড়ি।

প্রথম প্রেম: প্রথম প্রেমে পড়েছিলাম ১৮ বছর বয়সে। দুষ্টুমি করে নয়, প্রথম প্রেম আমার সিরিয়াস ছিল। যার সঙ্গে প্রেম করেছি সে আমাদের এলাকায় থাকত। এর বেশি কিছু এখন বলতে চাই না।

প্রথম পড়া বই: কমিকসের বই প্রথম পড়েছিলাম। চাচা চৌধুরী আমার প্রিয় একটি কমিক চরিত্র। আমি এখনো চাচা চৌধুরীর অনেক ভক্ত।

প্রথম শাড়ি পরা: স্কুলে পড়ার সময় কোনো এক ক্লাস পার্টিতে লাল শাড়ি পরেছিলাম। শাড়িটা আমার দাদির ছিল।

পোস্ট শেয়ার করুন

বিদেশের মাটিতে বিয়ে করলেন আমব্রিন

আপডেটের সময় : ০২:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর ২০১৭

বিয়ে করলেন মডেল-উপস্থাপিকা আমব্রিনা সারজিন আমব্রিন। আর এ খবর আজ মঙ্গলবার তিনি নিজেই দিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে।

জানা গেছে, আমব্রিনের স্বামী তৌসিফ আহসান চৌধুরী পরিবারের সঙ্গে কানাডায় স্থায়ীভাবে আছেন। সেখানে একটি প্রতিষ্ঠানের প্রপাটি ম্যানেজমেন্ট ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছেন। গত শনিবার কানাডার টরন্টোতে তাদের বিয়ে হয়েছে।

ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘বন্ধুরা, কেমন আছেন? এবার বিপিএলে কেন আমি নেই?—গত কয়েক দিন ধরে ফেসবুকে অনেকেই আমাকে এই প্রশ্ন করছেন, জানতে চেয়েছেন, লিখেছেন অনেকেই নাকি আমাকে মিস করছেন। আপনাদের এই আগ্রহ আমাকে মুগ্ধ করেছে। কিন্তু এ মুহূর্তে আমি কানাডায়। ৪ নভেম্বর বিয়ে করেছি। আমার জীবনের নতুন এক অধ্যায় শুরু হয়েছে। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন। এ বছরের বিপিএলের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।’

আরো জানা যায়, আমব্রিনের সঙ্গে তৌসিফের পরিচয় হয়েছে মাস ছয়েক আগে। এরপর ফেসবুক আর মুঠোফোনে কথা হয়। এর মাঝেই নিজেদের মাঝে মন দেওয়া-নেওয়া শুরু। এবার তাদের বিয়েটা পারিবারিকভাবেই হয়েছে।

২০০৭ সালে ‘লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার’ প্রতিযোগিতায় সেরা দশে ছিলেন আমব্রিন। এরপর মডেল আর উপস্থাপক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। অভিনয় করেছেন টিভি নাটকে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) টিভি অনুষ্ঠানের প্রেজেন্টার হিসেবে পান দারুণ জনপ্রিয়তা।

আমব্রিন বাদ, বিপিএল উপস্থাপনায় পিয়া
বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট লীগের সবচেয়ে বড় আসর বিপিএল। আসরটির উপস্থাপক হিসেবে এতোদিন আমব্রিনের নাম থাকলেও এবার নেই তিনি। সে স্থানে চূড়ান্ত করা হয়েছে মডেল উপস্থাপিকা পিয়া জান্নাতুলকে। তাই এবারের বিপিএলের পঞ্চম আসরের উপস্থাপিকা হিসেবে দর্শকরা পিয়া জান্নাতুলকেই দেখতে পাবেন দর্শকরা।

গ্রাউন্ড মাঠের এ উপস্থাপনায় পিয়া জান্নাতুলের সঙ্গে টুর্নামেন্টগুলোতে প্লেগ্রাউন্ড থেকে সরাসরি উপস্থাপনা করবেন দেশের আরও জনপ্রিয় একজন মডেল। এছাড়াও সামিয়া আফরিন ও মারিয়া নূরও উপস্থাপনায় থাকবেন বলে জানা গেছে।

এ প্রসঙ্গে পিয়া জানান, এবার বিপিএলের মাঠে থাকবো আগাগোড়া। বিশ্বের বড়বড় দেশে গিয়ে মডেলিং করার অভিজ্ঞতা থাকলেও ক্রিকেট উপস্থাপিকার ভূমিকায় এটা আমার জন্য একদমই নতুন অভিজ্ঞতা হতে যাচ্ছে। তবে আশা করি কাজ ভালোভাবেই করতে পারবো।

প্রথম প্রেমে পড়েছিলাম ১৮ বছর বয়সে: আমব্রিন
মডেল ও অভিনেত্রী আমব্রিনকে এখন সবাই ক্রিকেট উপস্থাপিকা হিসেবেই চেনেন। বিপিএলে সাবলীল উপস্থাপনার জন্য আন্তর্জাতিক একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইটের জরিপে বিশ্বের সেরা পাঁচ মহিলা ক্রিকেট উপস্থাপিকার একজনও হয়েছেন তিনি। আফজাল হোসেনের পরিচালনায় প্রথম টিভি নাটকে অভিনয় করেছিলেন তিনি। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে জীবনে ঘটে যাওয়া প্রথম উল্লেখযোগ্য আরো অনেক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন আমব্রিন।

প্রথম স্কুল: লিবিয়ার একটি স্কুলে পড়েছি।

প্রথম শিক্ষক: লিবিয়ার স্কুলের কোন একজন শিক্ষক ছিলেন। এখন তার নামটা আমার মনে নেই। পঞ্চম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় লিবিয়া থেকে আমি ঢাকায় আসি। তখন আমি ঢাকার উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলে ভর্তি হয়েছিলাম। সেখানকার একজন মিসকে এখনো আমার অনেক মনে পড়ে। তিনি হলেন রেহানা মিস। আমাকে অনেক আদর করতেন। স্টুডেন্ট হিসেবে আমি খুব ভালো ছিলাম না আবার খুব বেশি খারাপও ছিলাম না। মোটামুটি পর্যায়ের স্টুডেন্ট ছিলাম। ফলাফলও ভালো হতো।

প্রথম উপস্থাপনা: এনটিভির ‘মিউজিক ইউফোনি’ নামের একটি অনুষ্ঠান প্রথম উপস্থাপনা করেছিলাম। অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচারিত হয়েছিল। আমার অতিথি ছিলেন সংগীতশিল্পী ন্যান্সি আপু। তারও প্রথম লাইভ অনুষ্ঠান ছিল এটা। সত্যি বলতে আমি উপস্থাপনা করতে গিয়ে একটু নার্ভাস হয়েছিলাম। এটা সম্ভবত সরাসরি অনুষ্ঠান প্রচারের কারণে হয়েছিল।

প্রথম বিজ্ঞাপন: আফজাল হোসেনের নির্দেশনায় এইডসের বিষয়ে সচেতনতামূলক একটি বিজ্ঞাপনের মডেল হয়েছিলাম। এটা ২০০৮ সালের কথা। প্রথম বিজ্ঞাপনেই দেশের গুণী একজন নির্মাতাকে আমি পেয়েছিলাম।

প্রথম টিভি নাটক: আফজাল হোসেন পরিচালিত নাটকটির নাম ছিল ‘চলো বিয়ে করি’। নাটকটিতে আমার সহশিল্পী ছিলেন জয়া আহসান ও মাহফুজ আহমেদ। নাটকটির শুটিং ২০০৮ সালেই হয়েছিল।

প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর অভিজ্ঞতা: লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার সুন্দরী প্রতিযোগিতায় ২০০৭ সালে আমি সেরা দশে ছিলাম। তখনই আমি প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছি। এরপর তো বিজ্ঞাপনের মডেল এবং নাটকে অভিনয় করলাম। প্রথম ক্যামেরার সামনে আমি অনেক ফ্রেন্ডলি ছিলাম।

প্রথম পারিশ্রমিক: এটার একটা ভিন্ন গল্প আছে। আমি একসময় হাতে সুন্দরভাবে মেহেদী লাগিয়ে দিতে পারতাম। আমাদের বাসার নিচে একটা বড় আমগাছ ছিল। একদিন দুষ্টুমি করে একটা কাগজে লিখেছিলাম ‘এখানে মেহেদী লাগানো হয়’। সেই কাগজের পোস্টারটি গাছে লাগিয়ে দিয়েছিলাম। এটা দেখে অনেকে সেদিন মেহেদী লাগাতে এসেছিলেন। আমি সেদিন খুব মজা করে সবার হাতে মেহেদী লাগিয়ে দিয়েছিলাম। মেহেদী লাগিয়ে দিয়েই জীবনের প্রথম পারিশ্রমিক পেয়েছিলাম আমি। সেদিন ৫০০ টাকা পেয়েছিলাম। আম্মুকে টাকাটা দিয়েছি। তখন আমি ক্লাস সিক্সে পড়ি।

প্রথম প্রেম: প্রথম প্রেমে পড়েছিলাম ১৮ বছর বয়সে। দুষ্টুমি করে নয়, প্রথম প্রেম আমার সিরিয়াস ছিল। যার সঙ্গে প্রেম করেছি সে আমাদের এলাকায় থাকত। এর বেশি কিছু এখন বলতে চাই না।

প্রথম পড়া বই: কমিকসের বই প্রথম পড়েছিলাম। চাচা চৌধুরী আমার প্রিয় একটি কমিক চরিত্র। আমি এখনো চাচা চৌধুরীর অনেক ভক্ত।

প্রথম শাড়ি পরা: স্কুলে পড়ার সময় কোনো এক ক্লাস পার্টিতে লাল শাড়ি পরেছিলাম। শাড়িটা আমার দাদির ছিল।