ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে পর্তুগালে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশী প্রবাসীরা প্রিয়জনদের মানসিক রোগ যদি আপনজন বুঝতে না পারেন আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা করেছে পর্তুগাল আওয়ামীলীগ যেকোনো প্রচেষ্টা এককভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়: দুদক সচিব শ্রীমঙ্গলে দুটি চোরাই মোটরসাইকেল সহ মিল্টন কুমার আটক পর্তুগালের অভিবাসন আইনে ব্যাপক পরিবর্তন পর্তুগাল বিএনপি আহবায়ক কমিটির জুমে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয় এমপি আনোয়ারুল আজিমকে হত্যার ঘটনায় আটক তিনজন , এতে বাংলাদেশী মানুষ জড়িত:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকাস্থ ইরান দুতাবাসে রাইসির শোক বইয়ে মির্জা ফখরুলের স্বাক্ষর

ফেঞ্চুগঞ্জঃ ঝুকিতে রেল সেতু, আবার ঘটতে পারে ভয়ংকর দুর্ঘটনা

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেটের সময় : ০৯:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০১৯
  • / ৭৮৯ টাইম ভিউ

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ    নির্মাণের পর দেশ ভাগ হয়েছে, পরিবর্তন হয়েছে দেশের নাম। কিন্তু উত্তারাধিকারী সুত্রে প্রাপ্ত বাংলাদেশ রেলওয়ে নির্মিত অবকাঠামোয় হয়নি কোনো পরিবর্তন, পরিবর্ধন কিংবা পর্যাপ্ত সংস্কার। ফলে শত বছরের অধিক আখাউড়া সেকশনের কুলাউড়া-সিলেট রেল লাইন চরম জীর্ণদশায় উপনীত হয়েছে।

উক্ত সেকশনের কুশিয়ারা নদীর উপর ফেঞ্চুগঞ্জ রেল ব্রিজটিও বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ। ঝুঁকিপুর্ণ এই রেলসেতু দিয়ে বিপজ্জনক গতিতে ট্রেন চলাচল করছে। ফেঞ্চুগঞ্জ বাজারের উপর দিয়ে চলাচলকারী ট্রেনের দুর্ঘটনার আশংকায় জনমনে আতংক ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

সেতুর উভয় পার্শে সতর্কতামূলক সর্বোচ্ছ গতিবেগের সাইনবোর্ড থাকলেও গতি নিয়ন্ত্রন না করার অভিযোগ আন্তনগর ট্রেনগুলোর উপর। ৭৫ মিটার দৈর্ঘ্য এই রেলসেতুর মধ্যভাগে সেফটি পিঞ্জিরা থাকলেও বাজারের উপরিভাগ ও অপর প্রান্তে কোনো সেফটি পিঞ্জিরা নেই। বাজারের বিদ্যুতের লাইন স্থাপন করা হয়েছে সেতুর নীচ দিয়ে। বিশেষ করে ঝুঁিকপূর্ণ এই সেতুতে কোনো ট্রেন দুর্ঘটনায় পতিত হলে এর ভয়াবহতা অকল্পনীয় হবে বলে স্থানীয়রা আশংকা করছেন।

রেল সুত্রে জানা যায়, প্রতিদিন ওই সেতুর উপর দিয়ে আন্তনগর ও লোকাল ১৬টি ট্রেন ঝকঝক শব্দে ছুটে চলে। সুত্রটি আরো জানায়, ২০০৯ সালে সেতুর পিলারে ফাটল দেখা দিলে ট্রেন চলাচল সাময়িক বন্ধ রেখে ওই সময় সেতুর পিলার মেরামত করা হয় । ওই বছরের ২৬ অক্টোবর বাংলাদেশ রেলওয়ের চীফ ইঞ্জিনিয়ার নুর মোহাম্মদ এই প্রতিবেদককে জানিয়েছিলেন, বর্তমানে জরুরীভিত্তিতে সেতুর আংশিক মেরামত করা হলেও পরবর্তীতে বিদেশী বিশেষজ্ঞের পরামর্শের আলোকে সেতুর স্থায়ী সংস্কারের পরিকল্পনা চলছে। বৃটিশ প্রযুক্তির নির্মিত ফেঞ্চুগঞ্জ সেতুর স্থায়ীত্বের মেয়াদ অনেক আগেই শেষ যাওয়ায় সংগত কারনেই এটি এখন ঝুঁিকপূর্ণ বলেও তিনি জানান।

রেলওয়ের গুরুত্বপূর্ণ এবং বৃহত্তম এই সেতুর সংস্কার নিয়ে আর কোনো পরিকল্পনা বাস্তাবায়ন হতে দেখা যায়নি। সম্প্রতি বরমচাল ট্রাজেডির পর বাংলাদেশ রেলওয়ের বর্তমান চীফ ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল জলিলের মুঠোফোনে অসংখ্যবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। অনুরুপভাবে বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) রাশিদা সুলতানা গনী এবং এজিএম জোবেদা আক্তারের মুঠোফোনে গত এক সপ্তাহ যাবত একাধিকবার ফোন দিলেও উনারা ফোন রিসিভ করেননি। সর্বশেষ বাংলাদেশ রেলওয়ের সিলেট- –কুলাউড়া সেকশনের দায়িত্বে থাকা প্রধান প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমানের ফোনে বার বার যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

পোস্ট শেয়ার করুন

ফেঞ্চুগঞ্জঃ ঝুকিতে রেল সেতু, আবার ঘটতে পারে ভয়ংকর দুর্ঘটনা

আপডেটের সময় : ০৯:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০১৯

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ    নির্মাণের পর দেশ ভাগ হয়েছে, পরিবর্তন হয়েছে দেশের নাম। কিন্তু উত্তারাধিকারী সুত্রে প্রাপ্ত বাংলাদেশ রেলওয়ে নির্মিত অবকাঠামোয় হয়নি কোনো পরিবর্তন, পরিবর্ধন কিংবা পর্যাপ্ত সংস্কার। ফলে শত বছরের অধিক আখাউড়া সেকশনের কুলাউড়া-সিলেট রেল লাইন চরম জীর্ণদশায় উপনীত হয়েছে।

উক্ত সেকশনের কুশিয়ারা নদীর উপর ফেঞ্চুগঞ্জ রেল ব্রিজটিও বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ। ঝুঁকিপুর্ণ এই রেলসেতু দিয়ে বিপজ্জনক গতিতে ট্রেন চলাচল করছে। ফেঞ্চুগঞ্জ বাজারের উপর দিয়ে চলাচলকারী ট্রেনের দুর্ঘটনার আশংকায় জনমনে আতংক ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

সেতুর উভয় পার্শে সতর্কতামূলক সর্বোচ্ছ গতিবেগের সাইনবোর্ড থাকলেও গতি নিয়ন্ত্রন না করার অভিযোগ আন্তনগর ট্রেনগুলোর উপর। ৭৫ মিটার দৈর্ঘ্য এই রেলসেতুর মধ্যভাগে সেফটি পিঞ্জিরা থাকলেও বাজারের উপরিভাগ ও অপর প্রান্তে কোনো সেফটি পিঞ্জিরা নেই। বাজারের বিদ্যুতের লাইন স্থাপন করা হয়েছে সেতুর নীচ দিয়ে। বিশেষ করে ঝুঁিকপূর্ণ এই সেতুতে কোনো ট্রেন দুর্ঘটনায় পতিত হলে এর ভয়াবহতা অকল্পনীয় হবে বলে স্থানীয়রা আশংকা করছেন।

রেল সুত্রে জানা যায়, প্রতিদিন ওই সেতুর উপর দিয়ে আন্তনগর ও লোকাল ১৬টি ট্রেন ঝকঝক শব্দে ছুটে চলে। সুত্রটি আরো জানায়, ২০০৯ সালে সেতুর পিলারে ফাটল দেখা দিলে ট্রেন চলাচল সাময়িক বন্ধ রেখে ওই সময় সেতুর পিলার মেরামত করা হয় । ওই বছরের ২৬ অক্টোবর বাংলাদেশ রেলওয়ের চীফ ইঞ্জিনিয়ার নুর মোহাম্মদ এই প্রতিবেদককে জানিয়েছিলেন, বর্তমানে জরুরীভিত্তিতে সেতুর আংশিক মেরামত করা হলেও পরবর্তীতে বিদেশী বিশেষজ্ঞের পরামর্শের আলোকে সেতুর স্থায়ী সংস্কারের পরিকল্পনা চলছে। বৃটিশ প্রযুক্তির নির্মিত ফেঞ্চুগঞ্জ সেতুর স্থায়ীত্বের মেয়াদ অনেক আগেই শেষ যাওয়ায় সংগত কারনেই এটি এখন ঝুঁিকপূর্ণ বলেও তিনি জানান।

রেলওয়ের গুরুত্বপূর্ণ এবং বৃহত্তম এই সেতুর সংস্কার নিয়ে আর কোনো পরিকল্পনা বাস্তাবায়ন হতে দেখা যায়নি। সম্প্রতি বরমচাল ট্রাজেডির পর বাংলাদেশ রেলওয়ের বর্তমান চীফ ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল জলিলের মুঠোফোনে অসংখ্যবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। অনুরুপভাবে বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) রাশিদা সুলতানা গনী এবং এজিএম জোবেদা আক্তারের মুঠোফোনে গত এক সপ্তাহ যাবত একাধিকবার ফোন দিলেও উনারা ফোন রিসিভ করেননি। সর্বশেষ বাংলাদেশ রেলওয়ের সিলেট- –কুলাউড়া সেকশনের দায়িত্বে থাকা প্রধান প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমানের ফোনে বার বার যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।