ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পূর্ব লন্ডনে বড়লেখার সোয়েব আহমেদের সমর্থনে মতবিনিময় সভা ইতালির ভেনিসে গ্রিন সিলেট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এর জরুরি সভা অনুষ্ঠিত ইতালির ভেনিসে এনটিভির ইউরোপের ডিরেক্টর সাবরিনা হোসাইন কে সংবর্ধনা দিয়েছে ইউরোপিয়ান বাংলা প্রেসক্লাব পর্তুগালে বেজা আওয়ামীলীগের কর্মি সভা পর্তুগাল এ ফ্রেন্ডশিপ ক্রিকেট ক্লাবের জার্সি উন্মোচন লিসবনে আত্মপ্রকাশ হয় সামাজিক সংগঠন “গোলাপগঞ্জ কমিউনিটি কেয়ারর্স পর্তুগাল “ উচ্ছ্বাস আর আনন্দে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখের উদযাপন করেছে পর্তুগাল যথাযথ গাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে পরিবেশে মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর পালন করেছে ভেনিস প্রবাসীরা ভেনিসে বৃহত্তর সিলেট সমিতির আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত এক অসুস্থ প্রজন্ম কে সাথি করে এগুচ্ছি আমরা

হবিগঞ্জে আ.লীগ নেতাদের পদত্যাগপত্র নিয়ে ধূম্রজাল

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০৭:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ মে ২০২২
  • / ১৭১ টাইম ভিউ

দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে চার নেতাকে অব্যাহতি দেওয়ার পর হবিগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের ৮টি ওয়ার্ডের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদের ১৩ জন নেতার স্বাক্ষরসহ একটি পদত্যাগপত্র নিয়ে ধূম্ররজালের সৃষ্টি হয়েছে। যে নেতাদের নামে পদত্যাগপত্র দেওয়া হয়; এদের কয়েকজন বলেছেন, এই স্বাক্ষর তাদের না। এ ঘটনার প্রতিবাদে তারা একটি সভাও করেছেন।

রোববার কে বা কারা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বাসায় এই পদত্যাগ পত্রটি রেখে যায়।

জেলা আওয়ামী লীগ বলছে, পদত্যাগপত্রে দেওয়া স্বাক্ষরগুলো কার সেটি এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সংগঠনের পরবর্তী সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। তবে পদত্যাগের বিষয়টি সত্য বলেও কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

জানা গেছে, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও পৌরসভার মেয়র পদে নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় গত শনিবার হবিগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট নিলাদ্রী শেখর পুরস্কায়স্থ টিটু ও সাধারণ সম্পাদক এবং সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোতাচ্ছিরুল ইসলামসহ ৪ নেতাকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেয় জেলা আওয়ামী লীগ।

এরপর রোববার হবিগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের ৮টি ওয়ার্ডের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদের ১৩ জনের স্বাক্ষর সংবলিত একটি পদত্যাগপত্র কে বা কারা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর চৌধুরীর বাসায় রেখে যায়।

যাদের নামে পদত্যাগপত্র পাওয়া গেছে তারা হলেন, হবিগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের এক নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক শামীম খান, দুই নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি পারভেজ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আলী আরমান খান, তিন নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি কাজল সরকার, সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম, চার নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন শিপন, পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহ ইউনুস আলী ও সাধারণ সম্পাদক মো. শামছুর রহমান সোহেল, ছয় নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শামীম খান, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি মো. সারোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শাহ মহিবুল আলম, আট নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি মোহাম্মদ ফুল মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক ফজলুল করিম।

এদিকে, রোববার রাতে যাদের নামে পদত্যাগপত্র দেওয়া হয়েছে তাদের ৭ জনসহ আওয়ামী লীগের নেতারা একটি সভা করেন। সভায় তারা পদত্যাগ পত্রটি জমা দেয়ার ঘটনার প্রতিবাদ করেছেন। পরে ৭ জন নেতা পদত্যাগ করেননি বলে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ বরাবর লিখিত দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও পদত্যাগের বিষয়টি নিয়ে দুইরকমভাবে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এ ঘটনায় হবিগঞ্জ জেলাজুড়ে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়।

হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর চৌধুরী বলেন, আমি আদালত থেকে বাসায় ফিরে ১৩ জন নেতার স্বাক্ষর সংবলিত একটি পদত্যাগপত্র পেয়েছি। কে বা কারা এটি বাসায় রেখে গেছে। এ স্বাক্ষরগুলো কে দিয়েছেন তা নিশ্চিত নয়। জেলা আওয়ামী লীগের পরবর্তী সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

মুঠোফোনে আট নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোবারক হোসেন ফুল মিয়া এবং ছয় নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি মানিক মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, পদত্যাগপত্রে তারা স্বাক্ষর করেননি। স্বাক্ষরগুলো ভুয়া কথাটিও যোগ করেন মানিক মিয়া।

পোস্ট শেয়ার করুন

হবিগঞ্জে আ.লীগ নেতাদের পদত্যাগপত্র নিয়ে ধূম্রজাল

আপডেটের সময় : ০৭:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ মে ২০২২

দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে চার নেতাকে অব্যাহতি দেওয়ার পর হবিগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের ৮টি ওয়ার্ডের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদের ১৩ জন নেতার স্বাক্ষরসহ একটি পদত্যাগপত্র নিয়ে ধূম্ররজালের সৃষ্টি হয়েছে। যে নেতাদের নামে পদত্যাগপত্র দেওয়া হয়; এদের কয়েকজন বলেছেন, এই স্বাক্ষর তাদের না। এ ঘটনার প্রতিবাদে তারা একটি সভাও করেছেন।

রোববার কে বা কারা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বাসায় এই পদত্যাগ পত্রটি রেখে যায়।

জেলা আওয়ামী লীগ বলছে, পদত্যাগপত্রে দেওয়া স্বাক্ষরগুলো কার সেটি এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সংগঠনের পরবর্তী সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। তবে পদত্যাগের বিষয়টি সত্য বলেও কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

জানা গেছে, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও পৌরসভার মেয়র পদে নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় গত শনিবার হবিগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট নিলাদ্রী শেখর পুরস্কায়স্থ টিটু ও সাধারণ সম্পাদক এবং সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোতাচ্ছিরুল ইসলামসহ ৪ নেতাকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেয় জেলা আওয়ামী লীগ।

এরপর রোববার হবিগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের ৮টি ওয়ার্ডের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদের ১৩ জনের স্বাক্ষর সংবলিত একটি পদত্যাগপত্র কে বা কারা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর চৌধুরীর বাসায় রেখে যায়।

যাদের নামে পদত্যাগপত্র পাওয়া গেছে তারা হলেন, হবিগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের এক নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক শামীম খান, দুই নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি পারভেজ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আলী আরমান খান, তিন নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি কাজল সরকার, সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম, চার নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন শিপন, পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহ ইউনুস আলী ও সাধারণ সম্পাদক মো. শামছুর রহমান সোহেল, ছয় নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শামীম খান, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি মো. সারোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শাহ মহিবুল আলম, আট নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি মোহাম্মদ ফুল মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক ফজলুল করিম।

এদিকে, রোববার রাতে যাদের নামে পদত্যাগপত্র দেওয়া হয়েছে তাদের ৭ জনসহ আওয়ামী লীগের নেতারা একটি সভা করেন। সভায় তারা পদত্যাগ পত্রটি জমা দেয়ার ঘটনার প্রতিবাদ করেছেন। পরে ৭ জন নেতা পদত্যাগ করেননি বলে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ বরাবর লিখিত দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও পদত্যাগের বিষয়টি নিয়ে দুইরকমভাবে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এ ঘটনায় হবিগঞ্জ জেলাজুড়ে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়।

হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর চৌধুরী বলেন, আমি আদালত থেকে বাসায় ফিরে ১৩ জন নেতার স্বাক্ষর সংবলিত একটি পদত্যাগপত্র পেয়েছি। কে বা কারা এটি বাসায় রেখে গেছে। এ স্বাক্ষরগুলো কে দিয়েছেন তা নিশ্চিত নয়। জেলা আওয়ামী লীগের পরবর্তী সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

মুঠোফোনে আট নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোবারক হোসেন ফুল মিয়া এবং ছয় নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি মানিক মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, পদত্যাগপত্রে তারা স্বাক্ষর করেননি। স্বাক্ষরগুলো ভুয়া কথাটিও যোগ করেন মানিক মিয়া।