ঢাকা , বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
কানাডার প্রভিন্সিয়াল পার্লামেন্ট ইলেকশন ডলি’র হ্যাটট্রিক জয় ১৭ বছর পর দেশে প্রত্যাবর্তন লন্ডন বিএনপি নেতা শরফুকে শ্রীমঙ্গলে গণ সংবর্ধনা ইতালির মানতোভা শহরে দুইদিনব্যাপী দূতাবাস সেবা অনুষ্ঠিত ,প্রায় আট শতাধিক প্রবাসীরা এই ক্যাম্প থেকে দূতাবাস সেবা গ্রহণ করেন ইতালিতে এমপি প্রার্থী প্রফেসর ডা: সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম কে চাঁদপুরবাসীর সংবর্ধনা দেশে ফিরছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্হায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল হান্নানের মৃত্যুতে দোয়া অনুষ্ঠিত কুলাউড়া বিএনপির ১৩ ইউনিয়ন কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা, সমন্বয়কদের দায়িত্ব বন্টন কুলাউড়ায় রাজাপুরে বালু উত্তোলন বন্ধ ও সেতু রক্ষায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত উৎসবমুখর পরিবেশে ইতালির তরিনোতে সিলেট বিভাগ ঐক্য পরিষদের নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ছাত্রশিবিরের নববর্ষ প্রকাশনা উৎসব

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সময়সীমা আরও বাড়ল

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০২:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ জুন ২০২১
  • / ৬৫৪ টাইম ভিউ

চলমান লকডাউনের মেয়াদ ১৬ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়িয়ে রোববার (৬ জুন) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ফলে ১৩ জুন খুলছে না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কবে খুলবে এ নিয়ে আবারও দেখা দিয়েছে অনিশ্চিয়তা।
কোভিডের কারণে এক বছরের বেশি সময় ধরে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবিতে বিভিন্ন জায়গায় নানা কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষার্থীরা।
এই প্রেক্ষাপটে গত ২৬ মে ডা. দীপু মনি বলেছিলেন, করোনা পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে ১৩ জুন থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। আর বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়টি নির্ভর করছে শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার ওপর।
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বিধিনিষেধ বাড়ার কারণে ঘোষিত সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হচ্ছে না। পরবর্তীকালে আলোচনা করে সময় জানানো হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার জন্য করোনা সংক্রমণ ৫ শতাংশের নিচে নামা জরুরি। কিন্তু রোববার সরকার চলমান লকডাউন আগামী ১৬ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এ অবস্থায় সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বসে স্কুল-কলেজ খোলার বিষয়ে পুনরায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, করোনার কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। এরপর দফায় দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানো হয়েছে। দীর্ঘ ছুটির কারণে প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থী মারাত্মক সমস্যায় পড়েছে।
চলতি বছর করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ঢিলেঢালা লকডাউন হলেও সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ায় ১৪ এপ্রিল থেকে ‘কঠোর লকডাউন’ ঘোষণা করে সরকার। পরে সিটি করপোরেশন এলাকায় গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়। তবে দূরপাল্লার বাস, লঞ্চ এবং ট্রেন চলাচল ঈদ পর্যন্ত বন্ধ ছিল। পরে ২৪ মে থেকে গণপরিবহন চলার অনুমতি দেওয়া হয়। এরপর ৩১ মে পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানো হয় এবং পরে ৬ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত আরও এক সপ্তাহের লকডাউন বাড়ানো হয়। বেশ কিছুদিন ধরে দেশে করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী এবং মৃত্যু বেড়ে যাওয়ায় এবার আরেক দফা বিধিনিষেধ বাড়ল।

পোস্ট শেয়ার করুন

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সময়সীমা আরও বাড়ল

আপডেটের সময় : ০২:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ জুন ২০২১

চলমান লকডাউনের মেয়াদ ১৬ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়িয়ে রোববার (৬ জুন) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ফলে ১৩ জুন খুলছে না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কবে খুলবে এ নিয়ে আবারও দেখা দিয়েছে অনিশ্চিয়তা।
কোভিডের কারণে এক বছরের বেশি সময় ধরে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবিতে বিভিন্ন জায়গায় নানা কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষার্থীরা।
এই প্রেক্ষাপটে গত ২৬ মে ডা. দীপু মনি বলেছিলেন, করোনা পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে ১৩ জুন থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। আর বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়টি নির্ভর করছে শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার ওপর।
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বিধিনিষেধ বাড়ার কারণে ঘোষিত সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হচ্ছে না। পরবর্তীকালে আলোচনা করে সময় জানানো হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার জন্য করোনা সংক্রমণ ৫ শতাংশের নিচে নামা জরুরি। কিন্তু রোববার সরকার চলমান লকডাউন আগামী ১৬ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এ অবস্থায় সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বসে স্কুল-কলেজ খোলার বিষয়ে পুনরায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, করোনার কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। এরপর দফায় দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানো হয়েছে। দীর্ঘ ছুটির কারণে প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থী মারাত্মক সমস্যায় পড়েছে।
চলতি বছর করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ঢিলেঢালা লকডাউন হলেও সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ায় ১৪ এপ্রিল থেকে ‘কঠোর লকডাউন’ ঘোষণা করে সরকার। পরে সিটি করপোরেশন এলাকায় গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়। তবে দূরপাল্লার বাস, লঞ্চ এবং ট্রেন চলাচল ঈদ পর্যন্ত বন্ধ ছিল। পরে ২৪ মে থেকে গণপরিবহন চলার অনুমতি দেওয়া হয়। এরপর ৩১ মে পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানো হয় এবং পরে ৬ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত আরও এক সপ্তাহের লকডাউন বাড়ানো হয়। বেশ কিছুদিন ধরে দেশে করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী এবং মৃত্যু বেড়ে যাওয়ায় এবার আরেক দফা বিধিনিষেধ বাড়ল।