বিএনপি পর্তুগাল শাখার উদ্যোগে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত! বন্যার্ত মানুষের ত্রান তহবিলের জন্যে ৬ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি পর্তুগাল শাখার উদ্যোগে রবিবার স্থানীয় সময় রাত ৭.০০ ঘটিকার সময় লিসবনে অবস্থিত রাধুনি রেস্টুরেন্টে পর্তুগালে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে বিএনপির ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন হয়েছে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি পর্তুগাল শাখার আয়োজনে বন্যায় নিহত ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলনে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনাসহ বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও বেগম খালেদা জিয়ার আশু সুস্থতা  এবং তারেক রহমানের দীর্ঘায়ু কামনায় বিশেষ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি পর্তুগাল শাখার আহবায়ক আবু ইউসুফ তালুকদারের সভাপতিত্বে, সদস্য সচিব ছায়েফ আহমেদ সুইট এর সঞ্চালনায় পর্তুগাল বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য জুবেল আহমদ এর কোরআন তেলাওয়াত মধ্য দিয়ে শুরু হয়।

উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক জনাব আনোয়ার হোসেন খোকন। জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীত পরিবেশন পর শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সাবেক ছাত্রনেতা এস এম কাউসার।

এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন পর্তুগাল বিএনপির সিঃ যুগ্ম আহবায়ক কাজল আহমদ,পর্তুগাল বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শেখ খালেদ আহমদ মিনহাজ, মনজুরুল হোসেন জিন্নাহ ,সাইফুল হক, আজমল আহমদ ,শামসুজ্জামান জামান , এম কে নাসির, দেলোয়ার আহমদ রাফি, পর্তুগাল বিএনপির যুগ্ন সদস্য সচিব আব্দুল ওয়াহিদ চৌধুরী পারভেছ, পর্তুগাল বিএনপির যুগ্ন সদস্য সচিব মাহফুজুল আলম সোহাগ,বীর মুক্তিযোদ্ধা পর্তুগাল বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য কাজী এমদাদ, পর্তুগাল বিএনপির সদস্য সাইদুল ইসলাম, আব্দুল হাসিব, শেখ নিজামুর রহমান টিপু, পর্তুগাল বিএনপি নেতা মহিন উদ্দিন, পর্তুগাল বিএনপির সদস্য, মোয়াজ্জেম হোসেন কায়েছ, সুজন ভুইয়া, এডভোকেট জাকির হামিদী,আবদুল মতিন, মো নাহিয়ান শেখ, মো আশরাফুল ইসলাম, নাসির উদ্দীন মাস্টার, স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক গিলমান চৌধরী, যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আমান, পর্তুগাল যুবদল নেতা এমদাদুল হক স্বপন, এমডি কফিল উদ্দিন, জাকির আহমদ বেজা বিএনপি নেতা ময়নুল ইসলাম, মারুফ আহমদ, রমজান মিয়া, বিলাল হাজারী,রতন মিয়া।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনাব আনোয়ার হোসেন খোকন বলেন “ইউরোপ তথা বহির্বিশ্ব বিএনপির মধ্যে পর্তুগাল বিএনপি অত্যন্ত সু সংগঠিত, পর্তুগাল বিএনপির নেতৃবৃন্দ আজ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য যে মহতি উদ্যোগ গ্রহন করেছে সে জন্য তিনি কেন্দ্রীয় বিএনপির পক্ষ থেকে পর্তুগাল বিএনপির নেতৃবৃন্দদের ধন্যবাদ জানান”

তিনি আরও বলেন, “বিএনপির রাজনীতি করতে হলে দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, এবং দেশ নায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বকে মেনেই রাজনীতি করতে হবে, এবং দল যে সিদ্ধান্ত দিবে সেই সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান রেখে রাজনীতি করতে হবে, কোন সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে দলে কেউ স্থান গ্রহণ করতে পারবে না, তিনি পর্তুগাল বিএনপির নেতৃবৃন্দকে সুন্দর একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় ধন্যবাদ জানান।”

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পর্তুগাল বিএনপি নেতা কবির আহমেদ খান, পর্তুগাল বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য লিটন মিয়া, সদস্য তোফায়েল আহমদ,সদস্য রুবেল চৌধুরী, সদস্য জাহেদ আহমদ,রাহুল আহমদ মতিন, তাজ উদ্দিন, মাজেদ আহমেদ সামি, আবদুল আহাদ,আনিস, মোহাম্মদ চুনু মিয়া,আলমাছ উদ্দিন, কারী সায়েম উদ্দিন,আনোয়ার হোসেন সিহাব, সুমন আহমদ,সমরু আহমদ প্রমুখ।

পর্তুগাল বিএনপির আহবায়ক আবু ইউসুফ তালুকদার পর্তুগাল বিএনপি, যুবদল ও সেচ্ছাসেবক দলের নেতৃবৃন্দের প্রতি বিশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান, বাংলাদেশের বন্যার্ত মানুষের পাশে দাড়ানোর জন্য।

পর্তুগাল বিএনপির সদস্য সচিব ছায়েফ আহমেদ সুইট বলেন, “বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি গন মানুষের দল তা আজ আবার প্রমানিত ,তাৎক্ষণিক সিদ্বান্তে পর্তুগাল বিএনপির নেতৃবৃন্দ ৬ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা বাংলাদেশে বন্যার্ত মানুষের ত্রান তহবিলের জন্য ঘোষণা করেন। তিনিও সকলের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।”

সভা শেষে জমিয়ত ওলামায়ে ইসলাম পর্তুগালের সাংগঠনিক সম্পাদক কয়েছ আহমদ আবদুল্লাহ দেশ জাতি তথা শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বিদেহী আত্মার মাগফেরাত এবং বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সুস্থতা এবং দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন ১৬ বছর দেশ যে ক্লান্তি কাল অতিক্রম করেছে, তখন আমরা ভালোভাবে দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করতে পারিনি।

আওয়ামীলীগ চেয়েছিলো বিএনপি কে শেষ করতে , কিন্তু পারেনি, তারা নিজেরাই শেষ হয়েছে।
আমাদের নেত্রী দেশ ছাড়েন নি, বরং দেশের জন্য উনার চোখের সামনে উনার ছেলের লাশ দেখেছেন। আরেকজন কে যন্ত্রণায় কাতরাতে দেখেছেন।
কিন্তু ৮৬ বেঈমান হাসিনা জানতো না, আমাদের গণতন্ত্রের মা আপোষহীন। তিনি দেশের জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত ছিলেন, তার সৈনিক ছিলো, আছে এবং থাকবে।

এই বাংলাদেশে যত কলংন্ক পাপ আছে, তা শেখ হাসিনা ও তার বাপ করেছে
১৯৭২-৭৪ এর দুর্ভিক্ষ, রক্ষীবাহিনীর অত্যাচার, ব্যাংক ডাকাতিসহ সকল অপকর্ম ছিলো আওয়ামীলীগের।
আর এই ১৫ বছরের অপকর্ম করেছে হাসিনা, এমন গুম – খুন, হত্যা – নির্যাতন, হামলা মিথ্যা মামলা পৃথিবীর আর কোথাও হয় নি।

“আয়না ঘর” “পিলখানা হ”ত্যা” “শাপলা চত্ত্বর গণহ*ত্যা” “২৪ এর ছাত্রহ”ত্যা” আর দেশের “ঋণ” সম্পর্কে জানার পর ঐ ভারতের মুখ্যমন্ত্রী হাসিনার উপর মানুষের ঘৃণা কেমন ছিলো ৫ আগষ্ট বিশ্ব বাসী দেখেছে।
ক্ষমতা ছাড়ার পর আওয়ামীলীগ নেত্রী ও তাদের লীগের কেউ ১ ঘন্টা ঠিকে থাকতে পারে নি।
কিন্তু বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সৈনিকেরা, দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সন্তানেরা ১৭ বছর গুম-খুন, হামলা, মামলা ও নির্যাতন সহ্য করে ঠিকে ছিলো।
যেমন আমাদের দেশের জনগণকে ছেড়ে যান নি আমকদের নেত্রী।
ঠিক তেমনি বিএনপির নেতা- কর্মিরা দল ত্যাগ করে নি।
বিএনপি ত্যাগ করতে পারে, বাংলাদেশের জন্য বিএনপি কেই প্রয়োজন।

দেশনায়ক প্রিয় নেতা জনাব তারেক রহমানের ভাইয়ের কঠোর হুশিয়ারী।
জনগণের প্রত্যাশার বাইরে গিয়ে বিএনপির সুনাম বিনষ্টকারীদের আমি ক্ষমা করবোনা।
মনে রাখবেন গত ১৭ বছর আমরা বিরোধী দলে ছিলাম, ৫ আগস্ট পতিত স্বৈরাচার পতনের দিনেও আমরা বিরোধী দলে ছিলাম, আজও বিরোধী দলে।
জনগণের রায় নিয়ে আমাদেরকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে হবে। এজন্য জনগণের কাছে যেতে হবে, তাদের প্রত্যাশা পুরনে কাজ করতে হবে ।