ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

বালাগঞ্জে ‘ধর্ষণের শিকার’ গৃহবধূ,জনসাধার বলছে এর বিচার হবে কি

বালাগঞ্জ প্রতিনিধি
  • আপডেটের সময় : ১১:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ অগাস্ট ২০২০
  • / ৩৬৬ টাইম ভিউ

সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলায় এক গৃহবধূ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার বোয়ালজুড় ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে বালাগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। লিখিত অভিযোগে মনোহরপুর গ্রামের তছকির আলীর ছেলে রাসেল মিয়াকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযোগ দাখিলের পরিপ্রেক্ষিতে বালাগঞ্জ থানার এসআই জাহিদ দুই দফায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

আজ সোমবার (২৪ আগস্ট) অভিযুক্ত রাসেলের সহযোগী মনোহরপুর গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে আতিকুর রহমানকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে গেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তিনি থানাতেই ছিলেন।

ঘটনার ভিকটিম ওই গৃহবধূর সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমার বিয়ের ৬ মাস হয়েছে। রাসেল আমাকে সবসময় অনুসরণ করত। ঘটনার দিন মাগরিবের নামাজের পর আমি ঘরে একা ছিলাম। এ সময় রাসেল আমার ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ দেয়। ছুরি দিয়ে ভয় দেখিয়ে আমার হাত-পা বাঁধার চেষ্টা করে। আমি জোর-জবরদস্তি করায় সে আমার পেটের নিচে সজোরে দু’টি লাথি মারে। সে আমার মুখ চেপে ধরে এবং আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ কথা কাউকে না বলতে সে আমাকে হুমকি দিয়ে যায়। আমি এ ঘটনার ন্যায়বিচার চাই।’

গৃহবধূর স্বামী বলেন, ‘আমি আমার মামার বাড়িতে থাকি। রাসেল আমার মায়ের চাচাতো ভাই। আমার স্ত্রী ২ মাসের অন্তঃস্বত্তা। রাসেল আমার স্ত্রীর সঙ্গে এমনটি করবে আমি ভাবতেই পারিনি। পুলিশ বলছে ধর্ষণ প্রমাণ করতে হলে আমার স্ত্রীকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাপসপাতালে নিয়ে পরীক্ষা করিয়ে রিপোর্ট নিয়ে আসতে হবে। আমি গরিব মানুষ, আমার হাতে টাকা-পয়সা নেই। স্ত্রীকে নিয়ে কিভাবে পরীক্ষা করাব?’

এদিকে ধর্ষণের ঘটনাটি ধামাচাপা দিয়ে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল উঠেপড়ে লেগেছে বলে জানা গেছে। এতে ভিকটিমের দরিদ্র পরিবার ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কিত রয়েছেন। প্রভাবশালী মহলের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বালাগঞ্জ থানার পুলিশও বলছে- এটি ধর্ষণ নয়, ওই গৃহবধূকে মারধর ও শ্লীলতাহানি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা বালাগঞ্জ থানার এসআই জাহিদ বলেন, ‘এটি ধর্ষণ নয়, টাকা লেনদেনের বিষয়কে কেন্দ্র করে রাসেল নামের ছেলেটা ওই গৃহবধূকে চড়-থাপ্পড় মেরেছে এবং কাপড় ধরে টান দিয়েছে।’

সোমবার সন্ধ্যার দিকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে বালাগঞ্জ থানায় ওসির দায়িত্বে থাকা ওসি (তদন্ত) মুরাদ উল্যাহ বাহার বলেন, ‘ভিকটিম ও তার স্বামীকে থানায় আসার কথা বলা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে পুরো বিষয়টি জানার পর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

পোস্ট শেয়ার করুন

বালাগঞ্জে ‘ধর্ষণের শিকার’ গৃহবধূ,জনসাধার বলছে এর বিচার হবে কি

আপডেটের সময় : ১১:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ অগাস্ট ২০২০

সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলায় এক গৃহবধূ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার বোয়ালজুড় ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে বালাগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। লিখিত অভিযোগে মনোহরপুর গ্রামের তছকির আলীর ছেলে রাসেল মিয়াকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযোগ দাখিলের পরিপ্রেক্ষিতে বালাগঞ্জ থানার এসআই জাহিদ দুই দফায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

আজ সোমবার (২৪ আগস্ট) অভিযুক্ত রাসেলের সহযোগী মনোহরপুর গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে আতিকুর রহমানকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে গেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তিনি থানাতেই ছিলেন।

ঘটনার ভিকটিম ওই গৃহবধূর সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমার বিয়ের ৬ মাস হয়েছে। রাসেল আমাকে সবসময় অনুসরণ করত। ঘটনার দিন মাগরিবের নামাজের পর আমি ঘরে একা ছিলাম। এ সময় রাসেল আমার ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ দেয়। ছুরি দিয়ে ভয় দেখিয়ে আমার হাত-পা বাঁধার চেষ্টা করে। আমি জোর-জবরদস্তি করায় সে আমার পেটের নিচে সজোরে দু’টি লাথি মারে। সে আমার মুখ চেপে ধরে এবং আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ কথা কাউকে না বলতে সে আমাকে হুমকি দিয়ে যায়। আমি এ ঘটনার ন্যায়বিচার চাই।’

গৃহবধূর স্বামী বলেন, ‘আমি আমার মামার বাড়িতে থাকি। রাসেল আমার মায়ের চাচাতো ভাই। আমার স্ত্রী ২ মাসের অন্তঃস্বত্তা। রাসেল আমার স্ত্রীর সঙ্গে এমনটি করবে আমি ভাবতেই পারিনি। পুলিশ বলছে ধর্ষণ প্রমাণ করতে হলে আমার স্ত্রীকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাপসপাতালে নিয়ে পরীক্ষা করিয়ে রিপোর্ট নিয়ে আসতে হবে। আমি গরিব মানুষ, আমার হাতে টাকা-পয়সা নেই। স্ত্রীকে নিয়ে কিভাবে পরীক্ষা করাব?’

এদিকে ধর্ষণের ঘটনাটি ধামাচাপা দিয়ে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল উঠেপড়ে লেগেছে বলে জানা গেছে। এতে ভিকটিমের দরিদ্র পরিবার ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কিত রয়েছেন। প্রভাবশালী মহলের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বালাগঞ্জ থানার পুলিশও বলছে- এটি ধর্ষণ নয়, ওই গৃহবধূকে মারধর ও শ্লীলতাহানি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা বালাগঞ্জ থানার এসআই জাহিদ বলেন, ‘এটি ধর্ষণ নয়, টাকা লেনদেনের বিষয়কে কেন্দ্র করে রাসেল নামের ছেলেটা ওই গৃহবধূকে চড়-থাপ্পড় মেরেছে এবং কাপড় ধরে টান দিয়েছে।’

সোমবার সন্ধ্যার দিকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে বালাগঞ্জ থানায় ওসির দায়িত্বে থাকা ওসি (তদন্ত) মুরাদ উল্যাহ বাহার বলেন, ‘ভিকটিম ও তার স্বামীকে থানায় আসার কথা বলা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে পুরো বিষয়টি জানার পর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’