ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
স্বৈরাচার সরকার পতনের পর যুক্তরাজ্যে ফিরছেন সিলেট আওয়ামী লীগ নেতারা বিএনপি পর্তুগাল শাখার উদ্যোগে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত! বন্যার্ত মানুষের ত্রান তহবিলের জন্যে ৬ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা ঘোষণা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বেজা শাখার কর্মি সম্মেলন অনুষ্ঠিত বিমানের নতুন চেয়ারম্যান কুলাউড়ার আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও ২৪ কোটা আন্দোলনে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা দোয়া মাহফিল পর্তুগালে রাজনগর প্রবাসী ওয়েলফেয়ার সোসাইটির আত্মপ্রকাশ পর্তুগাল বিএনপি’র আয়োজনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্বরণে দোয়া ও মাহফিল সম্পন্ন বিমূর্ত সব মুর্হুতরা, আমার মা’য়ের সাথের শেষ শনিবার – শাহারুল কিবরিয়া বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে পর্তুগালে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশী প্রবাসীরা প্রিয়জনদের মানসিক রোগ যদি আপনজন বুঝতে না পারেন

বিমূর্ত সব মুর্হুতরা, আমার মা’য়ের সাথের শেষ শনিবার – শাহারুল কিবরিয়া

শাহারুল কিবরিয়া
  • আপডেটের সময় : ০৫:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুলাই ২০২৪
  • / ২৬১ টাইম ভিউ

বিমূর্ত সব মুহুর্তরা
আমার মায়ের সাথের শেষ শনিবার
– শাহারুল কিবরিয়া

আজ আমার আম্মাকে নিয়ে শেষ দিকের এক স্মৃতি লিখব বলে ঠিক করেছিলাম, অথচ হাতে মাথায় কিছুই আসছে না। দেশের অবস্থায় মহান আল্লাহর কাছে একটাই ফরিয়াদ জানাই আল্লাহ জালেমের হাত থেকে দেশকে আপনি রক্ষা করেন। ইসরাইলি বাহিনীর মত যে বাহিনী ও সন্ত্রাসীরা ব্যবহার করছে আল্লাহ তাদের নিশ্চয়ই আপনি হেদায়েত করুন।
আম্মা অধ্যাপক ফরিদা বেগম সেই ২০০৮ সাল থেকেই নানা অসুখে ভুগেছেন। মাঝে মাঝেই আমাদের উনাকে নিয়ে হাসপাতালে যেতে হত। বিগত কিছু বছরে সেটা বেড়ে গিয়েছিল অনেকটাই।  আম্মাকে নিয়ে যখনই আমাদের হাসপাতালে যেতে হত, আমি খুব বেশি একটা তাঁর সাথে খুবই বেশি একটা থাকতে পারতাম না। ব্যাংকের থেকে ২-৩ দিন ছুটি পাওয়া যেত ঠিকই তবে সেটা প্রলম্বিত করার উপায়ও ছিল না তেমন। তাই শুক্র আর শনিবার ছিল হাসপাতালে কাটানোর জন্য সেরা সময়।
শেষবার যখন ২০২২ সালের কোরবানির ঈদের কিছুদিন পর আম্মাকে হাসপাতালে নিলাম, সেই প্রথমবার আম্মা নিজে হাসপাতালে যেতে চাইলেন। অন্যান্য সময় আম্মাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলে তিনি রাজী হতেন না। আইসিইউ নাম শুনলে তো আর নয়ই। ২০২১ সালেই একবার কিছুটা অসুস্থ আম্মাকে জোরে আইসিইউ তে ঢুকানো হলেও ডাক্তার নার্সরা শত চেষ্টায়ও বেডে তুলতে পারেন নি। আম্মা না বলেছেন আর কোনভাবেই তাকে হ্যা বলানো যায় নি। অথচ সেই আম্মা নিজেই হাসপাতালে যেতে চাইলেন। আমাকে ডেকে বলেছিলেন গাড়ি বের করতে “আমি সহ্য করতে পারছি না ব্যথা” এই ছিল তাঁর কথা। সেদিন আমাদের ছোট মামা বাসায় ছিলেন, আমাদের ড্রাইভার ছুটিতে। মামার গাড়ি নিয়ে গেলাম হাসপাতালে। মাউন্ট এডোরা আখালিয়া ও নয়া সড়ক যায়গা না পেয়ে ওয়েসিস হাসপাতাল সোবহানিঘাট এ গেলাম। দক্ষিণ পূর্ব দিকের সেই রুম থেকে আর বাসায় ফেরা হয়নি আম্মার।
১৮ জুলাই দিবাগত রাত ২:৫০, হিসাব মতে ১৯ জুলাই তখন। আমি সেদিন রাতে কঠিন সময় পার করেছি, ডাক্তার লাইফ সাপোর্ট মেশিন খুলে নেয়ার ব্যাপারে কথা বললে সেখানেও তাদের সিদ্ধান্ত দিয়েছি। আমি ভুলে যেতে চাই সেই কঠিন দু’টো ঘন্টা। এই ঘটনার দুই দিন আগে, আম্মার সাথে শেষ শনিবারের ছুটির দিন কত ভালো সময় কাটিয়েছি সেটাই আমার মনে থাক।
শনিবারের সেই দিনটায় আমি বাসার সবাইকে জানালাম যে আমি সারাদিন থাকব হাসপাতালে,  বাসায় সবাই যাতে অন্তত একদিন রেস্ট নিতে পারেন এজন্য। গরমের দিনে এসি ছেড়ে দিয়ে আমিও কিছু রেস্ট নিচ্ছিলাম হাসপাতালে। সকাল থেকে কিছু সময় আম্মার সাথে কথা হলো। হাসপাতালে আম্মার সাথে একা থাকলে আম্মা প্রায়ই পুরনো দিনের গল্প করতেন। সেদিন আম্মাকে বলেছিলাম যে উনার মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সহপাঠী আলতাফ (নামের ভুলও হতে পারে) সাহেবকে নিয়ে একটা লিখা রেডি করতে চাই। আম্মা বলেছিলেন আবারও আমাকে বিস্তারিত বলবেন যা আর পরে হয়ে উঠে নি। জুন মাসেই মাউন্ট এডোরা নয়া সড়ক শাখায় উনি এই গল্প আমাকে বলেছিলেন কিন্তু মনযোগ দিয়ে না শোনায় অনেক কিছুই মনে ছিল না।  এরপর আম্মা কিছুটা ঘুমিয়ে নিলেন। আমি ফুডপান্ডায় ওর্ডার দিয়ে নিজের ও আম্মার জন্য কিছু খাবার আনিয়ে রাখলাম। একটু পরে ঘুম থেকে উঠলে আমরা দুজন মিলে অনেক কথা বলতে বলতে খাবার খেলাম। এর পরে পূর্ব দিকের জানালায় বসে আমি দেখছিলাম এক লোক নিচের খালে বসে মাছ ধরছে। মাছিমপুরে যে জায়গাটায় গরুর বাজার বসে ঈদের সময়, তার ঠিক পেছন দিকে সবজিবাজারের সাথে। আম্মাকে বললাম। অনেক কষ্ট হলেও উঠে এসে বসলেন সেই জানালার কাছে। পরবর্তী প্রায় ২ ঘন্টা আমরা অনেক আগ্রহ নিয়ে দেখলাম বড়শি দিয়ে মাছ ধরা। যে লোক আগে মাছ ধরতে এসেছিল, সে বেশ ভালোই ধরছিল। তাকে দেখে আরেক লোক এগিয়ে আসলো। সে ক্রমাগত জায়গা বদল করে মাছ ধরতে চেষ্টা করছিল কিন্তু পারছিল না, আর অন্য লোক তখনও বেশ ভালোই মাছ ধরছিল। আম্মা আর আমি বেশ মজা করলাম। একজন পারলেও অন্যজন কেন মাছ ধরতে পারছে না এ নিয়ে অনেক মজার কথা হলো। যখনি পরে আসা লোকটা জায়গা বদলাচ্ছিল, আমরা হো হো করে হেসে উঠছিলাম।বিকেলের দিকে আরও কিছু আত্মীয়স্বজন আর বাসা থেকে সবাই আসলে সবাই মিলেই মাছ ধরা দেখা হলো। আম্মাকে মনে হচ্ছিলো যে শারিরীকভাবে আরাম পাচ্ছেন কিছুটা। 
বিকেলে কি হলো, আজমাইন এসে আমার কোল থেকে নামছিলই না। এমনকি আমি মাগরিবের নামাজ পড়তে দাঁড়ালে তখনো সে নামছিল না।
আজমাইনকে কোলে নিয়েই নামাজ পড়লাম। অন্যরা তাতে বেশ কয়েকবার আজমাইনকে নামাতে চাইলেও আম্মা বেশ মজা পেয়েছিলেন। বারকয়েক আমাকে জিজ্ঞেস করলেন যে আমার পিঠের ব্যথার কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা। নামাজের সময়টা অনেকটা প্রাণ খুলেই হাসলেন আম্মা। সেদিটাই যে এমন আনন্দের শেষ দিন, তখনকি আর আমরা কেউ জানতাম?
আমি সেদিনের প্রতিটা মুহুর্তকে মনে করতে পারি। শেষ দিন আমার ব্যাংকের এক কর্মকর্তার অহেতুক তাড়ায় সকালে আম্মাকে দেখে যেতে পারলাম না, আর এসে জ্ঞান থাকা অবস্থায়ও পেলাম না। সেই শনিবারের উজ্জ্বল দুপুর আমার অন্যতম এক আনন্দের স্মৃতি হয়ে থাকবে আজীবন।

পোস্ট শেয়ার করুন

বিমূর্ত সব মুর্হুতরা, আমার মা’য়ের সাথের শেষ শনিবার – শাহারুল কিবরিয়া

আপডেটের সময় : ০৫:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুলাই ২০২৪

বিমূর্ত সব মুহুর্তরা
আমার মায়ের সাথের শেষ শনিবার
– শাহারুল কিবরিয়া

আজ আমার আম্মাকে নিয়ে শেষ দিকের এক স্মৃতি লিখব বলে ঠিক করেছিলাম, অথচ হাতে মাথায় কিছুই আসছে না। দেশের অবস্থায় মহান আল্লাহর কাছে একটাই ফরিয়াদ জানাই আল্লাহ জালেমের হাত থেকে দেশকে আপনি রক্ষা করেন। ইসরাইলি বাহিনীর মত যে বাহিনী ও সন্ত্রাসীরা ব্যবহার করছে আল্লাহ তাদের নিশ্চয়ই আপনি হেদায়েত করুন।
আম্মা অধ্যাপক ফরিদা বেগম সেই ২০০৮ সাল থেকেই নানা অসুখে ভুগেছেন। মাঝে মাঝেই আমাদের উনাকে নিয়ে হাসপাতালে যেতে হত। বিগত কিছু বছরে সেটা বেড়ে গিয়েছিল অনেকটাই।  আম্মাকে নিয়ে যখনই আমাদের হাসপাতালে যেতে হত, আমি খুব বেশি একটা তাঁর সাথে খুবই বেশি একটা থাকতে পারতাম না। ব্যাংকের থেকে ২-৩ দিন ছুটি পাওয়া যেত ঠিকই তবে সেটা প্রলম্বিত করার উপায়ও ছিল না তেমন। তাই শুক্র আর শনিবার ছিল হাসপাতালে কাটানোর জন্য সেরা সময়।
শেষবার যখন ২০২২ সালের কোরবানির ঈদের কিছুদিন পর আম্মাকে হাসপাতালে নিলাম, সেই প্রথমবার আম্মা নিজে হাসপাতালে যেতে চাইলেন। অন্যান্য সময় আম্মাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলে তিনি রাজী হতেন না। আইসিইউ নাম শুনলে তো আর নয়ই। ২০২১ সালেই একবার কিছুটা অসুস্থ আম্মাকে জোরে আইসিইউ তে ঢুকানো হলেও ডাক্তার নার্সরা শত চেষ্টায়ও বেডে তুলতে পারেন নি। আম্মা না বলেছেন আর কোনভাবেই তাকে হ্যা বলানো যায় নি। অথচ সেই আম্মা নিজেই হাসপাতালে যেতে চাইলেন। আমাকে ডেকে বলেছিলেন গাড়ি বের করতে “আমি সহ্য করতে পারছি না ব্যথা” এই ছিল তাঁর কথা। সেদিন আমাদের ছোট মামা বাসায় ছিলেন, আমাদের ড্রাইভার ছুটিতে। মামার গাড়ি নিয়ে গেলাম হাসপাতালে। মাউন্ট এডোরা আখালিয়া ও নয়া সড়ক যায়গা না পেয়ে ওয়েসিস হাসপাতাল সোবহানিঘাট এ গেলাম। দক্ষিণ পূর্ব দিকের সেই রুম থেকে আর বাসায় ফেরা হয়নি আম্মার।
১৮ জুলাই দিবাগত রাত ২:৫০, হিসাব মতে ১৯ জুলাই তখন। আমি সেদিন রাতে কঠিন সময় পার করেছি, ডাক্তার লাইফ সাপোর্ট মেশিন খুলে নেয়ার ব্যাপারে কথা বললে সেখানেও তাদের সিদ্ধান্ত দিয়েছি। আমি ভুলে যেতে চাই সেই কঠিন দু’টো ঘন্টা। এই ঘটনার দুই দিন আগে, আম্মার সাথে শেষ শনিবারের ছুটির দিন কত ভালো সময় কাটিয়েছি সেটাই আমার মনে থাক।
শনিবারের সেই দিনটায় আমি বাসার সবাইকে জানালাম যে আমি সারাদিন থাকব হাসপাতালে,  বাসায় সবাই যাতে অন্তত একদিন রেস্ট নিতে পারেন এজন্য। গরমের দিনে এসি ছেড়ে দিয়ে আমিও কিছু রেস্ট নিচ্ছিলাম হাসপাতালে। সকাল থেকে কিছু সময় আম্মার সাথে কথা হলো। হাসপাতালে আম্মার সাথে একা থাকলে আম্মা প্রায়ই পুরনো দিনের গল্প করতেন। সেদিন আম্মাকে বলেছিলাম যে উনার মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সহপাঠী আলতাফ (নামের ভুলও হতে পারে) সাহেবকে নিয়ে একটা লিখা রেডি করতে চাই। আম্মা বলেছিলেন আবারও আমাকে বিস্তারিত বলবেন যা আর পরে হয়ে উঠে নি। জুন মাসেই মাউন্ট এডোরা নয়া সড়ক শাখায় উনি এই গল্প আমাকে বলেছিলেন কিন্তু মনযোগ দিয়ে না শোনায় অনেক কিছুই মনে ছিল না।  এরপর আম্মা কিছুটা ঘুমিয়ে নিলেন। আমি ফুডপান্ডায় ওর্ডার দিয়ে নিজের ও আম্মার জন্য কিছু খাবার আনিয়ে রাখলাম। একটু পরে ঘুম থেকে উঠলে আমরা দুজন মিলে অনেক কথা বলতে বলতে খাবার খেলাম। এর পরে পূর্ব দিকের জানালায় বসে আমি দেখছিলাম এক লোক নিচের খালে বসে মাছ ধরছে। মাছিমপুরে যে জায়গাটায় গরুর বাজার বসে ঈদের সময়, তার ঠিক পেছন দিকে সবজিবাজারের সাথে। আম্মাকে বললাম। অনেক কষ্ট হলেও উঠে এসে বসলেন সেই জানালার কাছে। পরবর্তী প্রায় ২ ঘন্টা আমরা অনেক আগ্রহ নিয়ে দেখলাম বড়শি দিয়ে মাছ ধরা। যে লোক আগে মাছ ধরতে এসেছিল, সে বেশ ভালোই ধরছিল। তাকে দেখে আরেক লোক এগিয়ে আসলো। সে ক্রমাগত জায়গা বদল করে মাছ ধরতে চেষ্টা করছিল কিন্তু পারছিল না, আর অন্য লোক তখনও বেশ ভালোই মাছ ধরছিল। আম্মা আর আমি বেশ মজা করলাম। একজন পারলেও অন্যজন কেন মাছ ধরতে পারছে না এ নিয়ে অনেক মজার কথা হলো। যখনি পরে আসা লোকটা জায়গা বদলাচ্ছিল, আমরা হো হো করে হেসে উঠছিলাম।বিকেলের দিকে আরও কিছু আত্মীয়স্বজন আর বাসা থেকে সবাই আসলে সবাই মিলেই মাছ ধরা দেখা হলো। আম্মাকে মনে হচ্ছিলো যে শারিরীকভাবে আরাম পাচ্ছেন কিছুটা। 
বিকেলে কি হলো, আজমাইন এসে আমার কোল থেকে নামছিলই না। এমনকি আমি মাগরিবের নামাজ পড়তে দাঁড়ালে তখনো সে নামছিল না।
আজমাইনকে কোলে নিয়েই নামাজ পড়লাম। অন্যরা তাতে বেশ কয়েকবার আজমাইনকে নামাতে চাইলেও আম্মা বেশ মজা পেয়েছিলেন। বারকয়েক আমাকে জিজ্ঞেস করলেন যে আমার পিঠের ব্যথার কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা। নামাজের সময়টা অনেকটা প্রাণ খুলেই হাসলেন আম্মা। সেদিটাই যে এমন আনন্দের শেষ দিন, তখনকি আর আমরা কেউ জানতাম?
আমি সেদিনের প্রতিটা মুহুর্তকে মনে করতে পারি। শেষ দিন আমার ব্যাংকের এক কর্মকর্তার অহেতুক তাড়ায় সকালে আম্মাকে দেখে যেতে পারলাম না, আর এসে জ্ঞান থাকা অবস্থায়ও পেলাম না। সেই শনিবারের উজ্জ্বল দুপুর আমার অন্যতম এক আনন্দের স্মৃতি হয়ে থাকবে আজীবন।