ঢাকা , শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ২৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
কানাডার প্রভিন্সিয়াল পার্লামেন্ট ইলেকশন ডলি’র হ্যাটট্রিক জয় ১৭ বছর পর দেশে প্রত্যাবর্তন লন্ডন বিএনপি নেতা শরফুকে শ্রীমঙ্গলে গণ সংবর্ধনা ইতালির মানতোভা শহরে দুইদিনব্যাপী দূতাবাস সেবা অনুষ্ঠিত ,প্রায় আট শতাধিক প্রবাসীরা এই ক্যাম্প থেকে দূতাবাস সেবা গ্রহণ করেন ইতালিতে এমপি প্রার্থী প্রফেসর ডা: সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম কে চাঁদপুরবাসীর সংবর্ধনা দেশে ফিরছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্হায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল হান্নানের মৃত্যুতে দোয়া অনুষ্ঠিত কুলাউড়া বিএনপির ১৩ ইউনিয়ন কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা, সমন্বয়কদের দায়িত্ব বন্টন কুলাউড়ায় রাজাপুরে বালু উত্তোলন বন্ধ ও সেতু রক্ষায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত উৎসবমুখর পরিবেশে ইতালির তরিনোতে সিলেট বিভাগ ঐক্য পরিষদের নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ছাত্রশিবিরের নববর্ষ প্রকাশনা উৎসব

শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে উপজেলা ভিত্তিক

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেটের সময় : ০৯:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ মার্চ ২০১৯
  • / ১১৫৯ টাইম ভিউ

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের সংশোধিত বিধিমালায় প্রাথমিক শিক্ষকদের গ্রেড পরিবর্তন করে সহকারী শিক্ষকদের ১২তম গ্রেডেআর প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেডে বেতন প্রদানের কথা বলা হয়েছেন। বিধিমালায় বিদ্যালয়ে ‘সহকারী প্রধান শিক্ষক’ নামে নতুন পদ সৃষ্টির প্রস্তাব করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত প্রস্তাবিত বিধিমালা রোববার রাষ্ট্রপতি অনুমোদন করেছেন। শিগগিরই তা গেজেট আকারে প্রকাশ করতে যাচ্ছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

|আরো খবর সূত্র জানায়, নতুন বিধিমালা কার্যকর হলে শিক্ষক নিয়োগ আগের মতোই উপজেলা বা থানাভিত্তিক হবে। তবে কেন্দ্রীয়ভাবে গঠিত সহকারি শিক্ষক নির্বাচন কমিটির সুপারিশ ছাড়া কোনো ব্যক্তিকে সহকারি শিক্ষক পদে সরাসরি নিয়োগ দেয়া যাবে না। বাংলাদেশের স্থায়ী বাসিন্দা না হলে কাউকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পদে নিয়োগ দেয়া যাবে না। এমন ব্যক্তিকে বিবাহ করেছেন অথবা বিবাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যিনি বাংলাদেশের নাগরিক নন, এমন ব্যক্তিকেও শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া যাবে না।

সবচেয়ে বড় পরিবর্তন আসছে নারীদের শিক্ষাগত যোগ্যতায়। নতুন নিয়মের অধীনে প্রাথমিকে শিক্ষক পদে আবেদনে নারীদেরও কমপক্ষে স্নাতক পাস হতে হবে। উল্লেখ্য বর্তমান নিয়মে এইচএসসি পাসেই শিক্ষক পদে আবেদন করতে পারেন নারীরা।

সরাসরি প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে এত দিন স্নাতক পাস হলেই আবেদন করা যেত। নতুন বিধিমালার খসড়ায় এই শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতকোত্তর প্রস্তাব করা হয়েছে। এত দিন প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ছিল ২৫-৩৫ বছর। কিন্তু এখন এই পদটি দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত হওয়ায় সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) নীতিমালার সঙ্গে সংগতি রেখে বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে ২১-৩০ বছর।

তথ্যমতে, আগে সহকারি শিক্ষকদের মধ্য থেকে ৬৫ শতাংশ পদোন্নতির মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক হওয়ার বিধান ছিলো। সেটি পরিবর্তন করে সরাসরি পদোন্নতির ক্ষেত্রে ৮০ শতাংশ, বাকি ২০ শতাংশ পদোন্নতি পিএসসি’র মাধ্যমে দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।

বর্তমানে যেকোনো বিষয়ে পাস করা প্রার্থীর সমান সুযোগ রয়েছে। কিন্তু এতে মানবিক বিভাগ থেকে আসা শিক্ষকরা গণিত ও বিজ্ঞানের মতো বিষয়গুলো সহজে আত্মস্থ করতে পারেন না। এ কারণে নতুন বিধিমালায় সহকারি শিক্ষক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে মোট পদের শতকরা ২০ ভাগ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের মধ্য থেকে নেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া ক্লাস্টার বা উপজেলাভিত্তিক আর্ট ও সংগীত শিক্ষক রাখার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

সংশোধিত বিধিমালার খসড়ায় আরো বলা হয়েছে, ১৩তম থেকে ১৬তম বেতন গ্রেডের কোনো পদে থাকা শিক্ষককে দশম থেকে দ্বাদশ বেতন গ্রেডের কোনো পদে পদোন্নতির সুপারিশ করা যাবে। আর দশম থেকে দ্বাদশ গ্রেডে থাকা শিক্ষক নবম বা তদূর্ধ্ব গ্রেডের কোনো পদে পদোন্নতির সুপারিশ পেতে পারেন। তবে, উভয় ক্ষেত্রেই পিএসসির সুপারিশ প্রয়োজন হবে। ২০১৩ সালের নিয়োগ বিধিমালায় এসব শর্ত নেই। বর্তমানে কোনো ব্যক্তির শিক্ষক পদে যোগদান করার তিন বছরের মধ্যে প্রশিক্ষণ বা উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের বাধ্যবাধকতা থাকলেও নতুন বিধিতে তা থাকছে না।

পোস্ট শেয়ার করুন

শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে উপজেলা ভিত্তিক

আপডেটের সময় : ০৯:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ মার্চ ২০১৯

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের সংশোধিত বিধিমালায় প্রাথমিক শিক্ষকদের গ্রেড পরিবর্তন করে সহকারী শিক্ষকদের ১২তম গ্রেডেআর প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেডে বেতন প্রদানের কথা বলা হয়েছেন। বিধিমালায় বিদ্যালয়ে ‘সহকারী প্রধান শিক্ষক’ নামে নতুন পদ সৃষ্টির প্রস্তাব করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত প্রস্তাবিত বিধিমালা রোববার রাষ্ট্রপতি অনুমোদন করেছেন। শিগগিরই তা গেজেট আকারে প্রকাশ করতে যাচ্ছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

|আরো খবর সূত্র জানায়, নতুন বিধিমালা কার্যকর হলে শিক্ষক নিয়োগ আগের মতোই উপজেলা বা থানাভিত্তিক হবে। তবে কেন্দ্রীয়ভাবে গঠিত সহকারি শিক্ষক নির্বাচন কমিটির সুপারিশ ছাড়া কোনো ব্যক্তিকে সহকারি শিক্ষক পদে সরাসরি নিয়োগ দেয়া যাবে না। বাংলাদেশের স্থায়ী বাসিন্দা না হলে কাউকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পদে নিয়োগ দেয়া যাবে না। এমন ব্যক্তিকে বিবাহ করেছেন অথবা বিবাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যিনি বাংলাদেশের নাগরিক নন, এমন ব্যক্তিকেও শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া যাবে না।

সবচেয়ে বড় পরিবর্তন আসছে নারীদের শিক্ষাগত যোগ্যতায়। নতুন নিয়মের অধীনে প্রাথমিকে শিক্ষক পদে আবেদনে নারীদেরও কমপক্ষে স্নাতক পাস হতে হবে। উল্লেখ্য বর্তমান নিয়মে এইচএসসি পাসেই শিক্ষক পদে আবেদন করতে পারেন নারীরা।

সরাসরি প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে এত দিন স্নাতক পাস হলেই আবেদন করা যেত। নতুন বিধিমালার খসড়ায় এই শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতকোত্তর প্রস্তাব করা হয়েছে। এত দিন প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ছিল ২৫-৩৫ বছর। কিন্তু এখন এই পদটি দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত হওয়ায় সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) নীতিমালার সঙ্গে সংগতি রেখে বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে ২১-৩০ বছর।

তথ্যমতে, আগে সহকারি শিক্ষকদের মধ্য থেকে ৬৫ শতাংশ পদোন্নতির মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক হওয়ার বিধান ছিলো। সেটি পরিবর্তন করে সরাসরি পদোন্নতির ক্ষেত্রে ৮০ শতাংশ, বাকি ২০ শতাংশ পদোন্নতি পিএসসি’র মাধ্যমে দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।

বর্তমানে যেকোনো বিষয়ে পাস করা প্রার্থীর সমান সুযোগ রয়েছে। কিন্তু এতে মানবিক বিভাগ থেকে আসা শিক্ষকরা গণিত ও বিজ্ঞানের মতো বিষয়গুলো সহজে আত্মস্থ করতে পারেন না। এ কারণে নতুন বিধিমালায় সহকারি শিক্ষক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে মোট পদের শতকরা ২০ ভাগ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের মধ্য থেকে নেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া ক্লাস্টার বা উপজেলাভিত্তিক আর্ট ও সংগীত শিক্ষক রাখার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

সংশোধিত বিধিমালার খসড়ায় আরো বলা হয়েছে, ১৩তম থেকে ১৬তম বেতন গ্রেডের কোনো পদে থাকা শিক্ষককে দশম থেকে দ্বাদশ বেতন গ্রেডের কোনো পদে পদোন্নতির সুপারিশ করা যাবে। আর দশম থেকে দ্বাদশ গ্রেডে থাকা শিক্ষক নবম বা তদূর্ধ্ব গ্রেডের কোনো পদে পদোন্নতির সুপারিশ পেতে পারেন। তবে, উভয় ক্ষেত্রেই পিএসসির সুপারিশ প্রয়োজন হবে। ২০১৩ সালের নিয়োগ বিধিমালায় এসব শর্ত নেই। বর্তমানে কোনো ব্যক্তির শিক্ষক পদে যোগদান করার তিন বছরের মধ্যে প্রশিক্ষণ বা উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের বাধ্যবাধকতা থাকলেও নতুন বিধিতে তা থাকছে না।