ঢাকা , রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
কানাডার প্রভিন্সিয়াল পার্লামেন্ট ইলেকশন ডলি’র হ্যাটট্রিক জয় ১৭ বছর পর দেশে প্রত্যাবর্তন লন্ডন বিএনপি নেতা শরফুকে শ্রীমঙ্গলে গণ সংবর্ধনা ইতালির মানতোভা শহরে দুইদিনব্যাপী দূতাবাস সেবা অনুষ্ঠিত ,প্রায় আট শতাধিক প্রবাসীরা এই ক্যাম্প থেকে দূতাবাস সেবা গ্রহণ করেন ইতালিতে এমপি প্রার্থী প্রফেসর ডা: সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম কে চাঁদপুরবাসীর সংবর্ধনা দেশে ফিরছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্হায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল হান্নানের মৃত্যুতে দোয়া অনুষ্ঠিত কুলাউড়া বিএনপির ১৩ ইউনিয়ন কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা, সমন্বয়কদের দায়িত্ব বন্টন কুলাউড়ায় রাজাপুরে বালু উত্তোলন বন্ধ ও সেতু রক্ষায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত উৎসবমুখর পরিবেশে ইতালির তরিনোতে সিলেট বিভাগ ঐক্য পরিষদের নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ছাত্রশিবিরের নববর্ষ প্রকাশনা উৎসব

৯৪ ইউপি জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে মাঠে নামছে দুদক

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০৫:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুন ২০২০
  • / ৫৩১ টাইম ভিউ

এবার দেশের বিভিন্ন জেলার ৯৪ জনপ্রতিনিধি (ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার) এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে করোনা ভাইরাস মহামারিতে সরকারের বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচির প্রকৃত উপকারভোগীদের বঞ্চিত করে নিজেরা বিভিন্ন সুবিধা গ্রহণ ও ত্রাণ আত্মসাৎ করেছে বলে দুদকে অভিযোগ রয়েছে। শনিবার কমিশন থেকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। অভিযুক্ত ৯৪ জনপ্রতিনিধির মধ্যে ৩০ জন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ৬৪ জন ইউপি সদস্য রয়েছেন। ইতোমধ্যে সাময়িকভাবে তাদেরকে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

দুদক পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানান, বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে সরকারি ত্রাণ আত্মসাতসহ দুর্নীতির অভিযোগ প্রচার হয়েছে। এসব অভিযোগ কমিশনের অভিযোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত মহাপরিচালক এ কে এম সোহেলের নেতৃত্বাধীন যাচাই-বাছাই কমিটির আমলে নিয়ে প্রাথমিকভাবে যাচাই বাছাই করেন। এরপর ওই কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে ৯৪ জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। তিনি আরও জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সরকারি ত্রাণ আত্মসাৎ, ভুয়া মাস্টাররোলের মাধ্যমে সরকারি চাল আত্মসাৎ, সরকারি ১০ টাকা কেজি দরের চাল বিতরণ না করে কালোবাজারে বিক্রি, জেলেদের ভিজিএফ-এর চাল আত্মসাৎ, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নগদ অর্থ সহায়তা কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের তালিকা প্রণয়নে স্বজনপ্রীতি ও অনিয়ম, উপকারভোগীদের ভুয়া তালিকা প্রণয়ন করে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির খাদ্যসামগ্রী আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।

এ ব্যাপারে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, সরকারের সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচির বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে এরইমধ্যে ২১টি মামলা দায়ের করেছে দুদক। এসব মামলায় অনেকে গ্রেফতার হয়েছেন। মামলাগুলোর তদন্ত চলছে। নতুন করে এই ৯৪ জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। ত্রাণ দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুদক কঠোর অবস্থানে রয়েছে। কারো প্রতি ন্যূনতম নমনীয় হওয়ার সুযোগ নেই। ত্রাণ দুর্নীতিবাজ প্রত্যেককেই আইনের মুখোমুখি হতে হবে।

পোস্ট শেয়ার করুন

৯৪ ইউপি জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে মাঠে নামছে দুদক

আপডেটের সময় : ০৫:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুন ২০২০

এবার দেশের বিভিন্ন জেলার ৯৪ জনপ্রতিনিধি (ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার) এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে করোনা ভাইরাস মহামারিতে সরকারের বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচির প্রকৃত উপকারভোগীদের বঞ্চিত করে নিজেরা বিভিন্ন সুবিধা গ্রহণ ও ত্রাণ আত্মসাৎ করেছে বলে দুদকে অভিযোগ রয়েছে। শনিবার কমিশন থেকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। অভিযুক্ত ৯৪ জনপ্রতিনিধির মধ্যে ৩০ জন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ৬৪ জন ইউপি সদস্য রয়েছেন। ইতোমধ্যে সাময়িকভাবে তাদেরকে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

দুদক পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানান, বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে সরকারি ত্রাণ আত্মসাতসহ দুর্নীতির অভিযোগ প্রচার হয়েছে। এসব অভিযোগ কমিশনের অভিযোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত মহাপরিচালক এ কে এম সোহেলের নেতৃত্বাধীন যাচাই-বাছাই কমিটির আমলে নিয়ে প্রাথমিকভাবে যাচাই বাছাই করেন। এরপর ওই কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে ৯৪ জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। তিনি আরও জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সরকারি ত্রাণ আত্মসাৎ, ভুয়া মাস্টাররোলের মাধ্যমে সরকারি চাল আত্মসাৎ, সরকারি ১০ টাকা কেজি দরের চাল বিতরণ না করে কালোবাজারে বিক্রি, জেলেদের ভিজিএফ-এর চাল আত্মসাৎ, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নগদ অর্থ সহায়তা কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের তালিকা প্রণয়নে স্বজনপ্রীতি ও অনিয়ম, উপকারভোগীদের ভুয়া তালিকা প্রণয়ন করে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির খাদ্যসামগ্রী আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।

এ ব্যাপারে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, সরকারের সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচির বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে এরইমধ্যে ২১টি মামলা দায়ের করেছে দুদক। এসব মামলায় অনেকে গ্রেফতার হয়েছেন। মামলাগুলোর তদন্ত চলছে। নতুন করে এই ৯৪ জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। ত্রাণ দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুদক কঠোর অবস্থানে রয়েছে। কারো প্রতি ন্যূনতম নমনীয় হওয়ার সুযোগ নেই। ত্রাণ দুর্নীতিবাজ প্রত্যেককেই আইনের মুখোমুখি হতে হবে।