ঢাকা , শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
পর্তুগালে মানবিক সেচ্ছাসেবী সংগঠন “সদিচ্ছা ফাউন্ডেশন” এর লোগো সম্বলিত টি শার্ট উন্মোচন যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে

মোসাদ্দেক হোসেনের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে প্রথম জয় বাংলাদেশের

স্পোর্টস ডেস্ক:
  • আপডেটের সময় : ০৮:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ডিসেম্বর ২০১৮
  • / ১৪০১ টাইম ভিউ

স্পোর্টস ডেস্ক: ইমার্জিং এশিয়া কাপ ক্রিকেটে ঠিকে থাকার লড়াইয়ে হংকং জাতীয় ক্রিকেট দলের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ২৩ ক্রিকেট দল। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ দল। মিডল অর্ডারে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ২৮৬ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে হংকং থামে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫৮ রানে। বাংলাদেশের জয় ২৮ রানের ব্যবধানে। প্রথম ম্যাচে আরব আমিরাতের বিপক্ষে হারের পর লড়াইয়ে ঠিকে থাকার জন্য এই জয়টি গুরুত্বপূর্ণ ছিল বাংলাদেশের জন্য।

২৮৭ রানের লক্ষ্য ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৩৮ রান যোগ করে ব্যক্তিগত ১৫ রানে ফিরে যান আইজাজ। আফিফের হোসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে খালেদের প্রথম ও বাংলাদেশের প্রথম শিকারে পরিণত হন আইজাজ। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে সমান ৩৮ রান যোগ করে ফিরেন কাপুর। ব্যক্তিগত সংগ্রহ ছিল ১৫ রান তাকে সাজঘরে ফেরান শরিফুল ইসলাম।

উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান নিজাখাত বাবর হায়াৎ’কে নিয়ে তৃতীয় উইকেট জুটিতে যোগ করেন ১০১ রান। এই জুটিতে বেশ অস্বস্তিতে ছিল বাংলাদেশ দল। ভয়ঙ্কর হয়ে উঠা এই ব্যাটসম্যান নাঈম হাসানের শিকারে পরিণত হন ব্যক্তিগত ৯২ রানে। তাঁর বিদায়ের পরে রান আউটের ফাঁদে পড়েন ওয়াকাস ২ রানে। সরাসরি থ্রুতে তানভীর ইসলাম তাকে সাজঘরে ফেরান।

১৭৭ রান ৩ উইকেট হারানোর পর ১৮৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে হংকং। সবশেষ আঘাত হানেন মোসাদ্দেক হোসেন। এই সেঞ্চুরিয়ান তুলে নেন শাহিদ ওয়াসিফয়ের উইকেট। নিজের দ্বিতীয় ওভারে শাহিদ ওয়াসিফয়ের উইকেটের পর তৃতীয় ওভারে তুলেন আফজালের উইকেট। আর এতেই জয়ের পথে নিশ্চিত হাঁটে বাংলাদেশ দল। সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে খালেদের শিকার হন বাবর হায়াৎ ব্যক্তিগত ৯১ রানে।

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে মিজানুর রহমান ফিরে যান দ্রুত ব্যক্তিগত ৮ রানে। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে শান্তকে নিয়ে ৮০ রানের জুটি গড়েন জাকির হাসান। দলীয় ৮৯ রানে এহসান খাঁনের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরেন শান্ত ব্যক্তিগত ৩৬ রানে।

তৃতীয় উইকেটে মোসাদ্দেক ও জাকির হাসান জুটি জমে উঠার আগেই ফিরে যান জাকির হাসান। ব্যক্তিগত ৪৯ রানে ফিরেন এই ব্যাটসম্যান। ৪ বাউন্ডারিতে ৬৩ বলে সাজানো ছিল তাঁর ইনিংস । চতুর্থ উইকেটে ইয়াসির আলী চৌধুরি ও মোসাদ্দেক হোসেন বাংলাদেশ দলকে বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে নিয়ে যান। তাঁদের ৯০ রানের জুটি ভাঙে ইয়াসিরের বিদায়ে দলীয় ১৮৯ রানে। ইয়াসির ফিরে যান ব্যক্তিগত ৪৫ রানে।

ইয়াসির ফিরে যাওয়ার পর প্রথমে অর্ধশতক এবং পরে শতক তুলে নেন মোসাদ্দেক। ৫৫ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ১ ওভার বাউন্ডারিতে অর্ধশতক তুলে নেন মোসাদ্দেক। পরে আরো ৫০ রান তুলতে মোসাদ্দেক মোকাবিলা করেন ৪৫ বল। এই সময়ে ৩টি বাউন্ডারি ও ২টি ওভার বাউন্ডারি হাঁকান মোসাদ্দেক। ঠিক ১০০ রানে এহসানের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন মোসাদ্দেক। লোয়াল অর্ডারে আফিফ ২০ ও সোহান ১৭ রান সংগ্রহ করেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ২৩: ২৮৬/৮ (৫০ ওভার)।
মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ১০০ , জাকির হাসান ৪৯, ইয়াসির আলী চৌধুরি ৪৫।
আইজাজ ৬২/৩ এবং এহসান ৪৮/২।

হংকং জাতীয় দল: ২৫৮/৭ (৫০ ওভার)।
নিজাখাত ৯২, বাবর ৯১।
মোসাদ্দেক ২৩/২, খালেদ ৬৯/২।

পোস্ট শেয়ার করুন

মোসাদ্দেক হোসেনের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে প্রথম জয় বাংলাদেশের

আপডেটের সময় : ০৮:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ডিসেম্বর ২০১৮

স্পোর্টস ডেস্ক: ইমার্জিং এশিয়া কাপ ক্রিকেটে ঠিকে থাকার লড়াইয়ে হংকং জাতীয় ক্রিকেট দলের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ২৩ ক্রিকেট দল। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ দল। মিডল অর্ডারে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ২৮৬ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে হংকং থামে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫৮ রানে। বাংলাদেশের জয় ২৮ রানের ব্যবধানে। প্রথম ম্যাচে আরব আমিরাতের বিপক্ষে হারের পর লড়াইয়ে ঠিকে থাকার জন্য এই জয়টি গুরুত্বপূর্ণ ছিল বাংলাদেশের জন্য।

২৮৭ রানের লক্ষ্য ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৩৮ রান যোগ করে ব্যক্তিগত ১৫ রানে ফিরে যান আইজাজ। আফিফের হোসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে খালেদের প্রথম ও বাংলাদেশের প্রথম শিকারে পরিণত হন আইজাজ। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে সমান ৩৮ রান যোগ করে ফিরেন কাপুর। ব্যক্তিগত সংগ্রহ ছিল ১৫ রান তাকে সাজঘরে ফেরান শরিফুল ইসলাম।

উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান নিজাখাত বাবর হায়াৎ’কে নিয়ে তৃতীয় উইকেট জুটিতে যোগ করেন ১০১ রান। এই জুটিতে বেশ অস্বস্তিতে ছিল বাংলাদেশ দল। ভয়ঙ্কর হয়ে উঠা এই ব্যাটসম্যান নাঈম হাসানের শিকারে পরিণত হন ব্যক্তিগত ৯২ রানে। তাঁর বিদায়ের পরে রান আউটের ফাঁদে পড়েন ওয়াকাস ২ রানে। সরাসরি থ্রুতে তানভীর ইসলাম তাকে সাজঘরে ফেরান।

১৭৭ রান ৩ উইকেট হারানোর পর ১৮৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে হংকং। সবশেষ আঘাত হানেন মোসাদ্দেক হোসেন। এই সেঞ্চুরিয়ান তুলে নেন শাহিদ ওয়াসিফয়ের উইকেট। নিজের দ্বিতীয় ওভারে শাহিদ ওয়াসিফয়ের উইকেটের পর তৃতীয় ওভারে তুলেন আফজালের উইকেট। আর এতেই জয়ের পথে নিশ্চিত হাঁটে বাংলাদেশ দল। সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে খালেদের শিকার হন বাবর হায়াৎ ব্যক্তিগত ৯১ রানে।

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে মিজানুর রহমান ফিরে যান দ্রুত ব্যক্তিগত ৮ রানে। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে শান্তকে নিয়ে ৮০ রানের জুটি গড়েন জাকির হাসান। দলীয় ৮৯ রানে এহসান খাঁনের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরেন শান্ত ব্যক্তিগত ৩৬ রানে।

তৃতীয় উইকেটে মোসাদ্দেক ও জাকির হাসান জুটি জমে উঠার আগেই ফিরে যান জাকির হাসান। ব্যক্তিগত ৪৯ রানে ফিরেন এই ব্যাটসম্যান। ৪ বাউন্ডারিতে ৬৩ বলে সাজানো ছিল তাঁর ইনিংস । চতুর্থ উইকেটে ইয়াসির আলী চৌধুরি ও মোসাদ্দেক হোসেন বাংলাদেশ দলকে বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে নিয়ে যান। তাঁদের ৯০ রানের জুটি ভাঙে ইয়াসিরের বিদায়ে দলীয় ১৮৯ রানে। ইয়াসির ফিরে যান ব্যক্তিগত ৪৫ রানে।

ইয়াসির ফিরে যাওয়ার পর প্রথমে অর্ধশতক এবং পরে শতক তুলে নেন মোসাদ্দেক। ৫৫ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ১ ওভার বাউন্ডারিতে অর্ধশতক তুলে নেন মোসাদ্দেক। পরে আরো ৫০ রান তুলতে মোসাদ্দেক মোকাবিলা করেন ৪৫ বল। এই সময়ে ৩টি বাউন্ডারি ও ২টি ওভার বাউন্ডারি হাঁকান মোসাদ্দেক। ঠিক ১০০ রানে এহসানের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন মোসাদ্দেক। লোয়াল অর্ডারে আফিফ ২০ ও সোহান ১৭ রান সংগ্রহ করেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ২৩: ২৮৬/৮ (৫০ ওভার)।
মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ১০০ , জাকির হাসান ৪৯, ইয়াসির আলী চৌধুরি ৪৫।
আইজাজ ৬২/৩ এবং এহসান ৪৮/২।

হংকং জাতীয় দল: ২৫৮/৭ (৫০ ওভার)।
নিজাখাত ৯২, বাবর ৯১।
মোসাদ্দেক ২৩/২, খালেদ ৬৯/২।