ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

সিলেটে জমছে না পশুর হাট

দেশ দিগন্ত সিলেট ডেক্স:
  • আপডেটের সময় : ০৪:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জুলাই ২০২০
  • / ৩৭৩ টাইম ভিউ

সিলেট নগরীর ভেতরে একমাত্র স্থায়ী পশুর হাট কাজিরবাজার। প্রতি বছর কোরবানির ঈদের ১৫ দিন আগে থেকেই জমজমাট হয়ে ওঠে এই হাট। কিন্তু প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস বদলে দিয়েছে এ বছরের চিত্র। অন্যবার কাজিরবাজার পশুর হাট ও আশপাশ এলাকায় কোরবানির পশু ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের আনাগোনায় মুখর থাকতো। কিন্তু এবার তেমন নয়।

করোনা পরিস্থিতি কাজিরবাজারের গরুর হাটের দৃশ্য বদলে দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন সিলেটের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কাজিরবাজারে হাটে গরু নিয়ে আসা বিক্রেতারা।

জানা গেছে, সিলেট জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ইত্যোমধ্যে কাজিরবাজার হাটে গরু-ছাগল উঠতে শুরু করেছে। বিক্রেতারা কর্তৃপক্ষের আদেশ-নিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাটে অবস্থান করছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত বেচাকেনা জমে ওঠেনি। সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন, ঈদের দু-তিন আগে হয়তো ক্রেতা সমাগম ঘটতে পারে।

কয়েকটি গরু ও ছাগল নিয়ে এ হাটে এসেছেন আপ্তাব মিয়া নামের এক ব্যবসায়ী। তিনি বললেন, আমরা দুজন মানুষ কয়েকটি গরু-ছাগল নিয়ে গত পরশু এই হাটে এসেছি। আমাদের থাকা-খাওয়াসহ সঙ্গের পশুগুলোর পেছনে প্রতিদিন প্রায় ৫০০ টাকা খরচ আছে। তবুও বিক্রির আশায় এখানেই থাকছি, আশপাশের হোটেলে ডাল-ভাত খাচ্ছি।

তিনি বলেন, প্রতিবার এ সময় যেমন ক্রেতা আসে এবার তেমন ক্রেতা নেই। দু-একজন আসে, গরু দেখে, দাম শুনে চলে যায়। গতবার যে মাপের গরু লাখ টাকার উপরে বিক্রি হয়েছে এ হাটে- এবার সেই গরুর ৬০-৭০ হাজার টাকাও দাম বলছে না ক্রেতারা। এমন পরিস্থিতিতে আমরা যারা এই কোরবানির ঈদের আশায় সারা বছর চেয়ে থাকি, তারা এখন রীতিমতো চোখের জল ফেলছি। যদি ঈদের আগে ৪-৫ দিন ভালো ব্যবসা না হয় তবে নির্ঘাত পথে বসতে হবে।

উল্লেখ্য, সিলেট মহানগর পুলিশের আওতাধীন সিলেট বৈধ পশুর হাটগুলো হচ্ছে, কোতোয়ালি থানাধীন এলাকায় কাজিরবাজার পশুর হাট, জালালাবাদ থানাধীন শিবেরবাজার পশুর হাট (খোলা জায়গা), বিমানবন্দর থানাধীন ধুপাগুল পয়েন্ট সংলগ্ন মাঠ পশুর হাট (খোলা জায়গা), লাক্কাতুরা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ পশুর হাট, দক্ষিণ সুরমা থানাধীন লালাবাজার পশুর হাট (খোলা জায়গা), কামালবাজার জাবেদ অটো রাইছ মিলের মাঠ পশুর হাট, মোগলাবাজার থানাধীন জালালপুর বাজার পশুর হাট, রেঙ্গা হাজীগঞ্জ বাজার পশুর হাট (খোলা জায়গা), রাখালগঞ্জ বাজার পশুর হাট (খোলা জায়গা) ও কেন্দ্রীয় ট্রাক টার্মিনালের পশুর হাট।#

পোস্ট শেয়ার করুন

সিলেটে জমছে না পশুর হাট

আপডেটের সময় : ০৪:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জুলাই ২০২০

সিলেট নগরীর ভেতরে একমাত্র স্থায়ী পশুর হাট কাজিরবাজার। প্রতি বছর কোরবানির ঈদের ১৫ দিন আগে থেকেই জমজমাট হয়ে ওঠে এই হাট। কিন্তু প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস বদলে দিয়েছে এ বছরের চিত্র। অন্যবার কাজিরবাজার পশুর হাট ও আশপাশ এলাকায় কোরবানির পশু ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের আনাগোনায় মুখর থাকতো। কিন্তু এবার তেমন নয়।

করোনা পরিস্থিতি কাজিরবাজারের গরুর হাটের দৃশ্য বদলে দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন সিলেটের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কাজিরবাজারে হাটে গরু নিয়ে আসা বিক্রেতারা।

জানা গেছে, সিলেট জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ইত্যোমধ্যে কাজিরবাজার হাটে গরু-ছাগল উঠতে শুরু করেছে। বিক্রেতারা কর্তৃপক্ষের আদেশ-নিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাটে অবস্থান করছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত বেচাকেনা জমে ওঠেনি। সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন, ঈদের দু-তিন আগে হয়তো ক্রেতা সমাগম ঘটতে পারে।

কয়েকটি গরু ও ছাগল নিয়ে এ হাটে এসেছেন আপ্তাব মিয়া নামের এক ব্যবসায়ী। তিনি বললেন, আমরা দুজন মানুষ কয়েকটি গরু-ছাগল নিয়ে গত পরশু এই হাটে এসেছি। আমাদের থাকা-খাওয়াসহ সঙ্গের পশুগুলোর পেছনে প্রতিদিন প্রায় ৫০০ টাকা খরচ আছে। তবুও বিক্রির আশায় এখানেই থাকছি, আশপাশের হোটেলে ডাল-ভাত খাচ্ছি।

তিনি বলেন, প্রতিবার এ সময় যেমন ক্রেতা আসে এবার তেমন ক্রেতা নেই। দু-একজন আসে, গরু দেখে, দাম শুনে চলে যায়। গতবার যে মাপের গরু লাখ টাকার উপরে বিক্রি হয়েছে এ হাটে- এবার সেই গরুর ৬০-৭০ হাজার টাকাও দাম বলছে না ক্রেতারা। এমন পরিস্থিতিতে আমরা যারা এই কোরবানির ঈদের আশায় সারা বছর চেয়ে থাকি, তারা এখন রীতিমতো চোখের জল ফেলছি। যদি ঈদের আগে ৪-৫ দিন ভালো ব্যবসা না হয় তবে নির্ঘাত পথে বসতে হবে।

উল্লেখ্য, সিলেট মহানগর পুলিশের আওতাধীন সিলেট বৈধ পশুর হাটগুলো হচ্ছে, কোতোয়ালি থানাধীন এলাকায় কাজিরবাজার পশুর হাট, জালালাবাদ থানাধীন শিবেরবাজার পশুর হাট (খোলা জায়গা), বিমানবন্দর থানাধীন ধুপাগুল পয়েন্ট সংলগ্ন মাঠ পশুর হাট (খোলা জায়গা), লাক্কাতুরা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ পশুর হাট, দক্ষিণ সুরমা থানাধীন লালাবাজার পশুর হাট (খোলা জায়গা), কামালবাজার জাবেদ অটো রাইছ মিলের মাঠ পশুর হাট, মোগলাবাজার থানাধীন জালালপুর বাজার পশুর হাট, রেঙ্গা হাজীগঞ্জ বাজার পশুর হাট (খোলা জায়গা), রাখালগঞ্জ বাজার পশুর হাট (খোলা জায়গা) ও কেন্দ্রীয় ট্রাক টার্মিনালের পশুর হাট।#