ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে পর্তুগালে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশী প্রবাসীরা প্রিয়জনদের মানসিক রোগ যদি আপনজন বুঝতে না পারেন আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা করেছে পর্তুগাল আওয়ামীলীগ যেকোনো প্রচেষ্টা এককভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়: দুদক সচিব শ্রীমঙ্গলে দুটি চোরাই মোটরসাইকেল সহ মিল্টন কুমার আটক পর্তুগালের অভিবাসন আইনে ব্যাপক পরিবর্তন পর্তুগাল বিএনপি আহবায়ক কমিটির জুমে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয় এমপি আনোয়ারুল আজিমকে হত্যার ঘটনায় আটক তিনজন , এতে বাংলাদেশী মানুষ জড়িত:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকাস্থ ইরান দুতাবাসে রাইসির শোক বইয়ে মির্জা ফখরুলের স্বাক্ষর

কুলাউড়ার মুক্তিযোদ্ধা আতার জীবন যুদ্ধের খোঁজ কেউ রাখে না

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেটের সময় : ১২:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
  • / ১৪১৪ টাইম ভিউ

থানায় নিরপরাধ কোন মানুষ কিংবা দলীয় কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। সবার  আগে তাকে ছাড়াতে ছুটে গেছেন তিনি। এজন্য অনেকে তাকে থানার দালালও বলতেন। কিন্তু বাস্তবে এই পরপোকারি ব্যক্তিটি বিনিময়ে একটি টাকাও নিতেন না। সারা জীবন নি:স্বার্থভাবে মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। এমন মানুষ বর্তমান সমাজে বিরল।

৭১এর রণাঙ্গণে অস্ত্রহাতে জীবন বাজি রেখে দেশকে স্বাধীনতা করেছেন। সেই যুদ্ধজয়ী ব্যক্তির নাম আতাউর রহমান আতা। একজন বীর মুুক্তিযোদ্ধা। মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার প্রাক্তন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার। রাজনৈতিক জীবনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।

একটা সময় মানুষের জন্য নিজের পরিবারকে ঠিকমতো সময় দিতে পারেননি। দেশ এবং দলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ হওয়া সত্ত্বেও আজ তার পাশে কেউ নেই। পারকিনসন্স ডিজিজে দীর্ঘদিন থেকে গৃহবন্দি। কেউ তার খোঁজ নেয় না। ক্ষমতার মোহে বড় বড় নেতারা হয়তো ভুলে গেছেন দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ এই আতার কথা।

তাঁর চিকিৎসাটা ব্যয়বহুল হওয়াতে ঠিক মতো চিকিৎসাও নিতে পারছেন না। অত্যন্ত সামাজিক এ মানুষটি এখন বড়ই একা। পরিবারের সদস্যদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, দলীয় দুই-চারজন নেতা কর্মী আগে আসলেও, এখন কেউ আর দেখতেও আসেন না। মাঝে মাঝে দু একজন মুক্তিযোদ্ধা আসলেও এখন আর তেমন কেউ খোঁজ-খবরও রাখেন না।

মুক্তিসংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত এ ভূখন্ডে একজন মুক্তিযোদ্ধা যদি রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা সেবা না পান, বিনা চিকিৎসায় নি:শেষ হতে হয়। তাহলে কি প্রয়োজন ছিলো ৯ মাস জীবন বাজি রেখে দেশকে স্বাধীন করার? মুক্তিযোদ্ধাদের জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বলা হয়। বাস্তবে সেটা কতটা সত্যি?

শুধু আতা সাহেব নয়, সকল মুক্তিযোদ্ধার এবং সময়ের দাবি মুকিযোদ্ধাদের শতভাগ চিকিৎসা রাষ্ট্রীয় খরচে সম্পন্ন করা। নয়তো সুচিকিৎসার অভাবে যদি মৃত্যুর প্রহর গুনতে হয়, তাহলে সেই কলঙ্কের ভার আমাদেরকেই বহন করতে হবে।

যাদের ত্যাগ- তিতিক্ষার বিনিময়ে এদেশ স্বাধীন হয়েছে, সেই স্বাধীন ভূখন্ডে তাঁরা বিনা চিকিৎসায় মরতে পারে না।

পোস্ট শেয়ার করুন

কুলাউড়ার মুক্তিযোদ্ধা আতার জীবন যুদ্ধের খোঁজ কেউ রাখে না

আপডেটের সময় : ১২:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

থানায় নিরপরাধ কোন মানুষ কিংবা দলীয় কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। সবার  আগে তাকে ছাড়াতে ছুটে গেছেন তিনি। এজন্য অনেকে তাকে থানার দালালও বলতেন। কিন্তু বাস্তবে এই পরপোকারি ব্যক্তিটি বিনিময়ে একটি টাকাও নিতেন না। সারা জীবন নি:স্বার্থভাবে মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। এমন মানুষ বর্তমান সমাজে বিরল।

৭১এর রণাঙ্গণে অস্ত্রহাতে জীবন বাজি রেখে দেশকে স্বাধীনতা করেছেন। সেই যুদ্ধজয়ী ব্যক্তির নাম আতাউর রহমান আতা। একজন বীর মুুক্তিযোদ্ধা। মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার প্রাক্তন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার। রাজনৈতিক জীবনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।

একটা সময় মানুষের জন্য নিজের পরিবারকে ঠিকমতো সময় দিতে পারেননি। দেশ এবং দলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ হওয়া সত্ত্বেও আজ তার পাশে কেউ নেই। পারকিনসন্স ডিজিজে দীর্ঘদিন থেকে গৃহবন্দি। কেউ তার খোঁজ নেয় না। ক্ষমতার মোহে বড় বড় নেতারা হয়তো ভুলে গেছেন দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ এই আতার কথা।

তাঁর চিকিৎসাটা ব্যয়বহুল হওয়াতে ঠিক মতো চিকিৎসাও নিতে পারছেন না। অত্যন্ত সামাজিক এ মানুষটি এখন বড়ই একা। পরিবারের সদস্যদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, দলীয় দুই-চারজন নেতা কর্মী আগে আসলেও, এখন কেউ আর দেখতেও আসেন না। মাঝে মাঝে দু একজন মুক্তিযোদ্ধা আসলেও এখন আর তেমন কেউ খোঁজ-খবরও রাখেন না।

মুক্তিসংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত এ ভূখন্ডে একজন মুক্তিযোদ্ধা যদি রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা সেবা না পান, বিনা চিকিৎসায় নি:শেষ হতে হয়। তাহলে কি প্রয়োজন ছিলো ৯ মাস জীবন বাজি রেখে দেশকে স্বাধীন করার? মুক্তিযোদ্ধাদের জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বলা হয়। বাস্তবে সেটা কতটা সত্যি?

শুধু আতা সাহেব নয়, সকল মুক্তিযোদ্ধার এবং সময়ের দাবি মুকিযোদ্ধাদের শতভাগ চিকিৎসা রাষ্ট্রীয় খরচে সম্পন্ন করা। নয়তো সুচিকিৎসার অভাবে যদি মৃত্যুর প্রহর গুনতে হয়, তাহলে সেই কলঙ্কের ভার আমাদেরকেই বহন করতে হবে।

যাদের ত্যাগ- তিতিক্ষার বিনিময়ে এদেশ স্বাধীন হয়েছে, সেই স্বাধীন ভূখন্ডে তাঁরা বিনা চিকিৎসায় মরতে পারে না।