ঢাকা , বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

সিলেটে আবারও নদীতে বাড়ছে পানি, আতঙ্কে জনমনে

দেশ দিগন্ত সিলেট ডেক্স:
  • আপডেটের সময় : ০৯:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জুলাই ২০২০
  • / ৪২৩ টাইম ভিউ

সুরমা, কুশিয়ারা আর সারি নদীর পানি ছুটছে বিপদসীমা পেরিয়ে। সিলেটের নদ-নদীগুলোর পানি ফের বাড়তে শুরু করেছে।  অব্যাহত বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল পরিস্থিতিকে করে তুলছে বিপজ্জনক। ইতিমধ্যেই তলিয়ে গেছে সিলেটের নিম্নাঞ্চল। আতঙ্ক বাড়ছে মানুষের।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, সোমবার বিকাল ৬টায় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। আজ মঙ্গলবার বিকাল ৬টায় পানি বেড়ে বিপদসীমার ৮৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে।

সুরমার পানি বেড়েছে সিলেট পয়েন্টেও। কাল এ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। আজ বিকাল ৬টায় পানি বিপদসীমার মাত্র ১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।

কুশিয়ারা নদীর পানি ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে আজ বিপৎসীমার ৪৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছিল। গতকালের চেয়ে পানি বেড়েছে ৩ সেন্টিমিটার। কুশিয়ারার পানি গতকালের চেয়ে আজ আমলশিদ পয়েন্টে ২৬ সেন্টিমিটার আর শেরপুর পয়েন্টে ৪ সেন্টিমিটার বেড়েছে।

সারি নদীর পানি গতকাল বিকাল ৬টায় বিপদসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। আজ বিকাল ৬টায় পানি বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছিল।পানি বেড়েছে লোভা আর ধলাই নদীতেও।

পানি বাড়তে থাকায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এবারের মৌসুমে আগের বন্যাগুলোর ক্ষত এখনও কাটিয়ে ওঠতে পারেনি মানুষ। এবার আরেক দফার বন্যা এসে হতদরিদ্র মানুষের অবস্থাকে করে দিচ্ছে বিপন্ন। বন্যার পানির ঢেউয়ের তোড়ে অনেকের ভিটে মাটিও ভাঙছে।

গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার অনেক মানুষ বন্যাকবলিত বাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে ওঠেছেন। কিন্তু আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষের সংকুলানই না হওয়ায় গবাদিপশু নিয়ে তারা পড়েছেন বিপাকে। বাধ্য হয়ে অনেকে একেবারে নামমাত্র মূল্যে গবাদিপশু বিক্রি করে দিচ্ছেন।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী বলেন, গতকাল সোমবার থেকে বর্ষণ শুরু হয়েছে, তা ২৪ তারিখ অবধি অব্যাহত থাকার পূর্বাভাস রয়েছে। এর সাথে ভারতের আসাম ও মেঘালয়েও প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে পরিস্থিতি হতে পারে বিপজ্জনক।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেরে নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ শহীদুজ্জামান সরকার বন্যার শঙ্কা আছে বলে জানিয়েছেন।#

পোস্ট শেয়ার করুন

সিলেটে আবারও নদীতে বাড়ছে পানি, আতঙ্কে জনমনে

আপডেটের সময় : ০৯:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জুলাই ২০২০

সুরমা, কুশিয়ারা আর সারি নদীর পানি ছুটছে বিপদসীমা পেরিয়ে। সিলেটের নদ-নদীগুলোর পানি ফের বাড়তে শুরু করেছে।  অব্যাহত বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল পরিস্থিতিকে করে তুলছে বিপজ্জনক। ইতিমধ্যেই তলিয়ে গেছে সিলেটের নিম্নাঞ্চল। আতঙ্ক বাড়ছে মানুষের।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, সোমবার বিকাল ৬টায় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। আজ মঙ্গলবার বিকাল ৬টায় পানি বেড়ে বিপদসীমার ৮৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে।

সুরমার পানি বেড়েছে সিলেট পয়েন্টেও। কাল এ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। আজ বিকাল ৬টায় পানি বিপদসীমার মাত্র ১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।

কুশিয়ারা নদীর পানি ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে আজ বিপৎসীমার ৪৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছিল। গতকালের চেয়ে পানি বেড়েছে ৩ সেন্টিমিটার। কুশিয়ারার পানি গতকালের চেয়ে আজ আমলশিদ পয়েন্টে ২৬ সেন্টিমিটার আর শেরপুর পয়েন্টে ৪ সেন্টিমিটার বেড়েছে।

সারি নদীর পানি গতকাল বিকাল ৬টায় বিপদসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। আজ বিকাল ৬টায় পানি বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছিল।পানি বেড়েছে লোভা আর ধলাই নদীতেও।

পানি বাড়তে থাকায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এবারের মৌসুমে আগের বন্যাগুলোর ক্ষত এখনও কাটিয়ে ওঠতে পারেনি মানুষ। এবার আরেক দফার বন্যা এসে হতদরিদ্র মানুষের অবস্থাকে করে দিচ্ছে বিপন্ন। বন্যার পানির ঢেউয়ের তোড়ে অনেকের ভিটে মাটিও ভাঙছে।

গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার অনেক মানুষ বন্যাকবলিত বাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে ওঠেছেন। কিন্তু আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষের সংকুলানই না হওয়ায় গবাদিপশু নিয়ে তারা পড়েছেন বিপাকে। বাধ্য হয়ে অনেকে একেবারে নামমাত্র মূল্যে গবাদিপশু বিক্রি করে দিচ্ছেন।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী বলেন, গতকাল সোমবার থেকে বর্ষণ শুরু হয়েছে, তা ২৪ তারিখ অবধি অব্যাহত থাকার পূর্বাভাস রয়েছে। এর সাথে ভারতের আসাম ও মেঘালয়েও প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে পরিস্থিতি হতে পারে বিপজ্জনক।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেরে নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ শহীদুজ্জামান সরকার বন্যার শঙ্কা আছে বলে জানিয়েছেন।#