মরণব্যাধী ক্যান্সারের কাছে অবশেষে হার মানলেন কুলাউড়া সরকারি কলেজের মেধাবী ছাত্র ও তরুণ সংগঠক মোস্তফা কামাল মান্না। ১০ মে শুক্রবার রাত ১১.৪৫ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ২৫ বছর। ১১ মে শনিবার দুপুর ২টায় কুলাউড়া উত্তর বাজার জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাযার নামাজ শেষে মসজিদ কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। জানাযার নামাজে কয়েক সহস্রাধিক মুসল্লী অংশ নেয়। মৃত্যু অবধি মান্না তার বাবা, মা, বোনসহ আত্মীয়-স্বজন ও অসংখ্য গ্রণগ্রাহী রেখে গেছেন। মান্নার অকাল মৃত্যুতে তাঁর পরিবারসহ, বন্ধুমহলের মধ্যে এক শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মান্না কুলাউড়া পৌরসভার উত্তর মাগুরার বাসিন্দা মোঃ খলিলুর রহমানের একমাত্র পুত্র। জানা যায়, মান্না কুলাউড়া সরকারি কলেজ থেকে ২০১২ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে একই কলেজ থেকে কৃতিত্বের সহিত ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। মান্না পড়ালেখার পাশাপাশি কুলাউড়ার বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে সমাজ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করেছিলো। ২০১৬ সালে হঠাৎ করে তার গলার মধ্যে দূরারোগ্য ব্যাধী হজকিন লিম্ফোমা ক্যান্সার ধরা পড়ে। পরবর্তীতে দেশে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের শরণাপন্ন হলে ডাক্তাররা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ভারত নেবার পরামর্শ দেন। দিল্লীর রাজীব গান্ধী সাইন্স রিসার্চ ইন্সটিটিউটে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে সেখানে তাঁর চিকিৎসা অনেক ব্যয়বহুল হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কলকাতা সারদগোপ্তা ক্যান্সার হাসপাতালে ভর্তি করলে তাঁর চিকিৎসার অবনতি হলে তাকে দেশে নিয়ে আসা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উল্লেখ্য, মান্নার চিকিৎসা তহবিলে দেশ ও প্রবাসে অবস্থানরত কুলাউড়াবাসী, জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক সংগঠন ও মান্নার বন্ধুমহলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে।
deshdiganto.com © 2019 কপিরাইট এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত
design and development by : http://webnewsdesign.com