ভুয়া বিয়ের নিমন্ত্রণে কানাডায় যাওয়ার পথে আটক ৪২ বাংলাদেশি
- আপডেটের সময় : ০৭:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ নভেম্বর ২০২৩
- / ৪৩২ টাইম ভিউ
ভুয়া বিয়ের নিমন্ত্রণে কানাডায় যাওয়ার পথে আটক ৪২ বাংলাদেশি
কানাডার টরেন্টোতে বিয়ে খেতে গেলেও শেষপর্যন্ত বিয়েতে যেতে পারেন নি ৪২ বাংলাদেশি। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাসপোর্ট চেকিং ইউনিটের কর্মকর্তাদের হাতে ধরা পড়ে তাদের কানাডার স্বপ্ন ভেস্তে গেছে। কারণ, ওই ব্যক্তিরা কানাডার ভুয়া কাগজপত্র নিয়ে কানাডায় যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, ভুয়া কাগজপত্র নিয়ে অভিযুক্ত ব্যাক্তিরা গত ৬ নভেম্বর সিলেট থেকে ইমিগ্রেশন শেষ করে বিমানে ওঠেন। তাদের ৭ নভেম্বর ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ট্রানজিট শেষে টরন্টোগামী বিমানের বিজি ৩০৫ ফ্লাইটে ওঠার কথা ছিল। কিন্তু, কানাডায় হোটেল বুকিংসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে না পারায় তাদেরকে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেন কর্মকর্তারা।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, তারা সবাই একই আমন্ত্রণপত্র ও জাল কাগজপত্র দিয়ে কানাডার ভিসা নিয়েছিলেন। বিষয়টি নিয়ে সিলেট ও টরন্টোতে বাংলাদেশি সোসাইটিতে তোলপাড় চলছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলমান আছে বলে জানিয়েছে বিমান কর্তৃপক্ষ।
ঢাকার একাধিক সূত্রে জানা গেছে, টরন্টো ও সিলেটের একটি সিন্ডিকেট ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে ভিসা বের করে দেয়। সূত্র জানায়, এই সিন্ডিকেটের সদস্যরা কানাডা যেতে আগ্রহী সিলেটের শতাধিক ব্যক্তি ও পরিবারের সঙ্গে চুক্তি করে।
সূত্রটি আরো জানায়, সিন্ডিকেট তারা এই লোকদের নামে টরন্টোতে একটি কাল্পনিক বিয়ের আমন্ত্রণ পত্র তৈরি করে। একই সময়ে সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি জাল এবং আলাদাভাবে ভিসার জন্য আবেদন করেন।
যেভাবে কাজ করে চক্রটি
সূত্র জানায়, ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে ভিসা পাইয়ে দেয়া এই চক্রটি কাল্পনিক বিয়েতে কনের বাবা কিছু লোককে আমন্ত্রণ জানায়, কনের মা কয়েকজনকে আমন্ত্রণ জানায়, কনের ভাই এবং চাচা কয়েকজনকে আমন্ত্রণ জানায়। এমনকি নববধূ নিজেও কিছু লোককে বিয়েতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। এভাবেই তারা কাজ করে। যদিও, টরন্টোর একাধিক সূত্র বলছে, আমন্ত্রণ অনুযায়ী এমন কোনো বিয়ের অনুষ্ঠান নেই। জাল বিয়ের কার্ড ছাপা হয়েছে। মূলত চুক্তিতে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে তাদের কানাডায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
এদিকে, বিষয়টি চাউর হবার পর থেকে কানাডা এবং বাংলাদেশ দুই দেশেই তুমুল আলোচনা হচ্ছে। সচেতন মহল বলছেন, বিদেশগামী মানুষদের নিয়ে এখন নানা ধরনের ব্যবসার ফাঁদ পাতা আছে দেশে। এগুলোর বিষয়ে প্রশাসনের সরব হওয়া প্রয়োজন।
C