ঢাকা , শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

লাফিয়ে বাড়ছে গো-খাদ্যের দাম, বিপাকে খামারিরা

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০১:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অক্টোবর ২০২১
  • / ৩৪২ টাইম ভিউ

ভুসি, খৈল, চিটাগুড়সহ সব ধরণের গো-খাদ্যের দাম লাফিয়ে বাড়ছে রংপুরে। গত একমাসে ২৫ কেজির এক বস্তা ফিডের দাম বেড়ে গেছে দুইশ টাকা পর্যন্ত।
লাফিয়ে বাড়ছে গো-খাদ্যের দাম, বিপাকে খামারিরা
রতন সরকার

করোনাকালের সংকট কাটিয়ে উঠতে না উঠতে খাদ্যের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন খামারিরা। অনেকে গরু বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। ডেইরি সমিতির অভিযোগ, অন্যতম গো-খাদ্য সয়াবিনের অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ না হওয়া সত্ত্বেও ভারতে রপ্তানি করার প্রভাব পড়েছে।

ফিড ও আনুসাঙ্গিক পশুখাদ্য দিতে না পেরে গরুকে খড় খাওয়াতে হচ্ছে বলে জানালেন খামারিদের অনেকে। তাদের অভিযোগ দুধের দাম না বাড়লেও ২৫ কেজির বস্তাপ্রতি ফিডের দাম এক মাসে দুইশ টাকা বেড়েছে। সরিষা ও তিলের খৈল, চালের খুদ, চিটাগুড়ের দামও প্রতি কেজিতে ২ থেকে ৮ টাকা বেড়েছে।

খামারিরা অভিযোগ করে বলেন, খড়ের দাম বেশি, ঘাসের দাম বেশি। দিন গেলেই প্রতিবস্তায় ৫০ টাকা করে বাড়ছে ভুসির দাম। কিন্তু গরুকে তো খাওয়াতে হবে। এই প্রাণীগুলোকে তো না খাইয়ে রাখা সম্ভব নয়। তাই বাধ্য হয়ে শুধু খড় খাওয়া হচ্ছে। এভাবে গো-খাদ্যের দাম বাড়লে আমাদের পক্ষে খামার পরিচালনা করা সম্ভব নয়।

ডেইরি সমিতির অভিযোগ, অন্যতম পশুখাদ্য সয়াবিনের রপ্তানির কারণেই এই সংকট।

মৌলভীবাজারের ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দরা বলেন, গো-খাদ্যের তৈরির অন্যতম উপাদান সোয়াবিন দানা। কিন্তু সেই সোয়াবিন এখন ভারতসহ অন্যান্য দেশে রপ্তানি হচ্ছে। এতে করে গো-খাদ্য উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। আর সেই সুযোগ নিয়ে গো-খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ধাপে ধাপে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে করে বিপাকে পড়েছেন খামারিরা।

যেখানে আমাদের দেশেই সোয়াবিনের সংকট সেখানে এই পণ্যটি কীভাবে বাইরে রপ্তানি হচ্ছে এটা আমার বোধগম্য নয়।

পোস্ট শেয়ার করুন

লাফিয়ে বাড়ছে গো-খাদ্যের দাম, বিপাকে খামারিরা

আপডেটের সময় : ০১:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অক্টোবর ২০২১

ভুসি, খৈল, চিটাগুড়সহ সব ধরণের গো-খাদ্যের দাম লাফিয়ে বাড়ছে রংপুরে। গত একমাসে ২৫ কেজির এক বস্তা ফিডের দাম বেড়ে গেছে দুইশ টাকা পর্যন্ত।
লাফিয়ে বাড়ছে গো-খাদ্যের দাম, বিপাকে খামারিরা
রতন সরকার

করোনাকালের সংকট কাটিয়ে উঠতে না উঠতে খাদ্যের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন খামারিরা। অনেকে গরু বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। ডেইরি সমিতির অভিযোগ, অন্যতম গো-খাদ্য সয়াবিনের অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ না হওয়া সত্ত্বেও ভারতে রপ্তানি করার প্রভাব পড়েছে।

ফিড ও আনুসাঙ্গিক পশুখাদ্য দিতে না পেরে গরুকে খড় খাওয়াতে হচ্ছে বলে জানালেন খামারিদের অনেকে। তাদের অভিযোগ দুধের দাম না বাড়লেও ২৫ কেজির বস্তাপ্রতি ফিডের দাম এক মাসে দুইশ টাকা বেড়েছে। সরিষা ও তিলের খৈল, চালের খুদ, চিটাগুড়ের দামও প্রতি কেজিতে ২ থেকে ৮ টাকা বেড়েছে।

খামারিরা অভিযোগ করে বলেন, খড়ের দাম বেশি, ঘাসের দাম বেশি। দিন গেলেই প্রতিবস্তায় ৫০ টাকা করে বাড়ছে ভুসির দাম। কিন্তু গরুকে তো খাওয়াতে হবে। এই প্রাণীগুলোকে তো না খাইয়ে রাখা সম্ভব নয়। তাই বাধ্য হয়ে শুধু খড় খাওয়া হচ্ছে। এভাবে গো-খাদ্যের দাম বাড়লে আমাদের পক্ষে খামার পরিচালনা করা সম্ভব নয়।

ডেইরি সমিতির অভিযোগ, অন্যতম পশুখাদ্য সয়াবিনের রপ্তানির কারণেই এই সংকট।

মৌলভীবাজারের ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দরা বলেন, গো-খাদ্যের তৈরির অন্যতম উপাদান সোয়াবিন দানা। কিন্তু সেই সোয়াবিন এখন ভারতসহ অন্যান্য দেশে রপ্তানি হচ্ছে। এতে করে গো-খাদ্য উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। আর সেই সুযোগ নিয়ে গো-খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ধাপে ধাপে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে করে বিপাকে পড়েছেন খামারিরা।

যেখানে আমাদের দেশেই সোয়াবিনের সংকট সেখানে এই পণ্যটি কীভাবে বাইরে রপ্তানি হচ্ছে এটা আমার বোধগম্য নয়।