ঢাকা , শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
লিসবনে আত্মপ্রকাশ হয় সামাজিক সংগঠন “গোলাপগঞ্জ কমিউনিটি কেয়ারর্স পর্তুগাল “ উচ্ছ্বাস আর আনন্দে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখের উদযাপন করেছে পর্তুগাল যথাযথ গাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে পরিবেশে মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর পালন করেছে ভেনিস প্রবাসীরা ভেনিসে বৃহত্তর সিলেট সমিতির আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত এক অসুস্থ প্রজন্ম কে সাথি করে এগুচ্ছি আমরা রিডানডেন্ট ক্লোথিং আর মজুর মামার ‘বিশ্বকাপ’ ইউরোপের সবচেয়ে বড় ঈদুল ফিতরের নামাজ পর্তুগালে অনুষ্ঠিত হয় বর্ণাঢ্য আয়োজনে পর্তুগাল বাংলা প্রেসক্লাবের ইফতার ও দোয়া মাহফিল সম্পন্ন ঈদের কাপড় কিনার জন্য মা’য়ের উপর অভিমান করে মেয়ের আত্মহত্যা লিসবনে বন্ধু মহলের আয়োজনে বিশাল ইফতার ও দোয়া মাহফিল

বাসায় যেভাবে সময় কাটছে খালেদা জিয়ার

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০৬:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ মার্চ ২০২০
  • / ৪৩৮ টাইম ভিউ

দীর্ঘ ২৫ মাস কারাভোগের পর মুক্তি পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন তিনি। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কোয়ারেন্টিনের প্রথম দিনটি কেমন কেটেছে, বৃহস্পতিবার তা দেখে এসেছেন চিকিৎসকরা। খালেদা জিয়া গুলশানের বাসা ফিরোজার দোতলায় থাকছেন।

আর সেখানে নিকটাত্মীয়দের প্রবেশেও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। খালেদা জিয়ার কক্ষে যেতে হলে পাশের আরেকটি কক্ষে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হওয়ার পাশাপাশি ব্যক্তিগত সুরক্ষা পোশাক পরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে হোম কোয়ারেন্টিনের নিয়মাবলি মেনেই চিকিৎসকরা পর্যবেক্ষণ করেছেন।

সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরের পর খালেদা জিয়ার বাসায় যাওয়া চিকিৎসকদের মধ্যে ছিলেন প্রফেসর ডা. এফএফ রহমান, প্রফেসর ডা. রজিবুল ইসলাম, প্রফেসর ডা. আব্দুল কুদ্দুস, প্রফেসর ডা. হাবিবুর রহমান, প্রফেসর সিরাজ উদ্দিন ও প্রফেসর ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।

এ বিষয়ে ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসকদের পরামর্শে খালেদা জিয়া সেলফ কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। তার অবস্থা আগের মতোই। তবে বাসায় নিজস্ব পরিবেশে অবস্থান করার কারণে তার ভেতরে মানসিক স্বস্তি কাজ করছে।

তিনি আরও জানান, রোজই আমরা কোয়ারেন্টিন-আইসোলেশনের নিয়ম মেনে তাকে পর্যবেক্ষণ করব। আজ আমরা কিছু ওষুধের ডোজ কমিয়ে-বাড়িয়ে দিয়েছি। কোয়ারেন্টিন শেষে ওনার অন্যান্য শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। চিকিৎসকরা খালেদা জিয়াকে মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা চালিয়ে যাবেন

এদিকে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গুলশানের বাসাতেই খালেদা জিয়ার চিকিৎসা হবে। তবে খালেদা জিয়ার মূল চিকিৎসক থাকেন লন্ডনে। তার সঙ্গে পরামর্শ করে ঢাকার চিকিৎসকরা শিগগির খালেদা জিয়ার চিকিৎসা শুরু করবেন। তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান লন্ডনে ও ঢাকার চিকিৎসকদের সঙ্গে সমন্বয় করবেন।

বিষয়টি নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমাদের তো ইচ্ছে ছিল উনি মুক্তি পেলে আমরা বিদেশে পাঠাব উন্নত একটা হাসপাতালে। কিন্তু সেটি তো হয়নি। সে জন্য দেশেই যাতে উনি সর্বোচ্চ চিকিৎসা পান, সেটি আমরা নিশ্চিত করতে চাই।

বুধবার (২৫ মার্চ) বিকালে কারামুক্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল থেকে গুলশানের ভাড়া বাসা ‘ফিরোজা’য় ফিরলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ছাড়া পাওয়ার পর বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীর ভিড় আর স্লোগানের মধ্যে বাসায় পৌঁছেন তিনি।

গেল ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ৭৯ নম্বর সড়কের ওই বাসা থেকে বকশীবাজারের বিশেষ আদালতে দুর্নীতি মামলায় হাজিরা দিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। ওই দিনই সেই আদালত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দণ্ড দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠান। দুর্নীতির দায়ে ২ বছর ১ মাস ১৭ দিন সাজা ভোগের পর ‘মানবিক বিবেচনায়’ সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে ৬ মাসের জন্য মুক্তি পেলেন খালেদা জিয়া। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড নিয়ে কারাগারে বন্দি ছিলেন তিনি।

প্রথমে পুরান ঢাকার পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হলেও গত বছর ১ এপ্রিল থেকে তাকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। আনুষ্ঠানিকতা শেষে বুধবার বিকাল সোয়া ৪টায় হাসপাতাল থেকে বাসার উদ্দেশে রওনা হন খালেদা জিয়া। সোয়া ৫টায় বাসায় পৌঁছেন তিনি। এ সময় তার পরনে ছিল ‘ট্রেডমার্ক’ হয়ে ওঠা গোলাপি শাড়ি, চোখে সানগ্লাস, আর মুখে মাস্ক। ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার নিজে গাড়ি চালিয়ে তাকে বাড়ি পৌঁছে দেন।

পোস্ট শেয়ার করুন

বাসায় যেভাবে সময় কাটছে খালেদা জিয়ার

আপডেটের সময় : ০৬:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ মার্চ ২০২০

দীর্ঘ ২৫ মাস কারাভোগের পর মুক্তি পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন তিনি। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কোয়ারেন্টিনের প্রথম দিনটি কেমন কেটেছে, বৃহস্পতিবার তা দেখে এসেছেন চিকিৎসকরা। খালেদা জিয়া গুলশানের বাসা ফিরোজার দোতলায় থাকছেন।

আর সেখানে নিকটাত্মীয়দের প্রবেশেও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। খালেদা জিয়ার কক্ষে যেতে হলে পাশের আরেকটি কক্ষে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হওয়ার পাশাপাশি ব্যক্তিগত সুরক্ষা পোশাক পরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে হোম কোয়ারেন্টিনের নিয়মাবলি মেনেই চিকিৎসকরা পর্যবেক্ষণ করেছেন।

সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরের পর খালেদা জিয়ার বাসায় যাওয়া চিকিৎসকদের মধ্যে ছিলেন প্রফেসর ডা. এফএফ রহমান, প্রফেসর ডা. রজিবুল ইসলাম, প্রফেসর ডা. আব্দুল কুদ্দুস, প্রফেসর ডা. হাবিবুর রহমান, প্রফেসর সিরাজ উদ্দিন ও প্রফেসর ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।

এ বিষয়ে ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসকদের পরামর্শে খালেদা জিয়া সেলফ কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। তার অবস্থা আগের মতোই। তবে বাসায় নিজস্ব পরিবেশে অবস্থান করার কারণে তার ভেতরে মানসিক স্বস্তি কাজ করছে।

তিনি আরও জানান, রোজই আমরা কোয়ারেন্টিন-আইসোলেশনের নিয়ম মেনে তাকে পর্যবেক্ষণ করব। আজ আমরা কিছু ওষুধের ডোজ কমিয়ে-বাড়িয়ে দিয়েছি। কোয়ারেন্টিন শেষে ওনার অন্যান্য শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। চিকিৎসকরা খালেদা জিয়াকে মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা চালিয়ে যাবেন

এদিকে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গুলশানের বাসাতেই খালেদা জিয়ার চিকিৎসা হবে। তবে খালেদা জিয়ার মূল চিকিৎসক থাকেন লন্ডনে। তার সঙ্গে পরামর্শ করে ঢাকার চিকিৎসকরা শিগগির খালেদা জিয়ার চিকিৎসা শুরু করবেন। তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান লন্ডনে ও ঢাকার চিকিৎসকদের সঙ্গে সমন্বয় করবেন।

বিষয়টি নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমাদের তো ইচ্ছে ছিল উনি মুক্তি পেলে আমরা বিদেশে পাঠাব উন্নত একটা হাসপাতালে। কিন্তু সেটি তো হয়নি। সে জন্য দেশেই যাতে উনি সর্বোচ্চ চিকিৎসা পান, সেটি আমরা নিশ্চিত করতে চাই।

বুধবার (২৫ মার্চ) বিকালে কারামুক্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল থেকে গুলশানের ভাড়া বাসা ‘ফিরোজা’য় ফিরলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ছাড়া পাওয়ার পর বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীর ভিড় আর স্লোগানের মধ্যে বাসায় পৌঁছেন তিনি।

গেল ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ৭৯ নম্বর সড়কের ওই বাসা থেকে বকশীবাজারের বিশেষ আদালতে দুর্নীতি মামলায় হাজিরা দিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। ওই দিনই সেই আদালত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দণ্ড দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠান। দুর্নীতির দায়ে ২ বছর ১ মাস ১৭ দিন সাজা ভোগের পর ‘মানবিক বিবেচনায়’ সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে ৬ মাসের জন্য মুক্তি পেলেন খালেদা জিয়া। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড নিয়ে কারাগারে বন্দি ছিলেন তিনি।

প্রথমে পুরান ঢাকার পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হলেও গত বছর ১ এপ্রিল থেকে তাকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। আনুষ্ঠানিকতা শেষে বুধবার বিকাল সোয়া ৪টায় হাসপাতাল থেকে বাসার উদ্দেশে রওনা হন খালেদা জিয়া। সোয়া ৫টায় বাসায় পৌঁছেন তিনি। এ সময় তার পরনে ছিল ‘ট্রেডমার্ক’ হয়ে ওঠা গোলাপি শাড়ি, চোখে সানগ্লাস, আর মুখে মাস্ক। ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার নিজে গাড়ি চালিয়ে তাকে বাড়ি পৌঁছে দেন।