ঢাকা , রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়াই ভালো সমাধান: মার্কিন কূটনীতিক

দেশদিগন্ত :
  • আপডেটের সময় : ০৭:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ নভেম্বর ২০১৭
  • / ১২২৪ টাইম ভিউ

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ মিয়ানমারকেই নিতে হবে যুক্তরাষ্ট্র

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ মিয়ানমারকেই নিতে হবে এবং এটাই সংকটের সর্বোত্তম সমাধান।বললেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসনবিষয়ক ভারপ্রাপ্ত সহকারী মন্ত্রী সাইমন হেনশ।শনিবার রাজধানীর গুলশানে আমেরিকান ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

সিমন হেনশ বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের দায়-দায়িত্ব মিয়ানমার সরকারের। প্রক্রিয়া শুরুর দায় তাদের। মানুষগুলো যেন স্বেচ্ছায় ফিরতে পারে সেজন্য নিরাপদ ও সুরক্ষিত এলাকা দেওয়ার বিষয়টি তাদেরকেই নিশ্চিত করতে হবে।তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে নেপিদোর ওপর চাপ অব্যাহত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। মিয়ানমার এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নিচ্ছে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।তিনি বলেন, রাখাইনের এই সমস্যা একটি জটিল ও মারাত্মক পরিস্থিতি তৈরি করেছে। দুই মাসে ছয় লাখ মানুষ বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন। বাংলাদেশ এই মানুষগুলোকে আশ্রয় দিয়েছে।তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি দেখতে  পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন নির্দেশ দিয়েছেন। সে অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি দেখতে আমরা এখানে এসেছি। সামগ্রিকভাবে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র।সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র হিথার নওয়ার্ট ও ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট উপস্থিত ছিলেন।বাংলাদেশ সফর শেষে মার্কিন প্রতিনিধিদলটি মিয়ানমার সফর করবে। দেশটির কর্তৃপক্ষের কাছে তারা রাখাইনে শর্তহীনভাবে ত্রাণ সংস্থা ও সংবাদকর্মীদের প্রবেশের অনুমতি চাইবে। এছাড়া বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের সসম্মানে ও নিরাপদে রাখাইনে প্রত্যাবাসন-প্রক্রিয়া নিয়ে মিয়ানমারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলবেন তারা।গত ২৪ আগস্ট রাতে রাখাইনে পুলিশ ফাঁড়ি ও তল্লাশি চৌকিতে অজ্ঞাত বিদ্রোহীদের হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যসহ অর্ধশতাধিক মানুষ নিহত হন। এ হামলার জন্য মিয়ানমার সরকার সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের দায়ী করে তাদের ওপর নির্বিচারে দমন-পীড়ন শুরু করে। যা এক পর্যায়ে ‘গণহত্যায়’ রূপ নেয়। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনে শিকার হয়ে এবং নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে গত দুই মাসে ৬ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা সেখান থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে ঠাঁই নিয়েছে।

পোস্ট শেয়ার করুন

রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়াই ভালো সমাধান: মার্কিন কূটনীতিক

আপডেটের সময় : ০৭:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ নভেম্বর ২০১৭

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ মিয়ানমারকেই নিতে হবে এবং এটাই সংকটের সর্বোত্তম সমাধান।বললেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসনবিষয়ক ভারপ্রাপ্ত সহকারী মন্ত্রী সাইমন হেনশ।শনিবার রাজধানীর গুলশানে আমেরিকান ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

সিমন হেনশ বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের দায়-দায়িত্ব মিয়ানমার সরকারের। প্রক্রিয়া শুরুর দায় তাদের। মানুষগুলো যেন স্বেচ্ছায় ফিরতে পারে সেজন্য নিরাপদ ও সুরক্ষিত এলাকা দেওয়ার বিষয়টি তাদেরকেই নিশ্চিত করতে হবে।তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে নেপিদোর ওপর চাপ অব্যাহত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। মিয়ানমার এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নিচ্ছে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।তিনি বলেন, রাখাইনের এই সমস্যা একটি জটিল ও মারাত্মক পরিস্থিতি তৈরি করেছে। দুই মাসে ছয় লাখ মানুষ বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন। বাংলাদেশ এই মানুষগুলোকে আশ্রয় দিয়েছে।তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি দেখতে  পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন নির্দেশ দিয়েছেন। সে অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি দেখতে আমরা এখানে এসেছি। সামগ্রিকভাবে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র।সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র হিথার নওয়ার্ট ও ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট উপস্থিত ছিলেন।বাংলাদেশ সফর শেষে মার্কিন প্রতিনিধিদলটি মিয়ানমার সফর করবে। দেশটির কর্তৃপক্ষের কাছে তারা রাখাইনে শর্তহীনভাবে ত্রাণ সংস্থা ও সংবাদকর্মীদের প্রবেশের অনুমতি চাইবে। এছাড়া বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের সসম্মানে ও নিরাপদে রাখাইনে প্রত্যাবাসন-প্রক্রিয়া নিয়ে মিয়ানমারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলবেন তারা।গত ২৪ আগস্ট রাতে রাখাইনে পুলিশ ফাঁড়ি ও তল্লাশি চৌকিতে অজ্ঞাত বিদ্রোহীদের হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যসহ অর্ধশতাধিক মানুষ নিহত হন। এ হামলার জন্য মিয়ানমার সরকার সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের দায়ী করে তাদের ওপর নির্বিচারে দমন-পীড়ন শুরু করে। যা এক পর্যায়ে ‘গণহত্যায়’ রূপ নেয়। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনে শিকার হয়ে এবং নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে গত দুই মাসে ৬ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা সেখান থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে ঠাঁই নিয়েছে।