ঢাকা , রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

সিলেটে স্কুলগুলোর সামনে আবর্জনার ভাগাড়

অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেটের সময় : ০১:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অগাস্ট ২০১৭
  • / ১৩১৫ টাইম ভিউ

আগপাছ না ভেবে সিলেটে স্কুলগুলোর সামনে নির্মাণ করা হয়েছে সিটি করপোরেশনের ময়লা-আবর্জনা ফেলার ডাস্টবিন। ফলে স্কুলে প্রবেশ ও বের হওয়ার পথে দুর্গন্ধে নাকাল হতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। তাদের ভোগান্তির পাশাপাশি স্কুলগুলোর শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করছে অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করা এসব ডাস্টবিন। সিলেট সিটি করপোরেশনের বেশকিছু এলাকা ঘুরে এমন বিড়ম্বনার দৃশ্য দেখা গেছে। কিন্তু এসব ডাস্টবিন সরিয়ে নিতে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।

সিলেট শহরের বিভিন্ন প্রান্তে স্কুলগুলো পরিদর্শন করে দেখা গেছে, স্কুলের সামনে সিটি করপোরেশনের ডাস্টবিন। শহরের কালীঘাট লালদীঘিরপাড় এলাকার সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন করে দেখা গেছে, স্কুলের সামনে ও পেছনে ময়লা-আবর্জনার স্তূূপ। প্রধান ফটকের সামনে সিলেটের প্রধান পাইকারি বাজার কালীঘাটের ময়লা-অবর্জনা স্তূপ করে রাখা হয়েছে। সকাল-সন্ধ্যা না মেনে সিটি করপোরেশনের আবর্জনাবাহী গাড়ি যখন-তখন এখান থেকে ময়লা-আবর্জনা সরায়। এতে শিক্ষার্থীরা যেমন ভোগান্তির মধ্যে পড়ে, একইভাবে নষ্ট হয় স্কুলের শিক্ষার পরিবেশ।

স্কুলের পেছনে রয়েছে লালদীঘিরপাড় হকার্স মার্কেট। কালীঘাটে সবসময় ভারী মালবাহী যানবাহন চলাচল করায় দুর্ঘটনা এড়াতে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা স্কুলের পেছনের রাস্তাটি ব্যবহার করেন। কিন্তু স্কুলের পেছনের সড়কে লালদীঘিরপাড় হকার মার্কেটের ময়লা-আবর্জনা ফেলে স্তূপ করে রাখায় এক অসহনীয় পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
লালদীঘিরপাড় হকার্স মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানান, তারা নিজেরা টাকা দিয়েও সময়মতো ময়লা-আবর্জনা সরাতে পারছেন না। মেসার্স আবির এন্টারপ্রাইজের মালিক আবুল বশর মহসিন জানান, পেছনের গেটটি পাইলট স্কুলের গুরুত্বপূর্ণ একটি গেট। ওই গেটের সামনে মার্কেটের সব ময়লা ফেলা হয়। এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে তরকারি বিক্রেতাদের ফেলা আবর্জনা। কিন্তু ময়লা-আবর্জনা যথাসময়ে সরিয়ে না নেওয়ায় স্থানটি রীতিমতো ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।
একই মার্কেটের আজাদ গ্গ্নাস হাউসের মালিক আজাদ মিয়া জানান, স্থানটি রীতিমতো খারাপ লোকদের আস্তানায় পরিণত হয়েছে। স্কুলের পাঠের পরিবেশের পাশাপাশি মার্কেটে ব্যবসা-বাণিজ্য করা কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। ব্যবসায়ীরা নিজেদের টাকা দিয়ে সিটি করপোরেশনের গাড়ি দিয়ে অবর্জনা সরানোর ব্যবস্থা করলেও সময়মতো সরানো হচ্ছে না। আরেক ব্যবসায়ী ফয়েজ মিয়া জানান, তারা অনেক কষ্টের মধ্যে আছেন। তাদের দোকান স্কুলের ফটকের সামনে হওয়ায় চলাফেরা করতে অভিভাবকদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। সময়মতো আবর্জনা সরিয়ে নিলে এই ভোগান্তি পোহাতে হতো না।
শুধু পাইলট স্কুল নয়, শহরের জিন্দাবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনেও একই অবস্থা। ডাস্টবিনের আবর্জনার গন্ধে স্কুলে পাঠের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এলাকার লোকজন স্কুলের সামনে থেকে ডাস্টবিন সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানালেও এখনও সিটি করপোরেশন তা সরায়নি। শহরের বন্দরবাজার দুর্গাকুমার পাঠশালার সামনেও দেখা গেছে ডাস্টবিন। সেখানে গিয়ে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীরা তীব্র দুর্গন্ধের মধ্যে নাক-মুখে রুমাল চাপা দিয়ে চলাচল করছে। এ ছাড়া শহরের মীরাবাজার মডেল হাইস্কুল, পুলিশ লাইন উচ্চ বিদ্যালয়, বেসরকারি কারা প্রাথমিক বিদ্যালয়, রায়নগর জালালাবাদ বিদ্যানিকেতনের সামনেও দেখা গেছে সিটি করপোরেশনের আবর্জনা ফেলার ডাস্টবিন।
বেসরকারি কারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক নজরুল ইসলাম জানান, সবসময় সেখানে দুর্গন্ধ লেগে থাকে। স্কুলের সামনে জমে থাকে ময়লা-আবর্জনার পানি। সবসময় এসব আবর্জনা ডিঙিয়ে সন্তানদের স্কুলে আনা-নেওয়া করতে হয়। এই দুর্ভোগ করে কাটবে তা জানেন না তিনি।
সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সমকালকে বলেন, ‘রাতেই সব ময়লা-আবর্জনা সরিয়ে নেওয়া হয়। অপরিকল্পিতভাবে স্কুলের সামনে যেসব ডাস্টবিন তৈরি করা হয়েছে তা সরিয়ে নেওয়া হবে।’

পোস্ট শেয়ার করুন

সিলেটে স্কুলগুলোর সামনে আবর্জনার ভাগাড়

আপডেটের সময় : ০১:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অগাস্ট ২০১৭

আগপাছ না ভেবে সিলেটে স্কুলগুলোর সামনে নির্মাণ করা হয়েছে সিটি করপোরেশনের ময়লা-আবর্জনা ফেলার ডাস্টবিন। ফলে স্কুলে প্রবেশ ও বের হওয়ার পথে দুর্গন্ধে নাকাল হতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। তাদের ভোগান্তির পাশাপাশি স্কুলগুলোর শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করছে অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করা এসব ডাস্টবিন। সিলেট সিটি করপোরেশনের বেশকিছু এলাকা ঘুরে এমন বিড়ম্বনার দৃশ্য দেখা গেছে। কিন্তু এসব ডাস্টবিন সরিয়ে নিতে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।

সিলেট শহরের বিভিন্ন প্রান্তে স্কুলগুলো পরিদর্শন করে দেখা গেছে, স্কুলের সামনে সিটি করপোরেশনের ডাস্টবিন। শহরের কালীঘাট লালদীঘিরপাড় এলাকার সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন করে দেখা গেছে, স্কুলের সামনে ও পেছনে ময়লা-আবর্জনার স্তূূপ। প্রধান ফটকের সামনে সিলেটের প্রধান পাইকারি বাজার কালীঘাটের ময়লা-অবর্জনা স্তূপ করে রাখা হয়েছে। সকাল-সন্ধ্যা না মেনে সিটি করপোরেশনের আবর্জনাবাহী গাড়ি যখন-তখন এখান থেকে ময়লা-আবর্জনা সরায়। এতে শিক্ষার্থীরা যেমন ভোগান্তির মধ্যে পড়ে, একইভাবে নষ্ট হয় স্কুলের শিক্ষার পরিবেশ।

স্কুলের পেছনে রয়েছে লালদীঘিরপাড় হকার্স মার্কেট। কালীঘাটে সবসময় ভারী মালবাহী যানবাহন চলাচল করায় দুর্ঘটনা এড়াতে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা স্কুলের পেছনের রাস্তাটি ব্যবহার করেন। কিন্তু স্কুলের পেছনের সড়কে লালদীঘিরপাড় হকার মার্কেটের ময়লা-আবর্জনা ফেলে স্তূপ করে রাখায় এক অসহনীয় পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
লালদীঘিরপাড় হকার্স মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানান, তারা নিজেরা টাকা দিয়েও সময়মতো ময়লা-আবর্জনা সরাতে পারছেন না। মেসার্স আবির এন্টারপ্রাইজের মালিক আবুল বশর মহসিন জানান, পেছনের গেটটি পাইলট স্কুলের গুরুত্বপূর্ণ একটি গেট। ওই গেটের সামনে মার্কেটের সব ময়লা ফেলা হয়। এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে তরকারি বিক্রেতাদের ফেলা আবর্জনা। কিন্তু ময়লা-আবর্জনা যথাসময়ে সরিয়ে না নেওয়ায় স্থানটি রীতিমতো ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।
একই মার্কেটের আজাদ গ্গ্নাস হাউসের মালিক আজাদ মিয়া জানান, স্থানটি রীতিমতো খারাপ লোকদের আস্তানায় পরিণত হয়েছে। স্কুলের পাঠের পরিবেশের পাশাপাশি মার্কেটে ব্যবসা-বাণিজ্য করা কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। ব্যবসায়ীরা নিজেদের টাকা দিয়ে সিটি করপোরেশনের গাড়ি দিয়ে অবর্জনা সরানোর ব্যবস্থা করলেও সময়মতো সরানো হচ্ছে না। আরেক ব্যবসায়ী ফয়েজ মিয়া জানান, তারা অনেক কষ্টের মধ্যে আছেন। তাদের দোকান স্কুলের ফটকের সামনে হওয়ায় চলাফেরা করতে অভিভাবকদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। সময়মতো আবর্জনা সরিয়ে নিলে এই ভোগান্তি পোহাতে হতো না।
শুধু পাইলট স্কুল নয়, শহরের জিন্দাবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনেও একই অবস্থা। ডাস্টবিনের আবর্জনার গন্ধে স্কুলে পাঠের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এলাকার লোকজন স্কুলের সামনে থেকে ডাস্টবিন সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানালেও এখনও সিটি করপোরেশন তা সরায়নি। শহরের বন্দরবাজার দুর্গাকুমার পাঠশালার সামনেও দেখা গেছে ডাস্টবিন। সেখানে গিয়ে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীরা তীব্র দুর্গন্ধের মধ্যে নাক-মুখে রুমাল চাপা দিয়ে চলাচল করছে। এ ছাড়া শহরের মীরাবাজার মডেল হাইস্কুল, পুলিশ লাইন উচ্চ বিদ্যালয়, বেসরকারি কারা প্রাথমিক বিদ্যালয়, রায়নগর জালালাবাদ বিদ্যানিকেতনের সামনেও দেখা গেছে সিটি করপোরেশনের আবর্জনা ফেলার ডাস্টবিন।
বেসরকারি কারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক নজরুল ইসলাম জানান, সবসময় সেখানে দুর্গন্ধ লেগে থাকে। স্কুলের সামনে জমে থাকে ময়লা-আবর্জনার পানি। সবসময় এসব আবর্জনা ডিঙিয়ে সন্তানদের স্কুলে আনা-নেওয়া করতে হয়। এই দুর্ভোগ করে কাটবে তা জানেন না তিনি।
সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সমকালকে বলেন, ‘রাতেই সব ময়লা-আবর্জনা সরিয়ে নেওয়া হয়। অপরিকল্পিতভাবে স্কুলের সামনে যেসব ডাস্টবিন তৈরি করা হয়েছে তা সরিয়ে নেওয়া হবে।’