বাফুফের উদ্যোগে শমশেরনগর ফুটবল একাডেমি কাপ অনূর্ধ্ব ১৫ টুর্নামেন্টে অনিয়ম
- আপডেটের সময় : ০৫:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অগাস্ট ২০২৩
- / ২৫৮ টাইম ভিউ
মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার শমসেরনগর ফুটবল খেলার মাটে বাফুফের উদ্যোগে শমশেরনগর ফুটবল একাডেমির আয়োজনে একাডেমি কাপ অনূর্ধ্ব ১৫ ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়।
১৯ আগষ্ট প্রথম রাউন্ডের খেলা গুলোতেই শুরু হয় অনিয়ম। উল্লেখ করা হয়েছে অনুর্ধ্ব ১৫ কিন্তু বিভিন্ন টিমে ১৮ বছরের খেলোয়াড়দের দেখা মিলছে, অনেক টিম বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বয়স কম দেখিয়ে নকল সার্টিফিকেট সাজিয়ে একাডেমি গুলো খেলার সুযোগ করে দিচ্ছে। সচ্ছতা বজায় রেখে টুর্নামেন্ট পরিচালনা করা উচিত বলে বিজ্ঞজনেরা মনে করেন।
এনিয়ে খেলার মাটে দর্শকরা হট্রগোল করছে, সোস্যাল মিডিয়াতে লেখালেখি হলেও তাতে কর্ণপাত করছে না আয়োজক কমিটি কিংবা বাফুফে।একাডেমি ভালো খেলোয়াড় তৈরী করে থাকে।
অনেকেই মনে করে এভাবে যদি অনিয়ম চলতে থাকে তাহলে কিশোর খেলোয়াড়রা খেলার প্রতি উৎসাহ কমে যাবে এটাই বাস্তবতা। কিন্তু ক্লাবের নামে যে একাডেমি গুলো হচ্ছে তা অনেকেই নিজেদের নাম প্রচারে জন্য করে থাকে, এমনও লোক আছে যারা কখনও খেলা কিংবা ক্রীড়াঙ্গনের সাথে জড়িত ছিলো না, তাহারাই বিভিন্ন নামে ফুটবল একাডেমি করে ধান্দা বসিয়ে আছে।
অনেকে ভালো করে জানেই না ক্লাব আর একাডেমির পার্থক্য কোথায়।
এই কাপের খেলা নিয়ে একজন সাবেক সুনামধন্য খেলোয়াড় এর সোস্যাল মিডিয়ার কমেন্ট হুবহু তুলে ধরা হলো।
যদিও এটি বয়স ভিত্তিক টুর্নামেন্ট কিন্তু একাডেমিগুলো কতটুকু বয়স বিবেচনা করে দল গঠন করেছে তা মাঠেই খেলোয়াড় দেখলেই বুঝা যাবে। আসলে আমরা সবাই জয় পরাজয় কে প্রাধান্য দিয়েই সব কিছুই বিবেচনা করি। এটি একটি ক্লাবের পক্ষে কিছুটা মানানসই হলেও একাডেমির জন্য কোনোভাবেই সঠিক নয়। ক্লাব খেলোয়াড় তৈরি করে না, তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী খেলোয়াড় টাকা দিয়ে সংগ্রহ করে আবার ছেড়ে ও দেয়। তাদের উদ্দেশ্য হলো ফুটবল লীগ বা টুর্নামেন্টে জয় লাভ করা। আর একাডেমির কার্যক্রম কিন্তু ভিন্ন। আমরা এখন যা করছি তা হলো ক্লাবের আলোকে একাডেমি। যদি প্রকৃত পক্ষে আমরা ফুটবলের মান উন্নত করতে চাই তবে আমাদের সবাই কে আরো সচেতন হবে। যেমন একজন ভাল শিক্ষক এবং স্কুল যেভাবে একজন ছাত্রের ভবিষ্যত গড়ে দিতে পারে তদ্রুপ একটি একাডেমি ও একজন ভাল কোচ একজন খেলোয়াড় তৈরি করতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি।