ঢাকা , শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

প্রতিষ্ঠার ৪১ বছর পর সবচেয়ে বড় সংকটে বিএনপি

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০৩:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • / ৩০৮ টাইম ভিউ

দেশদিগন্ত ডেস্ক : ৪২ বছরে পা দিলো দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপি। তবে প্রতিষ্ঠার পর এখন সবচেয়ে বড় সংকটের মুখে আছে দলটি। এ জন্য সরকারকে দুষছেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। যদিও তরুণ নেতারা মনে করেন সঠিক পথেই চলছে দল।

৭৫ সালে ৭ নভেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক যাত্রার সুচনা। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৮ সালের পয়লা সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।
১৯৮১ সালে জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর, দলের হাল ধরেন তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তারই নেতৃত্বে ৯০’র পর তিনবার ক্ষমতায় আসে দলটি। কিন্তু প্রতিষ্ঠার ৪১ বছরের মাথায় তারাই এখন পার করছে কঠিন সময়।
এক যুগেরও বেশি সময় ক্ষমতার বাইরে থাকা, দলের চেয়ারপারসনের কারাভোগ, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসনের স্বেচ্ছায় প্রবাসে অবস্থান, ২০১৪ সালে নির্বাচনে অংশ না নেয়া এবং একাদশ জাতীয় নির্বাচনে কাঙ্খিত ফল না পাওয়া-এমন নানা কারণেই সংকটের গভীরে তলিয়েছে দলটি। তারপরও শীর্ষ নেতৃত্বেই আস্থা রাখছেন তরুণ নেতারা।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবীব উন নবী খান সোহেল বলেন, ‘সব সময় পথ সুগম হয় না। নানা বাঁধা বিপত্তি থাকবেই। আমাদের সাথে যা কিছু হয়েছে সেগুলো সে প্রচেষ্টারই অংশ। তবে আমরা তা সফলভাবে মোকাবেলা করতে পেরেছি। ফলে আজ বিএনপি দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক শক্তি।’
প্রচার বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী বলেন, ‘শীর্ষ নেতৃত্ব এবং তৃনমূল পর্যায়ের নেতৃত্ব অথবা নবীন নেতৃত্ব সবাই আমরা একটা ধারাবাহিকতার মধ্য দিয়ে দলকে পরিচালনা করে যাচ্ছি।’
নেতৃত্ব নয়, সাংগঠনিক সংকটের জন্য সরকারে নিপীড়নমূলক আচরণকে দায়ী করেই সন্তুষ্টি খুঁজছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, দায়ত সরকারেরই। এ দেশকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ওপর চালু রাখার জন্য দায়িত্ব সরকারের। স্ট্রিয়ারিং তার (সরকারের) হাতে। সে যদি পরিবেশ তৈরি না করে, যেখানে আমি উদারপন্থী রাজনৈতিক দল হিসেবে কাজ করতে পারব। সে দায়টা কার? আমার? আমরা মার খাচ্ছি, মরে যাচ্ছি, জেলে যাচ্ছি।

এমন কঠিন সময়েও নেতাকর্মীদের দল ছেড়ে না যাওয়ার মাঝেই সংকট কাটিয়ে ওঠার সম্ভাবনা দেখছেন বিএনপি নেতারা।

পোস্ট শেয়ার করুন

প্রতিষ্ঠার ৪১ বছর পর সবচেয়ে বড় সংকটে বিএনপি

আপডেটের সময় : ০৩:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৯

দেশদিগন্ত ডেস্ক : ৪২ বছরে পা দিলো দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপি। তবে প্রতিষ্ঠার পর এখন সবচেয়ে বড় সংকটের মুখে আছে দলটি। এ জন্য সরকারকে দুষছেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। যদিও তরুণ নেতারা মনে করেন সঠিক পথেই চলছে দল।

৭৫ সালে ৭ নভেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক যাত্রার সুচনা। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৮ সালের পয়লা সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।
১৯৮১ সালে জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর, দলের হাল ধরেন তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তারই নেতৃত্বে ৯০’র পর তিনবার ক্ষমতায় আসে দলটি। কিন্তু প্রতিষ্ঠার ৪১ বছরের মাথায় তারাই এখন পার করছে কঠিন সময়।
এক যুগেরও বেশি সময় ক্ষমতার বাইরে থাকা, দলের চেয়ারপারসনের কারাভোগ, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসনের স্বেচ্ছায় প্রবাসে অবস্থান, ২০১৪ সালে নির্বাচনে অংশ না নেয়া এবং একাদশ জাতীয় নির্বাচনে কাঙ্খিত ফল না পাওয়া-এমন নানা কারণেই সংকটের গভীরে তলিয়েছে দলটি। তারপরও শীর্ষ নেতৃত্বেই আস্থা রাখছেন তরুণ নেতারা।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবীব উন নবী খান সোহেল বলেন, ‘সব সময় পথ সুগম হয় না। নানা বাঁধা বিপত্তি থাকবেই। আমাদের সাথে যা কিছু হয়েছে সেগুলো সে প্রচেষ্টারই অংশ। তবে আমরা তা সফলভাবে মোকাবেলা করতে পেরেছি। ফলে আজ বিএনপি দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক শক্তি।’
প্রচার বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী বলেন, ‘শীর্ষ নেতৃত্ব এবং তৃনমূল পর্যায়ের নেতৃত্ব অথবা নবীন নেতৃত্ব সবাই আমরা একটা ধারাবাহিকতার মধ্য দিয়ে দলকে পরিচালনা করে যাচ্ছি।’
নেতৃত্ব নয়, সাংগঠনিক সংকটের জন্য সরকারে নিপীড়নমূলক আচরণকে দায়ী করেই সন্তুষ্টি খুঁজছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, দায়ত সরকারেরই। এ দেশকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ওপর চালু রাখার জন্য দায়িত্ব সরকারের। স্ট্রিয়ারিং তার (সরকারের) হাতে। সে যদি পরিবেশ তৈরি না করে, যেখানে আমি উদারপন্থী রাজনৈতিক দল হিসেবে কাজ করতে পারব। সে দায়টা কার? আমার? আমরা মার খাচ্ছি, মরে যাচ্ছি, জেলে যাচ্ছি।

এমন কঠিন সময়েও নেতাকর্মীদের দল ছেড়ে না যাওয়ার মাঝেই সংকট কাটিয়ে ওঠার সম্ভাবনা দেখছেন বিএনপি নেতারা।