ভুমি সংক্রান্ত বিরোধের জের সন্ত্রাসী হামলায় কমলগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধাসহ আহত ৪
- আপডেটের সময় : ১০:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ অগাস্ট ২০১৯
- / ৩৭৮ টাইম ভিউ
কমলগঞ্জ সংবাদদাতা: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ভুমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের সীমান্তবর্তী ইসলামপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সোবহান (৬৫) সহ ৪ জনকে রক্তাক্ত জখম করেছে একই এলাকার ইসমাইল গংরা।
ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার (২৭ আগষ্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় ইসমাইল গংদের বাড়ির সামনে। হামলাকারীরা মুক্তিযোদ্ধাকে রক্তাক্ত করে বাড়ীর পুকুরে ফেলে দেয়। এ সময় হামলায় আব্দুল খালিক (৫০), বিলাল হোসেন (৩৫), আবু সুফিয়ান (২২) নামক আরো ৩ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় কমলগঞ্জ থানায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের পক্ষে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সোবহান বলেন- গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের পুত্র স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি ইসমাইল মিয়া গংরা মিলে দীর্ঘদিন যাবৎ আমাকে প্রাণে হত্যা করার পরিকল্পনা করছিল। বিষয়টি আমি বুঝতে পেরে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সহযোগীতা কামনা করি। নির্বাহী কর্মকর্তার মৌখিক নির্দেশে গত মঙ্গলবার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। এ সময় আমি পুলিশকে একাধিকবার আমি বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি জানালে পুলিশ আমাকে নির্ভয়ে বাড়ীতে যাওয়ার পরামর্শ প্রদান করে। আমি পুলিশের কথায় বিশ্বাস করে বাড়ীতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া মাত্র ইসমাইল মিয়া এর নেতৃত্বে রুহুল আমিন, আল-আমিন, রুস্তুম, মিজান, চেরাগ গংরা পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্রনিয়ে অতর্কিতভাবে আমাদের উপর হামলা চালানো হয়। এ সময় স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ আমাদেরকে উদ্ধার করে।
ঘটনার বিষয়ে ইসমাইল মিয়ার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
ইসলামপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান বলেন, স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি ইসমাইল মিয়া ও মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সোবহানের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত ভূমি ও জাতিগত বিরোধ চলে আসছে। এনিয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠকও হয়েছিল। গত মঙ্গলবারের হামলার বিষয়ে তিনি সত্যতা নিশ্চিত করলেও মুক্তিযোদ্ধা পুকুরের পানিতে ফেলে দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফুর রহমান ঘটনারর সত্যতা স্বীকার করে বলেন- তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ ভূমি নিয়ে বিরোধ চলছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি। তারপর ও পুলিশ ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে।