সন্ত্রাসী বিকাশ দুবে বন্দুকযুদ্ধে নিহত, জানিয়েছে কানপুর পুলিশ
- আপডেটের সময় : ০৩:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জুলাই ২০২০
- / ৭৬২ টাইম ভিউ
ভারতের উত্তর প্রদেশে ৮ পুলিশ হত্যার ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন সন্ত্রাসী বিকাশ দুবে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে কানপুর পুলিশ।
শুক্রবার সকালে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে বলে হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বৃহস্পতিবার মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীর একটি মন্দির থেকে গ্রেপ্তারের পর বিকাশকে নিয়ে উত্তর প্রদেশে ফিরছিল তাদের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) গাড়িবহর।
এক বিবৃতিতে কানপুর পুলিশ বলে, তীব্র বৃষ্টিপাতের কারণে কানপুরের সাচেন্দি এলাকার পিচ্ছিল রাস্তায় বহরের একটি গাড়ি উল্টে যায়। ওই দুর্ঘটনার পরপরই বিকাশ এক পুলিশ সদস্যের অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে কাছাকাছি একটি মাঠের মধ্যে লুকিয়ে পড়ে। পুলিশ সদস্যরা তাকে চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলেন। এরপর তাকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হলেও, তিনি তা না করে উল্টো পুলিশ সদস্যদের দিকে গুলি ছোড়েন। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছুড়লে বিকাশ গুরুতর আহত হন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।
গাড়ি উল্টানোর ঘটনায় চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস। কাছাকাছি একটি কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে তাদেরকে ভর্তি করা হয়েছে।
গত সপ্তাহে ৮ পুলিশকে হত্যার পর থেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন বিকাশ। বৃহস্পতিবার উজ্জয়িনীর মন্দির থেকে গ্রেপ্তারের আগে চারটি রাজ্যে তাকে তন্ন তন্ন করে খুঁজেছে পুলিশ।
বিবিসি জানিয়েছে, উজ্জয়িনীর একটি দোকান থেকে পূজার সামগ্রী কেনার সময় দোকানদার তাকে চিনে ফেলেন; ওই দোকানদারই পরে মন্দিরের নিরাপত্তা রক্ষীদের সতর্ক করে দেন।
পূজা সেরে বিকাশ মন্দির থেকে বের হওয়ার সময় রক্ষীরা তার পরিচয় জিজ্ঞেস করে। সে ভুয়া একটি পরিচয়পত্র দেখায়। রক্ষীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাকে গ্রেপ্তার করে।
কানপুরে বিকাশের গ্রাম বিকারুতে পুলিশের ওপর হামলার পর থেকে পুলিশের এনকাউন্টারে তার বেশ কয়েকজন সহযোগীও নিহত হয়েছে।
এ বিকারু গ্রামেই গত শুক্রবার ভোররাতে উত্তর প্রদেশের কানপুরে ৬০ মামলার আসামী বিকাশকে ধরতে যায় পুলিশের একটি দল।
আগে থেকে খবর পেয়ে বিকাশের সহযোগীরা গ্রামে ঢোকার মুখে বুলডোজার ফেলে রাস্তা আটকে তিন দিক থেকে পুলিশের ওপর গুলি চালায়। এতে একজন ডেপুটি পুলিশ সুপারসহ আট পুলিশ সদস্য নিহত হন।