বাজেটে সমস্যা থাকলে সমাধান হবে : প্রধানমন্ত্রী
- আপডেটের সময় : ১১:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ জুন ২০১৭
- / ১৪৯৭ টাইম ভিউ
প্রস্তাবিত বাজেটে কোনো সমস্যা থাকলে সংসদে আলোচনা করে তার সমাধান করা হবে। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে’র যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি একথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, চার লাখ ২৬৬ কোটি টাকার বাজেট পেশ করা হয়েছে। এত বড় বাজেট আর কখনো কেউ দেয়নি।তিনি বলেন, বিএনপি নেত্রী বলেছেন, আওয়ামী লীগের পায়ের নিচে নাকি মাটি নেই। তাঁকে একটা কথা বলতে চাই, মাটি ও মানুষ থেকে আওয়ামী লীগের জন্ম।এ বিষয়ে তিনি আরো বলেন, বিএনপির জন্ম মাটি থেকে হয়নি, তাদের জন্ম ক্ষমতার উচ্চ শিখর থেকে। আর যাদের জন্ম ক্ষমতার উচ্চ শিখর থেকে, তাদের পায়ের নিচে মাটি থাকে না।খালেদা জিয়াকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা মানুষ পুড়িয়েছে, মানুষ পোড়াতে হুকুম দিয়েছে, হুকুমদাতাসহ সবার বিচার হবে।তিনি এও বলেন, খালেদা জিয়া এতিমের টাকা মেরে খাওয়ার মামলা ডিলে করার জন্য ১৪৬ বার আদালত বদল করেছেন। ভয়টা কিসের মামলা ফেস করার?জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং এক্ষেত্রে সাংবাদিকদের সহযোগিতা চাই বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।৯ম ওয়েজবোর্ডের কার্যক্রম চলছে উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন এখন আটকে আছে মালিকদের কারণে। মালিকদের প্রতিনিধি দেয়ার কথা, কিন্তু তারা দেননি। তারা প্রতিনিধি দিলে কাজটা শুরু করে দিতে পারি।এ বিষয়ে তিনি বলেন, মালিকরা সদস্য দেবেন, সুপারিশ দেবেন। আমি চাই প্রত্যেক মালিক ওয়েজবোর্ড মেনে চলবেন। ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াও ওয়েজবোর্ডে সামিল হওয়া উচিত। এটা না ঘরকা না ঘাটকা।বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, বঙ্গবন্ধু বলতেন, রাজনীতি করলে নীতির সঙ্গে করতে হবে, সাংবাদিকতায়ও নীতি থাকতে হবে। নীতিহীন সাংবাদিকতায় দেশ-সমাজ কলুষিত হয় তাতে দেশ ও জাতির ক্ষতি।সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের আবাসন সমস্যা সমাধানে উত্তরায় প্লট নির্মাণ করা হচ্ছে। সেখানে দীর্ঘমেয়াদি কিস্তি দিয়ে তারা প্লট নিতে পারবেন। আমি গণপূর্তমন্ত্রীকে বলেছি, কিছু প্লট আলাদা করে রেখে দিতে।তিনি বলেন, আগে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সরাসরি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হতো। এখন গ্রেপ্তারের আগে সমন জারি হয়। সরাসরি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয় না।এ সময় উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিএফইউজে’র একাংশের সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, ডিইউজে’র সভাপতি শাবান মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী।