ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পূর্ব লন্ডনে বড়লেখার সোয়েব আহমেদের সমর্থনে মতবিনিময় সভা ইতালির ভেনিসে গ্রিন সিলেট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এর জরুরি সভা অনুষ্ঠিত ইতালির ভেনিসে এনটিভির ইউরোপের ডিরেক্টর সাবরিনা হোসাইন কে সংবর্ধনা দিয়েছে ইউরোপিয়ান বাংলা প্রেসক্লাব পর্তুগালে বেজা আওয়ামীলীগের কর্মি সভা পর্তুগাল এ ফ্রেন্ডশিপ ক্রিকেট ক্লাবের জার্সি উন্মোচন লিসবনে আত্মপ্রকাশ হয় সামাজিক সংগঠন “গোলাপগঞ্জ কমিউনিটি কেয়ারর্স পর্তুগাল “ উচ্ছ্বাস আর আনন্দে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখের উদযাপন করেছে পর্তুগাল যথাযথ গাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে পরিবেশে মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর পালন করেছে ভেনিস প্রবাসীরা ভেনিসে বৃহত্তর সিলেট সমিতির আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত এক অসুস্থ প্রজন্ম কে সাথি করে এগুচ্ছি আমরা

শ্রমিক লীগের ১২তম সম্মেলনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ১২:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০১৯
  • / ২৮৫ টাইম ভিউ

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিষ্ঠিত আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন শ্রমিক লীগের ১২তম জাতীয় সম্মেলন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (৯ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শান্তির প্রতীক সাদা পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে সম্মেলন উদ্বোধন করেন তিনি। এ সময় একসঙ্গে জাতীয় সঙ্গী‌ত গাওয়া হয়। উত্তোলন করা হয় জাতীয় পতাকা। এ সময় একযোগে শ্রমিক লীগের ৭৪টি সাংগঠনিক জেলার দলীয় পতাকাও উত্তোলন করা হয়।

মঞ্চে উঠে শেখ হাসিনা নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে হাত নেড়ে অভিনন্দনের জবাব দেন। প্রধানমন্ত্রীকে সম্মেলনের ব্যাজ পরিয়ে দেন শ্রমিক লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার।

প্রধানমন্ত্রীকে ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে বরণ করে নেন শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহামুদ, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম এবং কার্যকরী সভাপতি ফজলুল হক মন্টু।

পরে ‘মুজিব জাতির পিতা’, ‘ভয় নেই কোনো ভয়, জয় বাংলার জয়’ শিরোনামে গান পরিবেশনা করেন ফকির আলমগীর।

বেলা ১১ টা ৮ মিনিটে পবিত্র কোরআন থেকে তেলোয়াতের মাধ্যমে সম্মেলনের কার্যক্রম শুরু হয়। পবিত্র কোরআন থেকে তেলোয়াত করেন জাতীয় বায়তুল মোকাররম মসজিদের ক্বারী মো. হাবিবুর রহমান। গীতা থেকে পাঠ করেন দুলাল চন্দ্র রবি দাস। বাইবেল থেকে পাঠ করেন ভিক্টর রায়।

সম্মেলনের প্রথম পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী। পরে দুপুরের বিরতির পর সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনষ্টিটিউশনে। এখানেই ঘোষণা হবে শ্রমিক লীগের নতুন নেতৃত্ব।

এর আগে সমাবেশস্থলে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা পৌঁছালে তাকে স্লোগান আর করতালি দিয়ে শুভেচ্ছা জানান শ্রমিক লীগের নেতা-কর্মীরা।

দীর্ঘদিন পর সংগঠনের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সোহারাওয়ার্দী উদ্যান পরিণত হয়েছে উৎসবের স্থান হিসেবে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে ব্যানার ফেস্টুনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে।

শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, সম্মেলনে সাড়ে আট হাজার কাউন্সিলর, সাড়ে আট হাজার ডেলিগেটর এসেছেন। আছেন বিদেশি অতিথিও। এর মধ্যে রয়েছেন ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ইউনিয়ন কনফেডারেশন বাংলাদেশ কাউন্সিল-আইটিইউসি জেনারেল সেক্রেটারি জাপানি নাগরিক ওসিদা, সার্ক শ্রমিক সংগঠনের জেনারেল সেক্রেটারি শ্রীলঙ্গান নাগরিক লাক্সমান বাক্সনেট, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা-আইএলও এর কান্ট্রি ডিরেক্টর মি টোমো। সম্মেলনে তারাও বক্তব্য রাখবেন।

সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সম্মেলন হয় সর্বশেষ ২০১২ সালে। ওই সম্মেলনে সভাপতি হন শুক্কুর মাহামুদ, সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান সিরাজুল ইসলাম। ৩ বছরের কমিটির মেয়াদ থাকলেও চলেছে প্রায় ৮ বছর।

শ্রমিক লীগের এবারের সম্মেলনে সভাপতি পদে আলোচনায় আছেন-সংগঠনটির বর্তমান কমিটির কার্যকরী সভাপতি ফজলুল হক মন্টু, সরদার মোতাহের উদ্দিন, নূর কুতুব আলম মান্নান, হাবিবুর রহমান আকন্দ, আমিনুল হক ফারুক, মোল্লা আবুল কালাম আজাদ, এজাজ আহমেদ, সাবেক শ্রমিক নেতা ইসরাফিল আলম। এ ছাড়া বর্তমান সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ এবং সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলামও সভাপতি পদপ্রার্থী।

সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন সংগঠনটির বর্তমান কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, খান সিরাজুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব কে এম আযম খসরু, দপ্তর সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক সুলতান আহমেদ, শ্রমিক উন্নয়ন ও কল্যাণ বিষয়ক সম্পদক কাউসার আহমেদ পলাশ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মোতালেব হাওলাদার।

১৯৬৯ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শ্রমিক লীগ প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০৮ সালের গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুসারে শ্রমিক লীগকে ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের মর্যাদা দেয় আওয়ামী লীগ।

পোস্ট শেয়ার করুন

শ্রমিক লীগের ১২তম সম্মেলনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

আপডেটের সময় : ১২:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০১৯

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিষ্ঠিত আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন শ্রমিক লীগের ১২তম জাতীয় সম্মেলন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (৯ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শান্তির প্রতীক সাদা পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে সম্মেলন উদ্বোধন করেন তিনি। এ সময় একসঙ্গে জাতীয় সঙ্গী‌ত গাওয়া হয়। উত্তোলন করা হয় জাতীয় পতাকা। এ সময় একযোগে শ্রমিক লীগের ৭৪টি সাংগঠনিক জেলার দলীয় পতাকাও উত্তোলন করা হয়।

মঞ্চে উঠে শেখ হাসিনা নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে হাত নেড়ে অভিনন্দনের জবাব দেন। প্রধানমন্ত্রীকে সম্মেলনের ব্যাজ পরিয়ে দেন শ্রমিক লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার।

প্রধানমন্ত্রীকে ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে বরণ করে নেন শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহামুদ, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম এবং কার্যকরী সভাপতি ফজলুল হক মন্টু।

পরে ‘মুজিব জাতির পিতা’, ‘ভয় নেই কোনো ভয়, জয় বাংলার জয়’ শিরোনামে গান পরিবেশনা করেন ফকির আলমগীর।

বেলা ১১ টা ৮ মিনিটে পবিত্র কোরআন থেকে তেলোয়াতের মাধ্যমে সম্মেলনের কার্যক্রম শুরু হয়। পবিত্র কোরআন থেকে তেলোয়াত করেন জাতীয় বায়তুল মোকাররম মসজিদের ক্বারী মো. হাবিবুর রহমান। গীতা থেকে পাঠ করেন দুলাল চন্দ্র রবি দাস। বাইবেল থেকে পাঠ করেন ভিক্টর রায়।

সম্মেলনের প্রথম পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী। পরে দুপুরের বিরতির পর সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনষ্টিটিউশনে। এখানেই ঘোষণা হবে শ্রমিক লীগের নতুন নেতৃত্ব।

এর আগে সমাবেশস্থলে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা পৌঁছালে তাকে স্লোগান আর করতালি দিয়ে শুভেচ্ছা জানান শ্রমিক লীগের নেতা-কর্মীরা।

দীর্ঘদিন পর সংগঠনের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সোহারাওয়ার্দী উদ্যান পরিণত হয়েছে উৎসবের স্থান হিসেবে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে ব্যানার ফেস্টুনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে।

শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, সম্মেলনে সাড়ে আট হাজার কাউন্সিলর, সাড়ে আট হাজার ডেলিগেটর এসেছেন। আছেন বিদেশি অতিথিও। এর মধ্যে রয়েছেন ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ইউনিয়ন কনফেডারেশন বাংলাদেশ কাউন্সিল-আইটিইউসি জেনারেল সেক্রেটারি জাপানি নাগরিক ওসিদা, সার্ক শ্রমিক সংগঠনের জেনারেল সেক্রেটারি শ্রীলঙ্গান নাগরিক লাক্সমান বাক্সনেট, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা-আইএলও এর কান্ট্রি ডিরেক্টর মি টোমো। সম্মেলনে তারাও বক্তব্য রাখবেন।

সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সম্মেলন হয় সর্বশেষ ২০১২ সালে। ওই সম্মেলনে সভাপতি হন শুক্কুর মাহামুদ, সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান সিরাজুল ইসলাম। ৩ বছরের কমিটির মেয়াদ থাকলেও চলেছে প্রায় ৮ বছর।

শ্রমিক লীগের এবারের সম্মেলনে সভাপতি পদে আলোচনায় আছেন-সংগঠনটির বর্তমান কমিটির কার্যকরী সভাপতি ফজলুল হক মন্টু, সরদার মোতাহের উদ্দিন, নূর কুতুব আলম মান্নান, হাবিবুর রহমান আকন্দ, আমিনুল হক ফারুক, মোল্লা আবুল কালাম আজাদ, এজাজ আহমেদ, সাবেক শ্রমিক নেতা ইসরাফিল আলম। এ ছাড়া বর্তমান সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ এবং সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলামও সভাপতি পদপ্রার্থী।

সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন সংগঠনটির বর্তমান কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, খান সিরাজুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব কে এম আযম খসরু, দপ্তর সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক সুলতান আহমেদ, শ্রমিক উন্নয়ন ও কল্যাণ বিষয়ক সম্পদক কাউসার আহমেদ পলাশ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মোতালেব হাওলাদার।

১৯৬৯ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শ্রমিক লীগ প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০৮ সালের গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুসারে শ্রমিক লীগকে ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের মর্যাদা দেয় আওয়ামী লীগ।