লিজেন্ড অব দ্য লুম প্রদর্শনী শুরু
- আপডেটের সময় : ০১:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অগাস্ট ২০১৭
- / ১৭০৪ টাইম ভিউ
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে গত ৩০ জুলাই আয়োজিত হয় দৃক-বেঙ্গল মসলিন প্রকল্প প্রযোজিত এবং টিনাইনএফএক্স পরিচালিত প্রামাণ্য তথ্যচিত্র ‘লিজেন্ড অব দ্য লুম’ (তাঁতের কিংবদন্তি)-এর উদ্বোধনী প্রদর্শনী।
এ আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী এবং ‘মসলিন :আওয়ার স্টোরি’র লেখক ও দৃকের প্রধান নির্বাহী সাইফুল ইসলাম। তথ্যচিত্র প্রদর্শন শেষে আগত দর্শক ও সাংবাদিকদের জন্য একটি প্রশ্নোত্তর পর্ব রাখা হয়।
অনুষ্ঠানে সকলকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী বলেন, ‘মসলিন আমাদের শুধু ঐতিহ্য নয়, আমাদের অনুপ্রেরণা। আগামী প্রজন্মের হাত ধরে মসলিনের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।’
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘মসলিনের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার জন্য সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। গবেষণার মাধ্যমে এর কাঁচামাল উৎপান এবং মসলিন তৈরির জন্য যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদান করে তাঁতিদের তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি যথার্থ মূল্য নির্ধারণ করে বাজারজাতের ব্যবস্থা করতে হবে। তবেই মসলিন পুনরুদ্ধার সম্ভব হবে।’ ‘লিজেন্ড অব দ্য লুম’ তথ্যচিত্রের নির্মাতা দৃকের প্রধান নির্বাহী সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘মসলিনের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভের জন্য এই ডকুমেন্টারি বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্বাস করি।’ ‘লিজেন্ড অব দ্য লুম’ প্রিমিয়ার শোতে দেশে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
দৃক বেঙ্গল মসলিন প্রকল্পের ব্যানারে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর ও আড়ংয়ের সহযোগিতায় ২০১৬-এর ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে আয়োজিত হয়েছিল ‘মসলিন উত্সব’। এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী গ্যালারিতে আয়োজিত হয়েছিল মাসব্যাপী প্রদর্শনী, দিনব্যাপী মসলিনের ইতিহাস-বৃত্তান্ত বিষয়ক সেমিনার, আহসান মঞ্জিলে ‘মসলিন নাইট’, ‘মসলিন :আওয়ার স্টোরি’ শিরোনামে বই প্রকাশনা, ‘মসলিনের দেশে’ শিরোনামে শিশু-কিশোরদের জন্য বাংলা ও ইংরেজি কমিক বই প্রকাশনা।
‘লিজেন্ড অব দ্য লুম’-এর উদ্বোধনী প্রদর্শনী এই প্রকল্পেরই একটি ধারাবাহিক আয়োজন। ৪৩ মিনিট দৈর্ঘ্যের ইংরেজি ভাষায় নির্মিত তথ্যচিত্রটির গবেষণায় ছিলেন সাইফুল ইসলাম, প্রযোজনা করেছে দৃক বেঙ্গল মসলিন, পরিচালনায় ছিল টিনাইনএফএক্স এবং ধারাবর্ণনা দিয়েছেন মিতা রহমান। ২০০০ বছরের ইতিহাস, বাংলাদেশের নদীর তীর, যেখানে কার্পাস তুলার চাষ হয়, সেখান থেকে বিশ্বের সবচেয়ে নামী কাপড়ের উত্পাদন প্রক্রিয়া; বিশ্ব ফ্যাশন এবং বাণিজ্যে এর প্রভাব এবং এর বর্তমান অবস্থা—এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাওয়া যাবে এই তথ্যচিত্রে।
তথ্যচিত্রটি পর্যায়ক্রমে ঢাকার আরও বেশ কয়েকটি ভেন্যুতে প্রদর্শিত হবে এবং শীঘ্রই এর একটি বাংলার সংস্করণও প্রদর্শনের পরিকল্পনা রয়েছে। প্রতিটি প্রদর্শনীই সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।