ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

শবে-বরাতে সেই অসহায় দেবশিশুদের পাশে দাঁড়ালেন ওসি

চৌধুরী আবু সাঈদ ফুয়াদ:
  • আপডেটের সময় : ০৩:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ এপ্রিল ২০১৯
  • / ২১২৮ টাইম ভিউ

চৌধুরী আবু সাঈদ ফুয়াদ: শবে-বরাতের কয়েকঘন্টা বাকি। কড়া রোদ ঠেলে ক্ষয়িষ্ণু গ্রাম সেই কুলাউড়া উপজেলার গুতগুতি এলাকায় সেমাই, রুটি, জুস, বিস্কিটসহ শুকনো খাবার আর নগদ অর্থ নিয়ে ছুটে গেলেন কুলাউড়া থানার ওসি ইয়ারদুস হাসান। সঙ্গে ছিলেন এস.আই নূর হোসেনসহ অন্যান্যরা। পুলিশ দেখেই ছুটে এলো পিতাহারা নাজিম, নিজাম, নাজমুল, নিশি। পরম মমতায় তাদেরকে জড়িয়ে ধরলেন ইয়ারদুস হাসান। আর সেই অসহায় দেবশিশুরা ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকলো। তাদের চোখের জলের বিমর্ষ রেখা ভেদ করে আশ্রয় আর স্মিত হাসি ছড়িয়ে পড়তে শুরু করলো। মাত্র কদিন আগে শিশুরা তাদের বাবাকে হারিয়েছে। নির্মমভাবে খুন হয়েছেন তাদের পিতা। খাঁ খাঁ করছে ঘর দোর, বাড়ির চৌপাশ। ওখানে পাখির ডাক বন্ধ হয়ে গেছে। আস-পাশের বুনো ফুল ফুটো হয়ে ঝরে যাচ্ছে। ছুটি নিয়েছে সকল আনন্দ। সন্ধ্যা নামলেই বাবার হাত ধরে শবে-বরাতে আজ আর মসজিদে যাওয়া হবে না। বাবার কিনে দেয়া মোমবাতি, আগর আর গোলাপপাশে ভরা গোলাপজল আজ আর হাতে উঠবে না। এমনি এক উৎকণ্ঠা আর চোখের লোনা জলে দুঃখে ভরা সময়ে হাজির হলেন পুলিশ প্রশাসনের লোকজন। শিশুদের মুখে একটু একটু আনন্দ ফিরে এলো। ওসি ইয়ারদুস হাসান তাদেরকে সান্তনা দিয়ে বললেন বাবা হত্যার সঠিক বিচার হবে। কোন কার্পণ্য হবে না। এসময় তিনি তাদের অসহায় মা ও শিশুদের হাতে কুলাউড়া পুলিশ প্রশাসনের বেতনের অংশ থেকে কিছু নগদ অর্থ ও শুকনো খাবার তুলে দেন। এব্যাপারে ওসি ইয়ারদুস হাসান বলেন, পবিত্র শবে-বরাত উপলক্ষে শিশুদের জন্য খাবার ও নগদ সামান্য অর্থ নিয়ে এসে তাদের খোঁজ খবর নিয়েছি।
উল্লেখ্য, কুলাউড়ার গুতগুতি গ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষে নাজিম, নিজাম, নাজমুল ও নিশির পিতা দিলু মিয়া নির্মমভাবে খুন হন। খুন হওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার ওসি ইয়ারদুস হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে দিলুর সন্তানদের বুকে আগলে ধরে সান্তনা দেন এবং সঠিক বিচারের আশ্বাস প্রদান করেন। আবারও শবে-বরাত উপলক্ষে তিনি আজ ২১ এপ্রিল তাদের বাড়িতে ছুটে যান শুকনো খাবার ও নগদ অর্থ নিয়ে।#

পোস্ট শেয়ার করুন

শবে-বরাতে সেই অসহায় দেবশিশুদের পাশে দাঁড়ালেন ওসি

আপডেটের সময় : ০৩:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ এপ্রিল ২০১৯

চৌধুরী আবু সাঈদ ফুয়াদ: শবে-বরাতের কয়েকঘন্টা বাকি। কড়া রোদ ঠেলে ক্ষয়িষ্ণু গ্রাম সেই কুলাউড়া উপজেলার গুতগুতি এলাকায় সেমাই, রুটি, জুস, বিস্কিটসহ শুকনো খাবার আর নগদ অর্থ নিয়ে ছুটে গেলেন কুলাউড়া থানার ওসি ইয়ারদুস হাসান। সঙ্গে ছিলেন এস.আই নূর হোসেনসহ অন্যান্যরা। পুলিশ দেখেই ছুটে এলো পিতাহারা নাজিম, নিজাম, নাজমুল, নিশি। পরম মমতায় তাদেরকে জড়িয়ে ধরলেন ইয়ারদুস হাসান। আর সেই অসহায় দেবশিশুরা ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকলো। তাদের চোখের জলের বিমর্ষ রেখা ভেদ করে আশ্রয় আর স্মিত হাসি ছড়িয়ে পড়তে শুরু করলো। মাত্র কদিন আগে শিশুরা তাদের বাবাকে হারিয়েছে। নির্মমভাবে খুন হয়েছেন তাদের পিতা। খাঁ খাঁ করছে ঘর দোর, বাড়ির চৌপাশ। ওখানে পাখির ডাক বন্ধ হয়ে গেছে। আস-পাশের বুনো ফুল ফুটো হয়ে ঝরে যাচ্ছে। ছুটি নিয়েছে সকল আনন্দ। সন্ধ্যা নামলেই বাবার হাত ধরে শবে-বরাতে আজ আর মসজিদে যাওয়া হবে না। বাবার কিনে দেয়া মোমবাতি, আগর আর গোলাপপাশে ভরা গোলাপজল আজ আর হাতে উঠবে না। এমনি এক উৎকণ্ঠা আর চোখের লোনা জলে দুঃখে ভরা সময়ে হাজির হলেন পুলিশ প্রশাসনের লোকজন। শিশুদের মুখে একটু একটু আনন্দ ফিরে এলো। ওসি ইয়ারদুস হাসান তাদেরকে সান্তনা দিয়ে বললেন বাবা হত্যার সঠিক বিচার হবে। কোন কার্পণ্য হবে না। এসময় তিনি তাদের অসহায় মা ও শিশুদের হাতে কুলাউড়া পুলিশ প্রশাসনের বেতনের অংশ থেকে কিছু নগদ অর্থ ও শুকনো খাবার তুলে দেন। এব্যাপারে ওসি ইয়ারদুস হাসান বলেন, পবিত্র শবে-বরাত উপলক্ষে শিশুদের জন্য খাবার ও নগদ সামান্য অর্থ নিয়ে এসে তাদের খোঁজ খবর নিয়েছি।
উল্লেখ্য, কুলাউড়ার গুতগুতি গ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষে নাজিম, নিজাম, নাজমুল ও নিশির পিতা দিলু মিয়া নির্মমভাবে খুন হন। খুন হওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার ওসি ইয়ারদুস হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে দিলুর সন্তানদের বুকে আগলে ধরে সান্তনা দেন এবং সঠিক বিচারের আশ্বাস প্রদান করেন। আবারও শবে-বরাত উপলক্ষে তিনি আজ ২১ এপ্রিল তাদের বাড়িতে ছুটে যান শুকনো খাবার ও নগদ অর্থ নিয়ে।#