মখলিছুর রহমান ডিগ্রী কলেজকে এমপিও ভুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও সভা
- আপডেটের সময় : ০৯:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ অগাস্ট ২০১৯
- / ৪৩৬ টাইম ভিউ
দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ আলহাজ্ব মোঃ মখলিছুর রহমান ডিগ্রী কলেজকে এম.পি.ও ভুক্ত করার দাবিতে মানববন্ধন,পথসভা করেছে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকরা।
বুধবার ৭ আগষ্ট সকালে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে এমপিও ভুক্তির দাবিতে নানা প্লেকার্ড হাতে নিয়ে মানববন্ধন ও পথসভায় অংশ নেন শিক্ষার্থী সহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নওশের আলী খোকন, সমাজসেবী মু. ইমাদ উদ দীন, এম মুহিবুর রহমান মুহিব, কলেজের প্রভাষক আব্দুলাহ আল ফারুক,এখলাছুর রহমান, নিরুপম দে, অর্ধেন্দু বিকাশ দে, কাকলী ভট্টাচার্য্য,অভিভাবক মো: এরশাদ আলী, আব্দুস শুকুর, কলেজ শিক্ষার্থী নিবাস দাস, স্বার্ণা দেব, জুলিয়া বেগম প্রমুখ।
স্মারক লিপিতে উল্লেখ করেন, ২০১০ সালে আলহাজ্ব মোঃ মখলিছুর রহমান কলেজের যাত্রা শুরু হয়। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে কলেজটি। মফস্বলের বাতিঘর। গ্রামীণ জনপদের কলেজটি এখন এ নামেই পরিচিত। প্রতিবছরই ভালো ফলাফলের জন্য এখন জেলা জুড়ে কলেজটির সুনাম আর সুখ্যাতি। প্রত্যন্ত অঞ্চলের ওই সকল দরিদ্র শিক্ষার্থীরা তাদের এলাকায় কোনো কলেজ না থাকায় প্রতিবছরই উচ্চ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হত। আর্থিক সঙ্গতি না থাকায় তারা শহরে এসে উচ্চ শিক্ষা নিতে পারতেন না। এদের কথা ভেবে নিজ এলাকায় নিজস্ব অর্থায়নে সাবেক ব্রিটিশ কাউন্সিলর একাধিকবারের সিআইপি যুক্তরাজ্যে বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা, জনদরদি,শিক্ষানুরাগী এম.এ.রহিম সি.আই.পি ২০১০ সালে ইউসুফনগর (রাতগাঁও) শমসেরগঞ্জ এলাকায় তাঁর মরহুম পিতার নামে প্রতিষ্ঠা করেন আলহাজ্ব মো: মখলিছুর রহমান ডিগ্রি কলেজ।
এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হওয়াতে উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের সুযোগ হয় ওই এলাকাসহ আশপাশ এলাকার হতদরিদ্র পরিবারে শিক্ষার্থীদের। ২০১০ সাল থেকে উৎসব মুখর পরিবেশে চলে পাঠদান কার্যক্রম। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে কলেজটি জেলা তথা সিলেট বিভাগের মধ্যে একটি অন্যতম ভালো ফলাফলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে ছড়িয়ে পড়া খ্যাতি ও ঐতিহ্য ধরে রাখতে সক্ষম হচ্ছে। তাদের এমন (৯০ শতাংশের উপরে ফলাফলে) অভিভূত এ জেলার অভিভাবক ও সচেতন সমাজ। প্রতিষ্ঠার পর থেকে কলেজটি তার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ঠ নিয়ে এগিয়ে চলছে। শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে বিনা বেতন পড়ালেখার সু-ব্যবস্থা। রয়েছেন অভিজ্ঞ শিক্ষক মন্ডলী। যাতায়াতের জন্য দু’টি ফ্রি কলেজ বাস। শিক্ষার্থীদের ফ্রি চিকিৎসা ও আনুষাঙ্গি নানা সুযোগ সুবিধা। সু-প্রশস্ত কম্পিউটার ল্যাব,বিশাল ক্যাম্পাস,পরিচ্ছন্ন ক্লাস রুম আর খেলাধুলার সু-ব্যবস্থা। রাজনীতিমুক্ত ও ধুমপানমুক্ত নির্মল পরিবেশে চমৎকার ক্যাম্পাস শুরু থেকেই দৃষ্টি কাড়ছে সবার। এম.এ রহিম সি.আই.পি ও তাঁর ভাই মোঃ মুজিবুর রহমান মুজিব দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে কলেজটিকে এ পর্যন্ত নিয়ে এসেছেন।
বর্তমানে কলেজের শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ৬ শতাধিক। আর শিক্ষক সংখ্যা ২৫ জন। বক্তারা বলেন সার্বিক দিক বিবেচনায় বর্তমান শিক্ষাবান্ধব এ সরকার শিক্ষাকে একটি গণমূখী ব্যবস্থা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সরকারি করণ করেছেন। প্রত্যন্ত অঞ্চলের এই কলেজকে চলতি ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে এমপিও ভুক্ত করে শিক্ষা বিস্তারের এই চলমান ধারা অব্যাহত রাখার জোর দাবি জানান।
পরে মানববন্ধন ও পথসভা শেষে বিক্ষোভ মিছিল সহকারে জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিনের কাছে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি দেন কলেজের শিক্ষক,শিক্ষার্থী,অভিভাবক ও গর্ভণিং বডির সদস্যরা।