ঢাকা , শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
মৌলভীবাজারে সংবর্ধিত মুসলিম কমিউনিটি আহবায়ক শায়খ নূরে আলম হামিদী মহান স্বাধীনতা দিবস ও রমাদান উপলক্ষ্যে সাবেক ছাত্রদল অর্গানাইজেশনের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে পর্তুগাল বিএনপির আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে ক্যালিফোর্নিয়া বিএনপির আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ইতালির ভেনিসে আব্দুল্লাপুর আঞ্চলিক সমিতির ষষ্ঠ বর্ষে পর্দাপন কেক কেটে উদযাপন ইতালির মিলানে ফেনী জেলা সমিতির আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোজাদারদের সম্মানে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন ভারেজ প্রভিন্সের আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল স্বেচ্ছাসেবক দল ইতালি উত্তরের উদ্যোগে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ইফতার ও দোয়া মাহফিল এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত প্রায় ২৮ হাজার ৯০০ জন অভিবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) স্কুল শিক্ষিকা কে নির্যাতনের অভিযোগে ব্যাংক কর্মকর্তা স্বামী গ্রেফতার

সিলেট বিভাগের খামারিদের বন্যায় ভেসে গেছে ৪৫০ কোটি টাকার মাছ

দেশদিগন্ত ডেস্ক:
  • আপডেটের সময় : ১১:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জুলাই ২০২০
  • / ৭০০ টাইম ভিউ

প্রথম দফা বন্যার পানি নামতে না নামতেই আরেকটি বড় ঢলের পূর্বাভাস এসেছে। চলতি বছরে দেশে বন্যার প্রথম ধাক্কাতেই মাছের খামার থেকে ৪৫০ কোটি টাকার বেশি দামের মাছ ও পোনা ভেসে গেছে। পুকুর ও জলাশয়ের অবকাঠামোর ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৩০ কোটি টাকার। আর এই ক্ষতির অর্ধেকের বেশি এককভাবে হয়েছে সিলেট বিভাগের খামারি ও চাষিদের। এই হিসাব মৎস্য অধিদপ্তরের। করোনার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আম্পান, এরপর বন্যার ধাক্কায় মাছের খামারিরা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। আসন্ন ঢলে কী করে অবশিষ্ট মাছের খামারগুলো রক্ষা করা যাবে, তা নিয়ে শঙ্কায় দিশেহারা খামারিরা।

সরকারের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী দু-এক দিনের মধ্যে এই বড় ঢলটি আসতে যাচ্ছে। গত ২৭ জুন শুরু হওয়া বন্যার প্রথম ধাক্কায় দেশের ১৪টি জেলার নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। আসন্ন ঢলে মোট ২৩ থেকে ২৫টি জেলা প্লাবিত হতে পারে।

আর সম্ভাব্য প্লাবিত জেলাগুলোর বেশির ভাগই মৎস্য চাষনির্ভর। ফলে সেখানকার মাছ ও পোনা যাতে বন্যার ঢলে আরও বেশি বেরিয়ে না যায়, সেই ব্যবস্থা দ্রুত নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতির সভাপতি রবীন্দ্র নাথ বর্মন বলেন, মৎস্যজীবীদের এমনিতেই সাগরে মাছ ধরা বন্ধ। করোনা ও আম্পানের কারণে অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। বন্যায় আরও ক্ষতি হচ্ছে। কিন্তু সরকার থেকে এখন পর্যন্ত তাঁরা সহযোগিতা বা আশ্বাস কোনোটাই পাননি। এমনকি স্থানীয় পর্যায়ে কীভাবে বন্যার কবল থেকে পুকুর ও জলাশয়ের মাছ রক্ষা করা যাবে, সেই পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে না।

জানতে চাইলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, করোনা ও ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে মৎস্যচাষিদের অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। এখন বন্যায় ক্ষতি হচ্ছে। এসব মৎস্যচাষির পাশে সরকার সব সময় থাকবে।

মৎস্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক আরিফ আজাদ বলেন, বন্যার সময় মৎস্যচাষিদের কীভাবে পুকুর ও জলাশয়ের মাছের সুরক্ষা দিতে হবে, তার সুস্পষ্ট নির্দেশনা স্থানীয় পর্যায়ে ও কেন্দ্রীয়ভাবে তৈরি করা আছে। সেগুলো দ্রুত প্রচার করা উচিত। চাষিদের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা দিয়ে মাছ ভেসে যাওয়া থেকে রক্ষা করা উচিত।

পোস্ট শেয়ার করুন

সিলেট বিভাগের খামারিদের বন্যায় ভেসে গেছে ৪৫০ কোটি টাকার মাছ

আপডেটের সময় : ১১:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জুলাই ২০২০

প্রথম দফা বন্যার পানি নামতে না নামতেই আরেকটি বড় ঢলের পূর্বাভাস এসেছে। চলতি বছরে দেশে বন্যার প্রথম ধাক্কাতেই মাছের খামার থেকে ৪৫০ কোটি টাকার বেশি দামের মাছ ও পোনা ভেসে গেছে। পুকুর ও জলাশয়ের অবকাঠামোর ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৩০ কোটি টাকার। আর এই ক্ষতির অর্ধেকের বেশি এককভাবে হয়েছে সিলেট বিভাগের খামারি ও চাষিদের। এই হিসাব মৎস্য অধিদপ্তরের। করোনার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আম্পান, এরপর বন্যার ধাক্কায় মাছের খামারিরা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। আসন্ন ঢলে কী করে অবশিষ্ট মাছের খামারগুলো রক্ষা করা যাবে, তা নিয়ে শঙ্কায় দিশেহারা খামারিরা।

সরকারের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী দু-এক দিনের মধ্যে এই বড় ঢলটি আসতে যাচ্ছে। গত ২৭ জুন শুরু হওয়া বন্যার প্রথম ধাক্কায় দেশের ১৪টি জেলার নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। আসন্ন ঢলে মোট ২৩ থেকে ২৫টি জেলা প্লাবিত হতে পারে।

আর সম্ভাব্য প্লাবিত জেলাগুলোর বেশির ভাগই মৎস্য চাষনির্ভর। ফলে সেখানকার মাছ ও পোনা যাতে বন্যার ঢলে আরও বেশি বেরিয়ে না যায়, সেই ব্যবস্থা দ্রুত নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতির সভাপতি রবীন্দ্র নাথ বর্মন বলেন, মৎস্যজীবীদের এমনিতেই সাগরে মাছ ধরা বন্ধ। করোনা ও আম্পানের কারণে অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। বন্যায় আরও ক্ষতি হচ্ছে। কিন্তু সরকার থেকে এখন পর্যন্ত তাঁরা সহযোগিতা বা আশ্বাস কোনোটাই পাননি। এমনকি স্থানীয় পর্যায়ে কীভাবে বন্যার কবল থেকে পুকুর ও জলাশয়ের মাছ রক্ষা করা যাবে, সেই পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে না।

জানতে চাইলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, করোনা ও ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে মৎস্যচাষিদের অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। এখন বন্যায় ক্ষতি হচ্ছে। এসব মৎস্যচাষির পাশে সরকার সব সময় থাকবে।

মৎস্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক আরিফ আজাদ বলেন, বন্যার সময় মৎস্যচাষিদের কীভাবে পুকুর ও জলাশয়ের মাছের সুরক্ষা দিতে হবে, তার সুস্পষ্ট নির্দেশনা স্থানীয় পর্যায়ে ও কেন্দ্রীয়ভাবে তৈরি করা আছে। সেগুলো দ্রুত প্রচার করা উচিত। চাষিদের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা দিয়ে মাছ ভেসে যাওয়া থেকে রক্ষা করা উচিত।