ঢাকা , বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
পর্তুগালে মানবিক সেচ্ছাসেবী সংগঠন “সদিচ্ছা ফাউন্ডেশন” এর লোগো সম্বলিত টি শার্ট উন্মোচন যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে

বিশ্বনাথের সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি হওয়াতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

বিশ্বনাথ প্রতিনিধি
  • আপডেটের সময় : ০৬:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুন ২০২০
  • / ৩৮৬ টাইম ভিউ

সিলেটের বিশ্বনাথে গত কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলার সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টিপাত ও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এভাবে আরও দুই-তিনদিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে উপজেলাজুড়ে বন্যা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার লামাকাজি ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত রয়েছে। বাড়ির বসত ঘরে এখনো পানি ওঠেনি, তবে ছুঁইছুঁই করছে। তবে বাড়ির আঙ্গিনায়-রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে কয়েকটি পরিবারের মানুষ বাড়িতে পানিবন্ধি অবস্থায় রয়েছেন। গবাদিপশু নিয়ে পড়েছেন অনেক কৃষক বিপাকে। সুরমা নদীর পানি আরও বৃদ্ধি পেলে নদীর পাড়ে অবস্থিত বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের মির্জারগাঁও, মাহতাবপুর, মাধবপুর, কাজীবাড়ি, রাজাপুর, তিলকপুর, হাজারীগাঁও, আকিলপুর, রসুলপুর, সোনাপুর এলাকার মানুষ ক্ষয়ক্ষতির শিকার হবেন বলেও জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এছাড়া টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলের উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়া বাসিয়া নদীসহ উপজেলার সবকটি নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এ বিষয়ে লামাকাজি ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বলেন, ওয়ার্ডের কয়েকটি গ্রামের মানুষ পানি বন্ধি রয়েছেন।
লামাকাজি ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া বলেন, তবে এভাবে বৃষ্টি হলে ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) কামরুজ্জামান বলেন, টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলের পানিতে উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বেশ কয়েকটি গ্রামে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি নজরদারী করা হচ্ছে ও বর্তমান পরিস্থিতি অবনতি হলে মানুষকে সাহায্য করার জন্য উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। তবে এখনও উপজেলায় বন্যা হয়নি বলে তিনি জানান।

পোস্ট শেয়ার করুন

বিশ্বনাথের সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি হওয়াতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

আপডেটের সময় : ০৬:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুন ২০২০

সিলেটের বিশ্বনাথে গত কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলার সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টিপাত ও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এভাবে আরও দুই-তিনদিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে উপজেলাজুড়ে বন্যা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার লামাকাজি ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত রয়েছে। বাড়ির বসত ঘরে এখনো পানি ওঠেনি, তবে ছুঁইছুঁই করছে। তবে বাড়ির আঙ্গিনায়-রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে কয়েকটি পরিবারের মানুষ বাড়িতে পানিবন্ধি অবস্থায় রয়েছেন। গবাদিপশু নিয়ে পড়েছেন অনেক কৃষক বিপাকে। সুরমা নদীর পানি আরও বৃদ্ধি পেলে নদীর পাড়ে অবস্থিত বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের মির্জারগাঁও, মাহতাবপুর, মাধবপুর, কাজীবাড়ি, রাজাপুর, তিলকপুর, হাজারীগাঁও, আকিলপুর, রসুলপুর, সোনাপুর এলাকার মানুষ ক্ষয়ক্ষতির শিকার হবেন বলেও জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এছাড়া টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলের উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়া বাসিয়া নদীসহ উপজেলার সবকটি নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এ বিষয়ে লামাকাজি ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বলেন, ওয়ার্ডের কয়েকটি গ্রামের মানুষ পানি বন্ধি রয়েছেন।
লামাকাজি ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া বলেন, তবে এভাবে বৃষ্টি হলে ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) কামরুজ্জামান বলেন, টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলের পানিতে উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বেশ কয়েকটি গ্রামে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি নজরদারী করা হচ্ছে ও বর্তমান পরিস্থিতি অবনতি হলে মানুষকে সাহায্য করার জন্য উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। তবে এখনও উপজেলায় বন্যা হয়নি বলে তিনি জানান।