সাইনবোর্ড দেখলে মনে হবে এটি একটি পরিত্যক্ত রেলস্টেশন ———– সিপার আহমেদ
- আপডেটের সময় : ০৩:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২০
- / ৬৩৮ টাইম ভিউ
সাইনবোর্ড দেখলে মনে হবে এটি বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি পরিত্যক্ত রেলস্টেশন। অথচ এটি একটি পুরাতন জংশন স্টেশন। শুধুমাত্র অবহেলা আর যত্নের অভাব।
শুধু তাই নয় পুরো সিলেট বিভাগের রেলযোগাযোগই অবহেলিত। ইদানিং কালে সিলেট-ঢাকা রেলপথের সময়সূচি দেখলেই তা প্রতীয়মান হয়। যে কাউকে জিজ্ঞেস করলেই বলবে এটা একটা ফালতু টাইমটেবল। সেবা আর আরামের চেয়ে যন্ত্রণাই বেশী। কারো যেন কিছু বলার নেই।
সিলেটের মন্ত্রী এমপিরা যেন শুধু মাত্র তাদের নিজের জন্যই পদবীটা ব্যবহার করছেন। নাগরিকের প্রতি তাদের যেন কোন দায়-দায়িত্ব নেই।
অনেক সমস্যা নিয়েই চলছে সিলেটের রেলপথ। প্রায়শই দুর্ঘটনা। কখনো ট্রেনে আগুন লেগে যায়, কখনো ট্রেন উল্টে যায়, কখনোবা চলার মাঝে ইঞ্জিন বিকল। হিজড়াদের সমস্যা তো আছেই। আমার তো ধারণা, হিজড়ারা সম্ভবত রেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ঘুষের বিনিময়ে ট্রেনগুলো লিজ নিয়েছে। নতুবা এমন হবে কেন। গার্ড, ড্রাইভার,এ্যাটেনডেন্ট,পুলিশ, টিটিই সবাই খুব সম্ভব হিজড়াদের কাছ থেকে ভাগ-বাটোয়ারা পায়।
টিকেটের সমস্যা তো আছেই। ঢাকা চট্টগ্রাম সহ বিভিন্ন পথের যাত্রীরা টিকেটের জন্য সব সময় হা-হুতাশ করেন। জরুরী প্রয়োজনেও টিকেট পাওয়া যায় না। অথচ চটকদার রেলসেবার বিজ্ঞাপন দেয় রেলওয়ে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেন গুলোতে ভ্রমন করার সুযোগ আমার মাঝে মধ্যে হয়। ঐ ট্রেন গুলোতে ভ্রমন করলে চিন্তা জাগে সিলেট বোধহয় একটা আলাদা ভূখন্ড।
অবশ্য ঐ এলাকার মন্ত্রী-এমপিদের কারণেই তাদের মানুষজন সুবিধা পাচ্ছে। যে সেবা দিতে পারছেন না সিলেটের মন্ত্রী এমপিরা।
যে যাই বলুক না কেন অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান সিলেটের জন্য যা করেছেন তা ইতিহাস হয়ে থাকবে। তাঁর দেখানো পথে আজো কেউ পথ চলেনি। যদি চলতেন তাহলে সিলেটিরা আজ এত পিছিয়ে থাকতো না।