মৌলভীবাজার-শমসেরনগর সড়কে কাজের অনিয়মের অভিযোগ
- আপডেটের সময় : ০৩:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২০
- / ৮১১ টাইম ভিউ
মৌলভীবাজার থেকে শমসেরনগর সড়কের উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনে গিয়ে হাতেনাতে অনিয়ম ধরলেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন। এসময় রাস্তার কাজে নানা অনিয়ম দেখে সেই দূর্নীতিবাজ কুলাউড়ার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এম আর ট্রেডিংয়ের ঠিকাদার মুহিবুর রহমান কোকিলের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
(০৮ জানুয়ারি) বুধবার দুপুরে হঠাৎ করে তিনি সরেজমিন মৌলভীবাজার-শমসেরনগর সড়কের কাজ পরিদর্শনে যান। পরিদর্শনকালে স্থানীয় জনসাধারণ নানা অভিযোগ তুলে ধরেন সংসদ সদস্যের কাছে। ওই অভিযোগের সত্যতাও পান হাতেনাতে। এসময় বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিকদের কোন প্রশ্নেরই সঠিক উত্তর দিতে পারেননি মৌলভীবাজার সওজের সহকারি প্রকৌশলী। পরিদর্শনকালে ওই কাজের ঠিকাদার মুহিবুর রহমান কোকিলকে এমপি একাদিকবার ফোন দিলেও তিনি তাতে কোন সাড়া দেননি।
শমসেরনগর এলাকার সোহেল আহমদ,আলাউদ্দিন খাঁন,জয়নাল আবেদীন,ও রুমেল খাঁন অভিযোগ করে বলেন, পুরাতন পাথর কিভাবে নতুন কাজে দেয়া হয়। কারণ নতুন বাজেট তো পুরাতন পাথরই থাকার কথা না। এটা আমাদের বিবেকে প্রশ্ন জাগে। এই রাস্তা দিয়ে যতবার যওয়া আসা করছি সবসময় দেখি পুরাতন পাথর দিয়ে কাজ চলছে।
পরিদর্শনকালে এলাকার মানুষ অভিযোগ করেন- পুরনো পাথর ও নি¤œমানের ইট দিয়ে রাস্তায় কাজ করা হচ্ছে। ওই সময় রাস্তার পার্শ্বের ইট তুলে দেখা যায় এগুলো খুবই নিম্নমানের।
এ প্রসঙ্গে মৌলভীবাজার এলজিইডির প্রকৌশলী আজিম উদ্দিন সরদার রাত সাড়ে ৮ টায় মুঠোফোনে জানান, সংসদ সদস্য মহোদয়ের ফোন তাৎক্ষনিক রিসিভ করা উচিৎ ছিলো ওই ঠিকাদারের। আমি ঠিকাদার কোকিলকে ফোন দিয়ে বিষয়টি অবগত করছি। রাস্তার কাজের অনিয়মের যে বিষয়টি এসেছে তা খতিয়ে দেখা হবে।
এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার-হবিগঞ্জ সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন সরেজমিন পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদেরবলেন, এখানে যিনি নির্বাহী প্রকৌশলী আছেন, তাকে ফোন দিলে তিনি নানা টালবাহানা দেখান। আর ওই ঠিকাদার তো ফোনই ধরেন না। আমি ঢাকায় গিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব। এরকম অনিয়ম চলতে দেয়া যায় না। আমি বহু প্রচেষ্টা চালিয়ে কাজটি পাস করেছি। এখন সেই কাজে অনিয়ম হবে তা কখনো মেনে নেয়া হবে না।
উল্লেখ্য, এর আগে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এম আর ট্রেডিংয়ের মালিক মুহিবুর রহমান কোকিল ১০ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ব্যয় পুশাইনগর বাজার থেকে ভূকশিমইল পর্যন্ত আট কিলোমিটার রাস্তা,৭ কোটি টাকা ব্যয় কমলগঞ্জ-মুন্সিবাজার সড়ক,১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা ব্যয় বিয়ানীবাজার-চান্দপুর সড়ক, প্রায় ৪২ কোটি টাকা ব্যয় মৌলভীবাজার-কুলাউড়া-চাতলাপুর সড়ক,এছাড়াও কুলাউড়া-ভূকশিমইল সড়ক,কুলাউড়া-চান্দগ্রাম ভায়া বড়লেখা সিঅ্যান্ডবি সড়কের কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায়। যা সাম্প্রতি সিলেট বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শেখ মোঃ মহসিন সরেজমিন পুশাইনগর বাজার থেকে ভূকশিমইল রাস্তা পরিদর্শন করে যান। এছাড়াও তাঁর কাজের নানা অনিয়মের খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসেছিলো।