ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
মহান স্বাধীনতা দিবস ও রমাদান উপলক্ষ্যে সাবেক ছাত্রদল অর্গানাইজেশনের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে পর্তুগাল বিএনপির আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে ক্যালিফোর্নিয়া বিএনপির আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ইতালির ভেনিসে আব্দুল্লাপুর আঞ্চলিক সমিতির ষষ্ঠ বর্ষে পর্দাপন কেক কেটে উদযাপন ইতালির মিলানে ফেনী জেলা সমিতির আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোজাদারদের সম্মানে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন ভারেজ প্রভিন্সের আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল স্বেচ্ছাসেবক দল ইতালি উত্তরের উদ্যোগে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ইফতার ও দোয়া মাহফিল এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত প্রায় ২৮ হাজার ৯০০ জন অভিবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) স্কুল শিক্ষিকা কে নির্যাতনের অভিযোগে ব্যাংক কর্মকর্তা স্বামী গ্রেফতার ইতালির বলোনিয়ায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ইফতার ও দোয়া মাহফিল

ফেঞ্চুগঞ্জঃ ঝুকিতে রেল সেতু, আবার ঘটতে পারে ভয়ংকর দুর্ঘটনা

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেটের সময় : ০৯:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০১৯
  • / ৭৬২ টাইম ভিউ

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ    নির্মাণের পর দেশ ভাগ হয়েছে, পরিবর্তন হয়েছে দেশের নাম। কিন্তু উত্তারাধিকারী সুত্রে প্রাপ্ত বাংলাদেশ রেলওয়ে নির্মিত অবকাঠামোয় হয়নি কোনো পরিবর্তন, পরিবর্ধন কিংবা পর্যাপ্ত সংস্কার। ফলে শত বছরের অধিক আখাউড়া সেকশনের কুলাউড়া-সিলেট রেল লাইন চরম জীর্ণদশায় উপনীত হয়েছে।

উক্ত সেকশনের কুশিয়ারা নদীর উপর ফেঞ্চুগঞ্জ রেল ব্রিজটিও বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ। ঝুঁকিপুর্ণ এই রেলসেতু দিয়ে বিপজ্জনক গতিতে ট্রেন চলাচল করছে। ফেঞ্চুগঞ্জ বাজারের উপর দিয়ে চলাচলকারী ট্রেনের দুর্ঘটনার আশংকায় জনমনে আতংক ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

সেতুর উভয় পার্শে সতর্কতামূলক সর্বোচ্ছ গতিবেগের সাইনবোর্ড থাকলেও গতি নিয়ন্ত্রন না করার অভিযোগ আন্তনগর ট্রেনগুলোর উপর। ৭৫ মিটার দৈর্ঘ্য এই রেলসেতুর মধ্যভাগে সেফটি পিঞ্জিরা থাকলেও বাজারের উপরিভাগ ও অপর প্রান্তে কোনো সেফটি পিঞ্জিরা নেই। বাজারের বিদ্যুতের লাইন স্থাপন করা হয়েছে সেতুর নীচ দিয়ে। বিশেষ করে ঝুঁিকপূর্ণ এই সেতুতে কোনো ট্রেন দুর্ঘটনায় পতিত হলে এর ভয়াবহতা অকল্পনীয় হবে বলে স্থানীয়রা আশংকা করছেন।

রেল সুত্রে জানা যায়, প্রতিদিন ওই সেতুর উপর দিয়ে আন্তনগর ও লোকাল ১৬টি ট্রেন ঝকঝক শব্দে ছুটে চলে। সুত্রটি আরো জানায়, ২০০৯ সালে সেতুর পিলারে ফাটল দেখা দিলে ট্রেন চলাচল সাময়িক বন্ধ রেখে ওই সময় সেতুর পিলার মেরামত করা হয় । ওই বছরের ২৬ অক্টোবর বাংলাদেশ রেলওয়ের চীফ ইঞ্জিনিয়ার নুর মোহাম্মদ এই প্রতিবেদককে জানিয়েছিলেন, বর্তমানে জরুরীভিত্তিতে সেতুর আংশিক মেরামত করা হলেও পরবর্তীতে বিদেশী বিশেষজ্ঞের পরামর্শের আলোকে সেতুর স্থায়ী সংস্কারের পরিকল্পনা চলছে। বৃটিশ প্রযুক্তির নির্মিত ফেঞ্চুগঞ্জ সেতুর স্থায়ীত্বের মেয়াদ অনেক আগেই শেষ যাওয়ায় সংগত কারনেই এটি এখন ঝুঁিকপূর্ণ বলেও তিনি জানান।

রেলওয়ের গুরুত্বপূর্ণ এবং বৃহত্তম এই সেতুর সংস্কার নিয়ে আর কোনো পরিকল্পনা বাস্তাবায়ন হতে দেখা যায়নি। সম্প্রতি বরমচাল ট্রাজেডির পর বাংলাদেশ রেলওয়ের বর্তমান চীফ ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল জলিলের মুঠোফোনে অসংখ্যবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। অনুরুপভাবে বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) রাশিদা সুলতানা গনী এবং এজিএম জোবেদা আক্তারের মুঠোফোনে গত এক সপ্তাহ যাবত একাধিকবার ফোন দিলেও উনারা ফোন রিসিভ করেননি। সর্বশেষ বাংলাদেশ রেলওয়ের সিলেট- –কুলাউড়া সেকশনের দায়িত্বে থাকা প্রধান প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমানের ফোনে বার বার যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

পোস্ট শেয়ার করুন

ফেঞ্চুগঞ্জঃ ঝুকিতে রেল সেতু, আবার ঘটতে পারে ভয়ংকর দুর্ঘটনা

আপডেটের সময় : ০৯:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০১৯

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ    নির্মাণের পর দেশ ভাগ হয়েছে, পরিবর্তন হয়েছে দেশের নাম। কিন্তু উত্তারাধিকারী সুত্রে প্রাপ্ত বাংলাদেশ রেলওয়ে নির্মিত অবকাঠামোয় হয়নি কোনো পরিবর্তন, পরিবর্ধন কিংবা পর্যাপ্ত সংস্কার। ফলে শত বছরের অধিক আখাউড়া সেকশনের কুলাউড়া-সিলেট রেল লাইন চরম জীর্ণদশায় উপনীত হয়েছে।

উক্ত সেকশনের কুশিয়ারা নদীর উপর ফেঞ্চুগঞ্জ রেল ব্রিজটিও বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ। ঝুঁকিপুর্ণ এই রেলসেতু দিয়ে বিপজ্জনক গতিতে ট্রেন চলাচল করছে। ফেঞ্চুগঞ্জ বাজারের উপর দিয়ে চলাচলকারী ট্রেনের দুর্ঘটনার আশংকায় জনমনে আতংক ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

সেতুর উভয় পার্শে সতর্কতামূলক সর্বোচ্ছ গতিবেগের সাইনবোর্ড থাকলেও গতি নিয়ন্ত্রন না করার অভিযোগ আন্তনগর ট্রেনগুলোর উপর। ৭৫ মিটার দৈর্ঘ্য এই রেলসেতুর মধ্যভাগে সেফটি পিঞ্জিরা থাকলেও বাজারের উপরিভাগ ও অপর প্রান্তে কোনো সেফটি পিঞ্জিরা নেই। বাজারের বিদ্যুতের লাইন স্থাপন করা হয়েছে সেতুর নীচ দিয়ে। বিশেষ করে ঝুঁিকপূর্ণ এই সেতুতে কোনো ট্রেন দুর্ঘটনায় পতিত হলে এর ভয়াবহতা অকল্পনীয় হবে বলে স্থানীয়রা আশংকা করছেন।

রেল সুত্রে জানা যায়, প্রতিদিন ওই সেতুর উপর দিয়ে আন্তনগর ও লোকাল ১৬টি ট্রেন ঝকঝক শব্দে ছুটে চলে। সুত্রটি আরো জানায়, ২০০৯ সালে সেতুর পিলারে ফাটল দেখা দিলে ট্রেন চলাচল সাময়িক বন্ধ রেখে ওই সময় সেতুর পিলার মেরামত করা হয় । ওই বছরের ২৬ অক্টোবর বাংলাদেশ রেলওয়ের চীফ ইঞ্জিনিয়ার নুর মোহাম্মদ এই প্রতিবেদককে জানিয়েছিলেন, বর্তমানে জরুরীভিত্তিতে সেতুর আংশিক মেরামত করা হলেও পরবর্তীতে বিদেশী বিশেষজ্ঞের পরামর্শের আলোকে সেতুর স্থায়ী সংস্কারের পরিকল্পনা চলছে। বৃটিশ প্রযুক্তির নির্মিত ফেঞ্চুগঞ্জ সেতুর স্থায়ীত্বের মেয়াদ অনেক আগেই শেষ যাওয়ায় সংগত কারনেই এটি এখন ঝুঁিকপূর্ণ বলেও তিনি জানান।

রেলওয়ের গুরুত্বপূর্ণ এবং বৃহত্তম এই সেতুর সংস্কার নিয়ে আর কোনো পরিকল্পনা বাস্তাবায়ন হতে দেখা যায়নি। সম্প্রতি বরমচাল ট্রাজেডির পর বাংলাদেশ রেলওয়ের বর্তমান চীফ ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল জলিলের মুঠোফোনে অসংখ্যবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। অনুরুপভাবে বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) রাশিদা সুলতানা গনী এবং এজিএম জোবেদা আক্তারের মুঠোফোনে গত এক সপ্তাহ যাবত একাধিকবার ফোন দিলেও উনারা ফোন রিসিভ করেননি। সর্বশেষ বাংলাদেশ রেলওয়ের সিলেট- –কুলাউড়া সেকশনের দায়িত্বে থাকা প্রধান প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমানের ফোনে বার বার যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।