ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
পর্তুগালে বেজা আওয়ামীলীগের কর্মি সভা পর্তুগাল এ ফ্রেন্ডশিপ ক্রিকেট ক্লাবের জার্সি উন্মোচন লিসবনে আত্মপ্রকাশ হয় সামাজিক সংগঠন “গোলাপগঞ্জ কমিউনিটি কেয়ারর্স পর্তুগাল “ উচ্ছ্বাস আর আনন্দে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখের উদযাপন করেছে পর্তুগাল যথাযথ গাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে পরিবেশে মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর পালন করেছে ভেনিস প্রবাসীরা ভেনিসে বৃহত্তর সিলেট সমিতির আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত এক অসুস্থ প্রজন্ম কে সাথি করে এগুচ্ছি আমরা রিডানডেন্ট ক্লোথিং আর মজুর মামার ‘বিশ্বকাপ’ ইউরোপের সবচেয়ে বড় ঈদুল ফিতরের নামাজ পর্তুগালে অনুষ্ঠিত হয় বর্ণাঢ্য আয়োজনে পর্তুগাল বাংলা প্রেসক্লাবের ইফতার ও দোয়া মাহফিল সম্পন্ন

যুক্তরাজ্যে স্বজনদের দেখতে গিয়ে করোনায় মৃত্যু

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০৮:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জুলাই ২০২০
  • / ২৩৫ টাইম ভিউ

ছেলে, পুত্রবধূ আর নাতি-নাতনিদের দেখতে সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে বেড়াতে যান মুহিবুর রহমান (৮০) ও তাঁর স্ত্রী সামছুন্নেছা (৭০)। সেখানে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা অবস্থায় সামছুন্নেছা অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে নমুনা পরীক্ষায় তাঁর শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া যায়। শুক্রবার (১০ জুলাই) ভোরে স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
তাদের বাড়ি মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার পূর্ব জুড়ী ইউনিয়নের টালিয়াউরা গ্রামে। আগে থেকেই তাঁদের ছোট ছেলে দেলোয়ার হোসেন তাঁর স্ত্রী-সন্তান নিয়ে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন।
দেলোয়ার বলেন, গত ২৮ জুন তাঁর মা-বাবা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি সরাসরি ফ্লাইটে লন্ডনে পৌঁছান। দুজন হোম কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। এর দুই দিন পর তাঁর মায়ের জ্বর আসে। স্থানীয় একটি হাসপাতালে পরীক্ষার পর তাঁর করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।
দেলোয়ার জানান, তাঁর মা শ্বাসকষ্টসহ আরও কিছু শারীরিক সমস্যায় দীর্ঘদিন ধরে ভুগছিলেন। হাসপাতালে তাঁকে ভর্তির পর শুক্রবার স্থানীয় সময় ভোর পাঁচটার দিকে মারা যান।
দেলোয়ার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, তাঁদের তিন সন্তান। সন্তানেরা দাদা-দাদিকে কাছে পেয়ে খুশিতে আত্মহারা হয়ে ওঠে। তাঁর মায়েরও ইচ্ছা ছিল নাতি-নাতনিদের কোলে নিয়ে আদর করার। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। শেষ পর্যন্ত তিনি মারাই গেলেন।
দেলোয়ার আরও জানান, লাশ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। জানাজা শেষে সেখানের একটি গোরস্থানে লাশ দাফন করা হবে।

পোস্ট শেয়ার করুন

যুক্তরাজ্যে স্বজনদের দেখতে গিয়ে করোনায় মৃত্যু

আপডেটের সময় : ০৮:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জুলাই ২০২০

ছেলে, পুত্রবধূ আর নাতি-নাতনিদের দেখতে সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে বেড়াতে যান মুহিবুর রহমান (৮০) ও তাঁর স্ত্রী সামছুন্নেছা (৭০)। সেখানে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা অবস্থায় সামছুন্নেছা অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে নমুনা পরীক্ষায় তাঁর শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া যায়। শুক্রবার (১০ জুলাই) ভোরে স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
তাদের বাড়ি মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার পূর্ব জুড়ী ইউনিয়নের টালিয়াউরা গ্রামে। আগে থেকেই তাঁদের ছোট ছেলে দেলোয়ার হোসেন তাঁর স্ত্রী-সন্তান নিয়ে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন।
দেলোয়ার বলেন, গত ২৮ জুন তাঁর মা-বাবা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি সরাসরি ফ্লাইটে লন্ডনে পৌঁছান। দুজন হোম কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। এর দুই দিন পর তাঁর মায়ের জ্বর আসে। স্থানীয় একটি হাসপাতালে পরীক্ষার পর তাঁর করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।
দেলোয়ার জানান, তাঁর মা শ্বাসকষ্টসহ আরও কিছু শারীরিক সমস্যায় দীর্ঘদিন ধরে ভুগছিলেন। হাসপাতালে তাঁকে ভর্তির পর শুক্রবার স্থানীয় সময় ভোর পাঁচটার দিকে মারা যান।
দেলোয়ার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, তাঁদের তিন সন্তান। সন্তানেরা দাদা-দাদিকে কাছে পেয়ে খুশিতে আত্মহারা হয়ে ওঠে। তাঁর মায়েরও ইচ্ছা ছিল নাতি-নাতনিদের কোলে নিয়ে আদর করার। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। শেষ পর্যন্ত তিনি মারাই গেলেন।
দেলোয়ার আরও জানান, লাশ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। জানাজা শেষে সেখানের একটি গোরস্থানে লাশ দাফন করা হবে।