ঢাকা , শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
লিসবনে আত্মপ্রকাশ হয় সামাজিক সংগঠন “গোলাপগঞ্জ কমিউনিটি কেয়ারর্স পর্তুগাল “ উচ্ছ্বাস আর আনন্দে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখের উদযাপন করেছে পর্তুগাল যথাযথ গাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে পরিবেশে মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর পালন করেছে ভেনিস প্রবাসীরা ভেনিসে বৃহত্তর সিলেট সমিতির আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত এক অসুস্থ প্রজন্ম কে সাথি করে এগুচ্ছি আমরা রিডানডেন্ট ক্লোথিং আর মজুর মামার ‘বিশ্বকাপ’ ইউরোপের সবচেয়ে বড় ঈদুল ফিতরের নামাজ পর্তুগালে অনুষ্ঠিত হয় বর্ণাঢ্য আয়োজনে পর্তুগাল বাংলা প্রেসক্লাবের ইফতার ও দোয়া মাহফিল সম্পন্ন ঈদের কাপড় কিনার জন্য মা’য়ের উপর অভিমান করে মেয়ের আত্মহত্যা লিসবনে বন্ধু মহলের আয়োজনে বিশাল ইফতার ও দোয়া মাহফিল

সিলেটে এক বছর পর ডোবায় মিলল নিখোঁজ ব্যবসায়ীর কঙ্কাল

দেশ দিগন্ত সিলেট ডেক্স:
  • আপডেটের সময় : ০৭:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জুলাই ২০২০
  • / ৪৫১ টাইম ভিউ

সিলেটে নিখোঁজের একবছর পর ডোবা থেকে এক ব্যবসায়ীর কঙ্কাল (১৫টি হাড়) উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিখোঁজের এক বছর পর ব্যবসায়ীর হাড় উদ্ধার নিয়ে সিলেটে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। বের হয়ে এসেছে হত্যাকাণ্ডের লোমহর্ষক তথ্য।

গতকাল মঙ্গলবার দিনভর অভিযান চালিয়ে জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের কনকলস এলাকার একটি ডোবা থেকে কামাল আহমদ নামের ওই ব্যবসায়ীর হাড়গুলো উদ্ধার করা হয়। সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জকিগঞ্জ সার্কেল) সুদীপ্ত রায় প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দীর্ঘদিন পর এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেন।

আজ বুধবার এমন তথ্য জানিয়েছেন সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. লুৎফর রহমান। গ্রেফতারকৃতরা হলেন আমির উদ্দিন ওরফে আলী হোসেন, হেলাল আহমদ ও আব্দুস শহীদ। এর মধ্যে আমির উদ্দিন কানাইঘাটের, বাকিরা বিয়ানীবাজারের বাসিন্দা।

পুলিশ জানায়, বিয়ানীবাজারের চারখাইয়ের আদিনাবাদ শেখপাড়া গ্রামের মৃত রকিব আলীর ছেলে কামাল আহমদ (৪২)। চারখাই বাজারে ‘কামাল স্টোর’ নামে তার একটি পাইকারি মুদি দোকান ছিল। গত বছরের ১০ আগস্ট দোকান থেকে তিনি বাড়িতে ফিরেননি। তার খোঁজ না পাওয়ায় ২০ আগস্ট তার বড় ভাই জালাল আহমদ বিয়ানীবাজার থানায় জিডি করেন। পরে জালাল আহমদ ওই বছরের ৩ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। আদালত অভিযোগটি তদন্তের নির্দেশ দেন বিয়ানীবাজার থানা পুলিশকে। এরপর পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় তদন্ত শুরু করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়।

প্রযুক্তির সহায়তায় তদন্ত চালিয়ে সুদীপ্ত রায় গত মঙ্গলবার সিলেটের কানাইঘাটের দনা ইসলামপুর থেকে কামাল আহমদের দোকানের কর্মচারী আমির উদ্দিন ওরফে আলী হোসেনকে গ্রেফতার করেন। জিজ্ঞাসাবাদে সে কামাল আহমদ হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে।

আমির উদ্দিনের জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ জানায়, গেল বছরের জুন মাসে কামাল আহমদের অগোচরে দোকান থেকে ৮ লাখ টাকার মালামাল হেলাল আহমদের কাছে বিক্রি করে দেন আমির। বিষয়টি টের পেয়ে টাকার জন্য চাপ দেন কামাল। এজন্যই তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন কর্মচারী আমির উদ্দিন, মালামাল ক্রয়কারী হেলাল আহমদ, আলী আকবর, আলিম উদ্দিন, আব্দুস শহিদ ও জুবেদ আহমদ। পরে ওই বছরের ১০ আগস্ট কামাল আহমদকে অপহরণ করে বিয়ানীবাজারের কনকলস গ্রামস্থ তার নতুন বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে হত্যার পর প্লাস্টিকের ড্রামের মধ্যে মরদেহ ঢুকিয়ে পাশের ব্রিকফিল্ডের ডোবায় ফেলে রাখা হয়। পুলিশ ওই ডোবা থেকে ১৫টি হাড় উদ্ধার করেছে। পরে অভিযান চালিয়ে হেলাল আহমদ ও আব্দুস শহীদকে গ্রেফতার করা হয়।

সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লুৎফর রহমান বলেন, গ্রেফতারকৃত তিনজনকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ হত্যাকান্ডে জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। #

পোস্ট শেয়ার করুন

সিলেটে এক বছর পর ডোবায় মিলল নিখোঁজ ব্যবসায়ীর কঙ্কাল

আপডেটের সময় : ০৭:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জুলাই ২০২০

সিলেটে নিখোঁজের একবছর পর ডোবা থেকে এক ব্যবসায়ীর কঙ্কাল (১৫টি হাড়) উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিখোঁজের এক বছর পর ব্যবসায়ীর হাড় উদ্ধার নিয়ে সিলেটে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। বের হয়ে এসেছে হত্যাকাণ্ডের লোমহর্ষক তথ্য।

গতকাল মঙ্গলবার দিনভর অভিযান চালিয়ে জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের কনকলস এলাকার একটি ডোবা থেকে কামাল আহমদ নামের ওই ব্যবসায়ীর হাড়গুলো উদ্ধার করা হয়। সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জকিগঞ্জ সার্কেল) সুদীপ্ত রায় প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দীর্ঘদিন পর এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেন।

আজ বুধবার এমন তথ্য জানিয়েছেন সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. লুৎফর রহমান। গ্রেফতারকৃতরা হলেন আমির উদ্দিন ওরফে আলী হোসেন, হেলাল আহমদ ও আব্দুস শহীদ। এর মধ্যে আমির উদ্দিন কানাইঘাটের, বাকিরা বিয়ানীবাজারের বাসিন্দা।

পুলিশ জানায়, বিয়ানীবাজারের চারখাইয়ের আদিনাবাদ শেখপাড়া গ্রামের মৃত রকিব আলীর ছেলে কামাল আহমদ (৪২)। চারখাই বাজারে ‘কামাল স্টোর’ নামে তার একটি পাইকারি মুদি দোকান ছিল। গত বছরের ১০ আগস্ট দোকান থেকে তিনি বাড়িতে ফিরেননি। তার খোঁজ না পাওয়ায় ২০ আগস্ট তার বড় ভাই জালাল আহমদ বিয়ানীবাজার থানায় জিডি করেন। পরে জালাল আহমদ ওই বছরের ৩ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। আদালত অভিযোগটি তদন্তের নির্দেশ দেন বিয়ানীবাজার থানা পুলিশকে। এরপর পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় তদন্ত শুরু করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়।

প্রযুক্তির সহায়তায় তদন্ত চালিয়ে সুদীপ্ত রায় গত মঙ্গলবার সিলেটের কানাইঘাটের দনা ইসলামপুর থেকে কামাল আহমদের দোকানের কর্মচারী আমির উদ্দিন ওরফে আলী হোসেনকে গ্রেফতার করেন। জিজ্ঞাসাবাদে সে কামাল আহমদ হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে।

আমির উদ্দিনের জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ জানায়, গেল বছরের জুন মাসে কামাল আহমদের অগোচরে দোকান থেকে ৮ লাখ টাকার মালামাল হেলাল আহমদের কাছে বিক্রি করে দেন আমির। বিষয়টি টের পেয়ে টাকার জন্য চাপ দেন কামাল। এজন্যই তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন কর্মচারী আমির উদ্দিন, মালামাল ক্রয়কারী হেলাল আহমদ, আলী আকবর, আলিম উদ্দিন, আব্দুস শহিদ ও জুবেদ আহমদ। পরে ওই বছরের ১০ আগস্ট কামাল আহমদকে অপহরণ করে বিয়ানীবাজারের কনকলস গ্রামস্থ তার নতুন বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে হত্যার পর প্লাস্টিকের ড্রামের মধ্যে মরদেহ ঢুকিয়ে পাশের ব্রিকফিল্ডের ডোবায় ফেলে রাখা হয়। পুলিশ ওই ডোবা থেকে ১৫টি হাড় উদ্ধার করেছে। পরে অভিযান চালিয়ে হেলাল আহমদ ও আব্দুস শহীদকে গ্রেফতার করা হয়।

সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লুৎফর রহমান বলেন, গ্রেফতারকৃত তিনজনকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ হত্যাকান্ডে জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। #