ঢাকা , রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
বিএনপি পর্তুগাল শাখার উদ্যোগে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত! বন্যার্ত মানুষের ত্রান তহবিলের জন্যে ৬ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা ঘোষণা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বেজা শাখার কর্মি সম্মেলন অনুষ্ঠিত বিমানের নতুন চেয়ারম্যান কুলাউড়ার আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও ২৪ কোটা আন্দোলনে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা দোয়া মাহফিল পর্তুগালে রাজনগর প্রবাসী ওয়েলফেয়ার সোসাইটির আত্মপ্রকাশ পর্তুগাল বিএনপি’র আয়োজনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্বরণে দোয়া ও মাহফিল সম্পন্ন বিমূর্ত সব মুর্হুতরা, আমার মা’য়ের সাথের শেষ শনিবার – শাহারুল কিবরিয়া বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে পর্তুগালে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশী প্রবাসীরা প্রিয়জনদের মানসিক রোগ যদি আপনজন বুঝতে না পারেন আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে

সিলেট বিভাগে একদিনে ৩৩ জনের করোনা ভাইরাস শনাক্ত! এর দায় কার?

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০১:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২০
  • / ৮৫০ টাইম ভিউ

রেজাউল আম্বিয়া রাজু : সিলেট বিভাগটসহ মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়াতে করোনা অাক্রান্ত হবে না কেন? একবার প্রশ্নটা নিজেকে করুন! কারন সিলেটে বিভাগে আজ (২৩-৪-২০ইং) একদিনে ৩৩ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত। তার মধ্যে

সিলেট-২, হবিগঞ্জ-৫, সুনামগঞ্জ-৪ ও এই প্রথমবারের মতো মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়ায়-২ জন,

সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, বিশেষ করে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের দিকে তাকালে লক্ষ্য করবেন কি রকম মানুষের অবাধ চলাফেরা? তাদের অবস্থা দেখে বুঝার কোন উপায় নাই মানুষের মধ্যে নূন্যতম কোন সচেতনতা অাছে! শহর বা ইউনিয়নের যে সমস্ত দোকান গুলো অাগে নিত্য প্রয়োজনীয় দোকান ছিল না সেই দোকানটিও এখন পিয়াজ রসুন আলুসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রেখে প্রশাসনের নাকের ডগার উপর দোকানিরা দোকান খোলা রাখতেছেন + ফ্ল্যাক্সে করে চা এনে একেই কাপে চা বিক্রি করতেছেন।  গ্রাম্য এলাকায় বহিরাগতরা কৌশলে এসে অাশ্রয় নিচ্ছে অাত্মীয়ের বাড়ীতে, পাশাপাশি উপজেলার বিভিন্ন এলাকার যারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় চাকুরি করত তারা বিভিন্ন চা বাগান, রাবার বাগান এমনকি গ্রামের বাড়ীতেও অাসতেছেন এবং হোম কোয়ারেন্টাইন মানতেছেন না?
গ্রামের বাজারসহ বিভিন্ন অলি গলির দোকান গুলোতে রীতিমতো অাড্ডা বসে গভীর রাত পর্যন্ত- অায়োজনট হয় বিভিন্ন খেলার। অাগে যেভাবে চায়ের দোকান খোলা থাকত সেভাবেই এখনও ভিতর থেকে খোলা থাকে বিভিন্ন দোকান।
মসজিদে গণজমায়েত বন্ধের কথা বললেও কতেক ব্যক্তি উল্টো ফতোয়া তৈরি করে মসজিদেও জনসমাগম তৈরি করতেছেন।
করোনা সচেতনতা সহ বিভিন্ন কার্যক্রমের জন্য সরকারিভাবে গঠিত কমিটিরট কোন তৎপরতা নেই। কমিটিতে যাদের নাম দেওয়া হয়েছে, তারা অনেকেই জানেন না যে তিনির নাম কমিটিতে দেওয়া হয়েছে।
সর্বপরি, তৃণমূল পর্যায়ে মানুষ যেভাবে সচেতন হওয়ার প্রয়োজন ছিল, সেই ধরনের সচেতনতারট পরিবেশ সৃষ্টি করতে দায়িত্বশীলরা ব্যর্থ হয়েছেন এবং মানুষজন সরকারের দেওয়া নির্দেশনা অমান্য করতেছেন। এতে প্রয়োজন ছিল প্রশাসনের অারো কঠোর অবস্থান। এতে অাপনি দোষ দিবেন কার- সরকারের/ ব্যবস্থাপনার/ না মানুষের সচেতনতার?
এর দায় অাপনারই…! অাপনি কি নিজেকে এর থেকে দায়মুক্ত করতে পারবেন? তাই এখনো বলছি! এখনো সময় আছে করোনা এখন আপনার কুলাউড়াতে, আপনি সর্তক হউন, সরকারের সব নির্দেশনা মেনে চলুন, নিজেকে এবং নিজের পরিবারকে রক্ষা করুণ।

পোস্ট শেয়ার করুন

সিলেট বিভাগে একদিনে ৩৩ জনের করোনা ভাইরাস শনাক্ত! এর দায় কার?

আপডেটের সময় : ০১:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২০

রেজাউল আম্বিয়া রাজু : সিলেট বিভাগটসহ মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়াতে করোনা অাক্রান্ত হবে না কেন? একবার প্রশ্নটা নিজেকে করুন! কারন সিলেটে বিভাগে আজ (২৩-৪-২০ইং) একদিনে ৩৩ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত। তার মধ্যে

সিলেট-২, হবিগঞ্জ-৫, সুনামগঞ্জ-৪ ও এই প্রথমবারের মতো মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়ায়-২ জন,

সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, বিশেষ করে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের দিকে তাকালে লক্ষ্য করবেন কি রকম মানুষের অবাধ চলাফেরা? তাদের অবস্থা দেখে বুঝার কোন উপায় নাই মানুষের মধ্যে নূন্যতম কোন সচেতনতা অাছে! শহর বা ইউনিয়নের যে সমস্ত দোকান গুলো অাগে নিত্য প্রয়োজনীয় দোকান ছিল না সেই দোকানটিও এখন পিয়াজ রসুন আলুসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রেখে প্রশাসনের নাকের ডগার উপর দোকানিরা দোকান খোলা রাখতেছেন + ফ্ল্যাক্সে করে চা এনে একেই কাপে চা বিক্রি করতেছেন।  গ্রাম্য এলাকায় বহিরাগতরা কৌশলে এসে অাশ্রয় নিচ্ছে অাত্মীয়ের বাড়ীতে, পাশাপাশি উপজেলার বিভিন্ন এলাকার যারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় চাকুরি করত তারা বিভিন্ন চা বাগান, রাবার বাগান এমনকি গ্রামের বাড়ীতেও অাসতেছেন এবং হোম কোয়ারেন্টাইন মানতেছেন না?
গ্রামের বাজারসহ বিভিন্ন অলি গলির দোকান গুলোতে রীতিমতো অাড্ডা বসে গভীর রাত পর্যন্ত- অায়োজনট হয় বিভিন্ন খেলার। অাগে যেভাবে চায়ের দোকান খোলা থাকত সেভাবেই এখনও ভিতর থেকে খোলা থাকে বিভিন্ন দোকান।
মসজিদে গণজমায়েত বন্ধের কথা বললেও কতেক ব্যক্তি উল্টো ফতোয়া তৈরি করে মসজিদেও জনসমাগম তৈরি করতেছেন।
করোনা সচেতনতা সহ বিভিন্ন কার্যক্রমের জন্য সরকারিভাবে গঠিত কমিটিরট কোন তৎপরতা নেই। কমিটিতে যাদের নাম দেওয়া হয়েছে, তারা অনেকেই জানেন না যে তিনির নাম কমিটিতে দেওয়া হয়েছে।
সর্বপরি, তৃণমূল পর্যায়ে মানুষ যেভাবে সচেতন হওয়ার প্রয়োজন ছিল, সেই ধরনের সচেতনতারট পরিবেশ সৃষ্টি করতে দায়িত্বশীলরা ব্যর্থ হয়েছেন এবং মানুষজন সরকারের দেওয়া নির্দেশনা অমান্য করতেছেন। এতে প্রয়োজন ছিল প্রশাসনের অারো কঠোর অবস্থান। এতে অাপনি দোষ দিবেন কার- সরকারের/ ব্যবস্থাপনার/ না মানুষের সচেতনতার?
এর দায় অাপনারই…! অাপনি কি নিজেকে এর থেকে দায়মুক্ত করতে পারবেন? তাই এখনো বলছি! এখনো সময় আছে করোনা এখন আপনার কুলাউড়াতে, আপনি সর্তক হউন, সরকারের সব নির্দেশনা মেনে চলুন, নিজেকে এবং নিজের পরিবারকে রক্ষা করুণ।