ঢাকা , শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
মৌলভীবাজারে সংবর্ধিত মুসলিম কমিউনিটি আহবায়ক শায়খ নূরে আলম হামিদী মহান স্বাধীনতা দিবস ও রমাদান উপলক্ষ্যে সাবেক ছাত্রদল অর্গানাইজেশনের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে পর্তুগাল বিএনপির আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে ক্যালিফোর্নিয়া বিএনপির আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ইতালির ভেনিসে আব্দুল্লাপুর আঞ্চলিক সমিতির ষষ্ঠ বর্ষে পর্দাপন কেক কেটে উদযাপন ইতালির মিলানে ফেনী জেলা সমিতির আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোজাদারদের সম্মানে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন ভারেজ প্রভিন্সের আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল স্বেচ্ছাসেবক দল ইতালি উত্তরের উদ্যোগে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ইফতার ও দোয়া মাহফিল এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত প্রায় ২৮ হাজার ৯০০ জন অভিবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) স্কুল শিক্ষিকা কে নির্যাতনের অভিযোগে ব্যাংক কর্মকর্তা স্বামী গ্রেফতার

সুবিধাবঞ্চিত দুই শতাধিক প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির সিদ্ধান্ত

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেটের সময় : ১১:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুন ২০১৯
  • / ৬৫৫ টাইম ভিউ

সারাদেশে বিশেষ বিবেচনায় দুই শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে হাওর-বাঁওড়, চরাঞ্চল, পাহাড়ি-দুর্গম ও মেয়েদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। জাতীয় সংসদে পেশকৃত বাজেটে এ-সংক্রান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, খুব শিগগিরই সাত হাজারের বেশি প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ঘোষণা দেয়া হবে। তার মধ্যে বিশেষ বিবেচনায় হাওর-বাঁওড়, চরাঞ্চল, পাহাড়িসহ দুর্গম এলাকার এবং নারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঠাঁই পাবে। এছাড়া যেসব উপজেলা থেকে শর্ত অনুযায়ী কোনো প্রতিষ্ঠান তালিকাভুক্ত করা যায়নি সেসব উপজেলা থেকেও কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিশেষ বিবেচনায় তালিকাভুক্ত করা হবে।

সংসদে শিক্ষামন্ত্রীর এ-সংক্রান্ত ঘোষণার পর বিশেষ বিবেচনায় প্রতিষ্ঠান তালিকাভুক্ত করার কাজ শুরু করা হয়। এ লক্ষ্যে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে বলেও জানা যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও এমপিও কমিটির প্রধান জাভেদ আহমেদ বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশে বিশেষ বিবেচনায় তালিকার বাইরে দুই শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এগুলো মূলত দুর্গম ও সুবিধাবঞ্চিত এলাকায় অবস্থিত। এমপিওভুক্তির তালিকার বাইরে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, সারাদেশে মোট চার হাজার ৩১২টি ইবতেদায়ি মাদরাসাসহ মোট সাড়ে সাত হাজারেরও বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবার এমপিওভুক্ত হবে। এরমধ্যে বাকি চার হাজার মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল-মাদরাসা, উচ্চস্তরের কলেজ-মাদরাসা রয়েছে। এছাড়া আছে বিভিন্ন ধরনের কারিগরি প্রতিষ্ঠান।

সর্বশেষ ২০১০ সালের জুনে এক হাজার ৬২৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছিল। এমপিও হচ্ছে বেতনভাতা হিসেবে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা প্রতিমাসে যা পেয়ে থাকেন। সরকার এটিকে অনুদান হিসেবে দেখে থাকে। বর্তমানে ৯ হাজার ৬১৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে যেগুলো সরকার থেকে এ ধরনের কোনো সাহায্য পায় না। তবে এসবের মধ্যে মাত্র দুই হাজার ৭৬২টি প্রতিষ্ঠান এমপিওর জন্য আরোপিত শর্ত অনুযায়ী যোগ্যতা অর্জন করেছে।

উল্লেখ্য, এমপিওভুক্তির লক্ষ্যে গত আগস্টে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আবেদন নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তখন ৯ হাজার ৬১৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবেদন করেছিল। এসব প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করতে লাগবে চার হাজার ৩৯০ কোটি ১২ লাখ পাঁচ হাজার টাকা। তবে যদি যোগ্য বিবেচিত প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমপিও দেয়া হয় তাহলে লাগবে এক হাজার ২০৭ কোটি ৬৬ লাখ ৬৭ হাজার টাকা।

আর যদি স্বীকৃতির মেয়াদ বিবেচনা না করে এমপিও দেয়া হয় তাহলে লাগবে এক হাজার ২১০ কোটি ৩৭ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। তবে শর্ত শিথিল করে আরও ২০০ প্রতিষ্ঠান এমপিও করার সিদ্ধান্ত নেয়ায় মন্ত্রণালয় থেকে মোট এক হাজার ২৪৭ কোটি টাকার প্রয়োজনীয়তার কথা অর্থ মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে।

পোস্ট শেয়ার করুন

সুবিধাবঞ্চিত দুই শতাধিক প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির সিদ্ধান্ত

আপডেটের সময় : ১১:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুন ২০১৯

সারাদেশে বিশেষ বিবেচনায় দুই শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে হাওর-বাঁওড়, চরাঞ্চল, পাহাড়ি-দুর্গম ও মেয়েদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। জাতীয় সংসদে পেশকৃত বাজেটে এ-সংক্রান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, খুব শিগগিরই সাত হাজারের বেশি প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ঘোষণা দেয়া হবে। তার মধ্যে বিশেষ বিবেচনায় হাওর-বাঁওড়, চরাঞ্চল, পাহাড়িসহ দুর্গম এলাকার এবং নারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঠাঁই পাবে। এছাড়া যেসব উপজেলা থেকে শর্ত অনুযায়ী কোনো প্রতিষ্ঠান তালিকাভুক্ত করা যায়নি সেসব উপজেলা থেকেও কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিশেষ বিবেচনায় তালিকাভুক্ত করা হবে।

সংসদে শিক্ষামন্ত্রীর এ-সংক্রান্ত ঘোষণার পর বিশেষ বিবেচনায় প্রতিষ্ঠান তালিকাভুক্ত করার কাজ শুরু করা হয়। এ লক্ষ্যে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে বলেও জানা যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও এমপিও কমিটির প্রধান জাভেদ আহমেদ বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশে বিশেষ বিবেচনায় তালিকার বাইরে দুই শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এগুলো মূলত দুর্গম ও সুবিধাবঞ্চিত এলাকায় অবস্থিত। এমপিওভুক্তির তালিকার বাইরে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, সারাদেশে মোট চার হাজার ৩১২টি ইবতেদায়ি মাদরাসাসহ মোট সাড়ে সাত হাজারেরও বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবার এমপিওভুক্ত হবে। এরমধ্যে বাকি চার হাজার মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল-মাদরাসা, উচ্চস্তরের কলেজ-মাদরাসা রয়েছে। এছাড়া আছে বিভিন্ন ধরনের কারিগরি প্রতিষ্ঠান।

সর্বশেষ ২০১০ সালের জুনে এক হাজার ৬২৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছিল। এমপিও হচ্ছে বেতনভাতা হিসেবে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা প্রতিমাসে যা পেয়ে থাকেন। সরকার এটিকে অনুদান হিসেবে দেখে থাকে। বর্তমানে ৯ হাজার ৬১৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে যেগুলো সরকার থেকে এ ধরনের কোনো সাহায্য পায় না। তবে এসবের মধ্যে মাত্র দুই হাজার ৭৬২টি প্রতিষ্ঠান এমপিওর জন্য আরোপিত শর্ত অনুযায়ী যোগ্যতা অর্জন করেছে।

উল্লেখ্য, এমপিওভুক্তির লক্ষ্যে গত আগস্টে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আবেদন নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তখন ৯ হাজার ৬১৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবেদন করেছিল। এসব প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করতে লাগবে চার হাজার ৩৯০ কোটি ১২ লাখ পাঁচ হাজার টাকা। তবে যদি যোগ্য বিবেচিত প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমপিও দেয়া হয় তাহলে লাগবে এক হাজার ২০৭ কোটি ৬৬ লাখ ৬৭ হাজার টাকা।

আর যদি স্বীকৃতির মেয়াদ বিবেচনা না করে এমপিও দেয়া হয় তাহলে লাগবে এক হাজার ২১০ কোটি ৩৭ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। তবে শর্ত শিথিল করে আরও ২০০ প্রতিষ্ঠান এমপিও করার সিদ্ধান্ত নেয়ায় মন্ত্রণালয় থেকে মোট এক হাজার ২৪৭ কোটি টাকার প্রয়োজনীয়তার কথা অর্থ মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে।