ব্যাঙ্গালোরে ফেসবুকের পোস্টকে কেন্দ্র করে সহিংসতা, নিহত ৩
- আপডেটের সময় : ০১:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ অগাস্ট ২০২০
- / ৩৬২ টাইম ভিউ
ফেসবুকের পোস্ট নিয়ে সহিংসতায় ভারতের ব্যাঙ্গালোরে পুলিশের গুলিতে কমপক্ষে ৩ জন নিহত হয়েছেন। এ খবর দিয়ে অনলাইন এনডিটিভি বলছে, ওই সহিংসতায় পুলিশের ৬০ সদস্য আহত হয়েছেন। কংগ্রেস দলীয় একজন এমএলএ’র এক আত্মীয় ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন। তা নিয়ে মঙ্গলবার রাতে শহরের পূর্বাংশে সহিংসতা শুরু হয়। তবে ওই পোস্টে কি বলা হয়েছে, তা জানা যায় নি। বহু গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। এমএলএ শ্রীনিবাস মূর্তির বাড়ির চারপাশ ঘিরে ফেলে তারা। কথিত ওই পোস্টটি ফেসবুকে দিয়েছিলেন শ্রীনিবাস মূর্তির ভাইপো নবীন।
সহিংসতা ভয়াবহ আকার ধারণ করলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি করে। এতে তিনজন নিহত হয়। পরে ১১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে নবীনকেও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে, কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে ও গুলি করে। ব্যাঙ্গালোর পুলিশ টুইটারে বলেছে, ডিজি হালি ও কেজি হালি পুলিশ স্টেশনে সহিংস হামলা হয়। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। গুলি করে। পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন পুলিশ কমিশনার। যারা অপরাধ করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সহিংসতার সময় ২৪টি ফোর-হুইলারে আগুন দেয়া হয়েছে। পুলিশ স্টেশনে রাখা ২০০ মোটর সাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। একটি পুলিশ স্টেশন খুব ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ব্যাঙ্গালোর পুলিশ কমিশনার কমল পান্ট বলেছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে। এ সময় সেখানে আহত হয়েছেন একজন সাংবাদিক। বুধবার সকালে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। বলেছেন, সহিংসতার নেপথ্যে যারা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কংগ্রেস দলের ওই এমএলএ জনগণকে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইও একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছেন। তাতে তিনি জনগণকে আইন নিজের হাতে তুলে না নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি অগ্নিসংযোগ ও লুটপাতের নিন্দা জানিয়েছেন ।