মিয়ানমার থেকে একদিনে ১১০০ টন পেঁয়াজ আমদানি
- আপডেটের সময় : ০৭:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০১৯
- / ৪২৯ টাইম ভিউ
মিয়ানমার থেকে টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি আগের চেয়ে বেড়েছে। ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ার পর থেকে প্রতিবেশি দেশ মিয়ানমার থেকে এদেশের ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ আমদানি বাড়িয়ে দিয়েছেন। তবে মিয়ানমার থেকে রেকর্ড পেঁয়াজ আমদানি হলেও পেঁয়াজের বাজারে এখনো দাম কমেনি।
অভিযোগ রয়েছে, ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত মুনাফার আশায় বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন।
টেকনাফ স্থল বন্দর শুল্ক কর্মকর্তা মো. আবছার উদ্দিন বলেন, মিয়ানমার থেকে সোমবার টেকনাফ স্থলবন্দরে এক দিনে ১ হাজার ১০৩ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। তবে এখনো বন্দরে এক হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ খালাসের অপেক্ষায় ট্রলারগুলো নোঙর করে আছে বলেও জানা যায়। তাছাড়া মিয়ানমার থেকে আরো কয়েক’শ মেট্রিকটন পেঁয়াজ ভর্তি একাধিক ট্রলার স্থলবন্দরের পথে রওনা দিয়েছে বলে জানা যায়।
জানা যায়, মিয়ানমার থেকে আমদানিকরা পেঁয়াজগুলো টেকনাফ স্থল বন্দরে খালাস হওয়ার পর ট্রাকভর্তি করে সেগুলো চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের আড়তে নিয়ে যায় ব্যবসায়ীরা। সেখান থেকে একাধিক হাত বদল হয়ে পেঁয়াজ সরবরাহ হচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। তবে অভিযোগ রয়েছে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে পেঁয়াজ গুদামজাতকরণ করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে পেঁয়াজের বাজার অস্তিতিশীল করার চেষ্টা করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা।
বন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারকরা দাবি করেন, মিয়ানমারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছেন। বাড়তি দামে পেঁয়াজ আমদানি করতে হচ্ছে। তাই দাম স্বাভাবিকভাবে আগের তুলনায় একটু বেড়েছে। তবে পেঁয়াজের দাম কমাতে তারা নিজেরাও সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন বলে জানিয়েছেন।
টেকনাফ স্থলবন্দর কতৃপক্ষ ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্টের ব্যবস্থাপক মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী বলেন, এখনো আগের মতো
মিয়ানমার থেকে বেশি পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি করছেন আমদানিকারকরা। আমরা আমদানিকৃত পেঁয়াজ দ্রুততম সময়ে খালাসে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকি।