ঢাকা , বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

স্ত্রীর ছোড়া গরম পানিতে ঝলসে গেল ব্যাংক কর্মকর্তার শরীর

দেশদিগন্ত ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ১১:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জুলাই ২০২০
  • / ৪১৫ টাইম ভিউ

নেত্রকোনায় অনুমতি না নিয়ে তৃতীয় বিয়ে করায় প্রথম স্ত্রীর ছোড়া গরম পানিতে ব্যাংক কর্মকর্তা স্বামীর শরীর ঝলসে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্ত্রীকে গতকাল বুধবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

কারাগারে পাঠানো ওই নারীর নাম নাসিমা আক্তার (৩৫)। আর দগ্ধ ওই ব্যাংক কর্মকর্তা হলেন সুলতান মাহমুদ (৩৩)। তিনি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন। টাঙ্গাইলের মধুপুরের মৃত আবদুস সামাদের ছেলে সুলতান। নেত্রকোনার মদন উপজেলার সোনালী ব্যাংক শাখায় কর্মকর্তা (ক্যাশ) হিসেবে কর্মরত তিনি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সুলতান মাহমুদ কয়েক বছর ধরে মদন সোনালী ব্যাংক শাখায় কর্মরত। বেশ কয়েক বছর আগে তিনি নাসিমা আক্তার নামের এক নারীকে তিন সন্তানসহ বিয়ে করেন। নাসিমার বাড়ি নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায়। এরপর তিনি তাঁকে ও সন্তানদের নিয়ে মদন পৌরসভার বাড়িভাদেরা এলাকায় একটি বাসায় ভাড়া থাকেন। প্রায় এক বছর আগে সুলতান মাহমুদ নিজ এলাকায় দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এ নিয়ে নাসিমার সঙ্গে পারিবারিক বিরোধ চলে আসছে। গত শুক্রবার তিনি ময়মনসিংহে তৃতীয় বিয়ে করেন। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে গত বুধবার রাত ১১টার দিকে ঝগড়ার একপর্যায়ে প্রথম স্ত্রী নাসিমা তাঁর স্বামীর গায়ে গরম পানি ছুড়ে দেন।

পরে স্থানীয় লোকজন মদন থানায় খবর দিলে সুলতান মাহমুদকে পুলিশ উদ্ধার করে মদন হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ সময় তাঁর প্রথম স্ত্রীকে আটক করা হয়। আর সুলতানকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওই রাতেই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অবস্থার অবনতি হলে আজ ভোরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মদন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ফখরুল হাসান চৌধুরী বলেন, প্রচণ্ড গরম পানিতে ওই ব্যাংক কর্মকর্তার শরীরের প্রায় ৭০ শতাংশ ঝলসে গেছে।

মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রমিজুল হক বলেন, ওই ব্যাংক কর্মকর্তা বর্তমানে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি আছেন। তাঁর প্রথম স্ত্রী নাসিমাকে আটক করে আজ বিকেলে আদালতের মাধ্যমে নেত্রকোনা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

পোস্ট শেয়ার করুন

স্ত্রীর ছোড়া গরম পানিতে ঝলসে গেল ব্যাংক কর্মকর্তার শরীর

আপডেটের সময় : ১১:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জুলাই ২০২০

নেত্রকোনায় অনুমতি না নিয়ে তৃতীয় বিয়ে করায় প্রথম স্ত্রীর ছোড়া গরম পানিতে ব্যাংক কর্মকর্তা স্বামীর শরীর ঝলসে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্ত্রীকে গতকাল বুধবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

কারাগারে পাঠানো ওই নারীর নাম নাসিমা আক্তার (৩৫)। আর দগ্ধ ওই ব্যাংক কর্মকর্তা হলেন সুলতান মাহমুদ (৩৩)। তিনি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন। টাঙ্গাইলের মধুপুরের মৃত আবদুস সামাদের ছেলে সুলতান। নেত্রকোনার মদন উপজেলার সোনালী ব্যাংক শাখায় কর্মকর্তা (ক্যাশ) হিসেবে কর্মরত তিনি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সুলতান মাহমুদ কয়েক বছর ধরে মদন সোনালী ব্যাংক শাখায় কর্মরত। বেশ কয়েক বছর আগে তিনি নাসিমা আক্তার নামের এক নারীকে তিন সন্তানসহ বিয়ে করেন। নাসিমার বাড়ি নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায়। এরপর তিনি তাঁকে ও সন্তানদের নিয়ে মদন পৌরসভার বাড়িভাদেরা এলাকায় একটি বাসায় ভাড়া থাকেন। প্রায় এক বছর আগে সুলতান মাহমুদ নিজ এলাকায় দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এ নিয়ে নাসিমার সঙ্গে পারিবারিক বিরোধ চলে আসছে। গত শুক্রবার তিনি ময়মনসিংহে তৃতীয় বিয়ে করেন। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে গত বুধবার রাত ১১টার দিকে ঝগড়ার একপর্যায়ে প্রথম স্ত্রী নাসিমা তাঁর স্বামীর গায়ে গরম পানি ছুড়ে দেন।

পরে স্থানীয় লোকজন মদন থানায় খবর দিলে সুলতান মাহমুদকে পুলিশ উদ্ধার করে মদন হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ সময় তাঁর প্রথম স্ত্রীকে আটক করা হয়। আর সুলতানকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওই রাতেই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অবস্থার অবনতি হলে আজ ভোরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মদন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ফখরুল হাসান চৌধুরী বলেন, প্রচণ্ড গরম পানিতে ওই ব্যাংক কর্মকর্তার শরীরের প্রায় ৭০ শতাংশ ঝলসে গেছে।

মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রমিজুল হক বলেন, ওই ব্যাংক কর্মকর্তা বর্তমানে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি আছেন। তাঁর প্রথম স্ত্রী নাসিমাকে আটক করে আজ বিকেলে আদালতের মাধ্যমে নেত্রকোনা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।