ঢাকা , শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

জমির মালিকানার বিরোধের জের কমলগঞ্জে কুপিয়ে এক ব্যক্তিকে হত্যা ॥ আটক-৩

নীলকান্ত সূত্রধর
  • আপডেটের সময় : ০৮:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ ডিসেম্বর ২০১৮
  • / ৮৪৭ টাইম ভিউ

নীলকান্ত সূত্রধর: জমির মালিকানা নিয়ে পূর্ব বিরোধের জের ধরে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ১নং রহিমপুর ইউনিয়নের উত্তর বড়চেগ গ্রামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ সন্দেহজনক ৩ জনকে আটক করেছে। রোববার ৯ ডিসেম্বর বিকাল ৫টায় কুপিয়ে গুরুতরভাবে আহত ব্যক্তিকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সন্ধ্যা রাত ৭টায় তার মৃত্যু হয়। নিহত ব্যক্তি উত্তর বড়চেড় গ্রামের নজির মিয়ার ছেলে গিয়াস মিয়া (৩৫)।

গ্রামবাসী সূত্রে ও নিহতের আত্মীয় মোস্তাক মিয়া জানা যায়, ২০ শতাংশ ধানি জমি নিয়ে উত্তর বড়চেগ গ্রামের মৃত হাজী রমিজ মিয়ার ছেলে জামাল মিয়া (৩৮) ও বাদশাহ মিয়া (৩৫)-র সাথে নিহত গিয়াস মিয়ার পরিবারের দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। এ নিয়ে রহিমপুর ইউনিয়ন পরিষদে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে সামাজিক বিচারের পর বিরোধপূর্ণ জমি গিয়াস মিয়াদের উল্লেখ করে জমির সীমানায় খুটি স্থ্পান করা হয়েছিল। সম্প্রতি জামাল মিয়া দুবাই থেকে দেশে ফিরে সামাজিক বিচারের পর জমি সীমানায় স্থাপিত খুঁটি উপড়ে ফেলে।

রোববার সন্ধ্যার আগে গিয়াস মিয়া নিজের ধানি জমি দেখতে গিয়ে সীমানা খুঁটি উপড়ে ফেলার প্রতিবাদ করলে তর্ক বিতর্কের এক পর্যায়ে জামাল মিয়া, তার ভাই বাদশাহসহ সহযোগীরা দা দিয়ে কুপিয়ে গিয়াস মিয়াকে গুরুতরভাবে আহত করে। গ্রামবাসীর সহায়তায় গিয়াস মিয়াকে উদ্ধার করে স্বজনরা সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে সন্ধ্যা রাত ৭টায় তার মৃত্যু হয়।

ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান, পরিদর্শক (তদন্ত) সুধীন চন্দ্র দাসসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাজ্জাদ মিয়া, সোহেল মিয়া ও সুজন মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে মূল হামলাকারী জামাল মিয়া ও বাদশাহ মিয়া পালিয়ে যায়।

কমলগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুধীন চন্দ্র দাস হত্যাকান্ডের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করা হয়। নিহতের পরিবার থেকে অভিযোগ দিলে পরবর্তী আইন ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানান।

নিহতের আত্মীয় মোস্তাক মিয়া জানান, হত্যাকান্ডের খবর পেয়ে গিয়াসের এক ভাই বিদেশ ধেকে এসেছেন। তিনি বাদী হয়ে রাতে থানায় মামলা করবেন।

পোস্ট শেয়ার করুন

জমির মালিকানার বিরোধের জের কমলগঞ্জে কুপিয়ে এক ব্যক্তিকে হত্যা ॥ আটক-৩

আপডেটের সময় : ০৮:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ ডিসেম্বর ২০১৮

নীলকান্ত সূত্রধর: জমির মালিকানা নিয়ে পূর্ব বিরোধের জের ধরে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ১নং রহিমপুর ইউনিয়নের উত্তর বড়চেগ গ্রামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ সন্দেহজনক ৩ জনকে আটক করেছে। রোববার ৯ ডিসেম্বর বিকাল ৫টায় কুপিয়ে গুরুতরভাবে আহত ব্যক্তিকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সন্ধ্যা রাত ৭টায় তার মৃত্যু হয়। নিহত ব্যক্তি উত্তর বড়চেড় গ্রামের নজির মিয়ার ছেলে গিয়াস মিয়া (৩৫)।

গ্রামবাসী সূত্রে ও নিহতের আত্মীয় মোস্তাক মিয়া জানা যায়, ২০ শতাংশ ধানি জমি নিয়ে উত্তর বড়চেগ গ্রামের মৃত হাজী রমিজ মিয়ার ছেলে জামাল মিয়া (৩৮) ও বাদশাহ মিয়া (৩৫)-র সাথে নিহত গিয়াস মিয়ার পরিবারের দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। এ নিয়ে রহিমপুর ইউনিয়ন পরিষদে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে সামাজিক বিচারের পর বিরোধপূর্ণ জমি গিয়াস মিয়াদের উল্লেখ করে জমির সীমানায় খুটি স্থ্পান করা হয়েছিল। সম্প্রতি জামাল মিয়া দুবাই থেকে দেশে ফিরে সামাজিক বিচারের পর জমি সীমানায় স্থাপিত খুঁটি উপড়ে ফেলে।

রোববার সন্ধ্যার আগে গিয়াস মিয়া নিজের ধানি জমি দেখতে গিয়ে সীমানা খুঁটি উপড়ে ফেলার প্রতিবাদ করলে তর্ক বিতর্কের এক পর্যায়ে জামাল মিয়া, তার ভাই বাদশাহসহ সহযোগীরা দা দিয়ে কুপিয়ে গিয়াস মিয়াকে গুরুতরভাবে আহত করে। গ্রামবাসীর সহায়তায় গিয়াস মিয়াকে উদ্ধার করে স্বজনরা সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে সন্ধ্যা রাত ৭টায় তার মৃত্যু হয়।

ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান, পরিদর্শক (তদন্ত) সুধীন চন্দ্র দাসসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাজ্জাদ মিয়া, সোহেল মিয়া ও সুজন মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে মূল হামলাকারী জামাল মিয়া ও বাদশাহ মিয়া পালিয়ে যায়।

কমলগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুধীন চন্দ্র দাস হত্যাকান্ডের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করা হয়। নিহতের পরিবার থেকে অভিযোগ দিলে পরবর্তী আইন ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানান।

নিহতের আত্মীয় মোস্তাক মিয়া জানান, হত্যাকান্ডের খবর পেয়ে গিয়াসের এক ভাই বিদেশ ধেকে এসেছেন। তিনি বাদী হয়ে রাতে থানায় মামলা করবেন।