বাংলাদেশ দূতাবাস কুয়েতে অবৈধ বাংলাদেশীদের আবেদন করতে জানানো হয়েছে
- আপডেটের সময় : ১০:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০১৯
- / ১৬২০ টাইম ভিউ
কুয়েত থেকে: জীবন সাজাতে কিংবা জীবনের তাগিদে অথবা নিজেকে স্বনির্ভর করে পরিবার কে সচ্ছল করতে অর্ধশিক্ষত বা আমজনতারা প্রবাসে পাড়ি জমায় ।
এদের মধ্যে যারা মধ্যে প্রাচ্য আসে প্রায় ৩০শতাংশ ভিটে মাটি বিক্রি করেই অর্থ নামের সোনার হরিণের জন্য মরুর বুকে পাড়ি জমায় ।
কিন্তু অনেকেরই জন্য বিধিবাম হয়ে যায় তাঁরাই পড়ে মহা বিপদে ।
পরিবার পরিজনের মুখে হাসি ফুটানো রেখেই দিলাম নিজে অভিবাসী হিসাবে বৈধভাবে থাকবে সেই সম্মানজনক স্হানকেও হারাতে হয়, হতে হয় অবৈধ ।
যে কোম্পানীগুলো আনে দেখা যায় তারা কর্মসংস্হানের ব্যাবস্থা করতে পারে না , অনেক কোন্পানীর ঠিকানাও খোজে পাওয়া যায় না . এমতাবস্থায় তারা হয়ে যায় অবৈধ ।
শ্রম দিয়ে কাজ করলেও এক অজানা ভয়ে সবসময় আতংন্কে থাকতে হয়, যেমন “অন্ধকার ঘরে সাপের ভয় “ ।পুলিশী গ্রেফতারের ভয়ে স্বল্প বেতনে কাজ করে কোনো রকমের থাকা খাওয়া আয় করা হয়ে থাকে ।
কিন্তু এই অবৈধ হওয়ার পিছনে যারা দোষী তারা হলো যে কোম্পানীগুলো এনেছে তাদের অপারগতার জন্যই ।
এসব বিবেচনা করেই বাংলাদেশ দূতাবাস এই মহান উদ্যোগ নিয়েছে ।
দেশদিগন্ত কে মুটোফোনে দূতালয় প্রধান আনিসুজ্জামান বলেন যাদের কে কোম্পানী আকামা লাগাতে পারেনি কিংবা ১/২ বছর আকামা লাগানোর পর কোম্পানীর কাগজ পত্র অসম্পূর্ণ থাকার জন্য আকামা লাগাতে পারেনি ।
তাদের কে কি করে এই দেশ কুয়েতে বৈধ করা যায় সেই পরিকল্পনা নিয়ে বাংলাদেশ আমরা এগুচ্ছি সেজন্য আমার দূতাবাস উদ্দ্যেগ নিয়েছি যে কুয়েতের বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ে ধরনা দিয়ে যদি বৈধ করতে পারি তাহলে আমাদের দেশেরই তো অর্থনৈতিক প্রসারিত হবে । সেক্ষেত্রে দূতাবাস সর্বাত্নক সহযোগিতা করবে ।
২০ নভেম্বর কুয়েতস্হ বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিল ও দূতালয় প্রধান আনিসুজ্জান সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপতিতে জানানো হয়েছে কুয়েতে বিভিন্ন কোম্পানীতে ২০১৭ – ২০১৮ ও ২০১৯ সালে আসার পর থেকে যারা উল্লেখিত সমস্যায় পড়েছেন তারা প্রয়োজনীয় তথ্য সহ দূতাবাসের আবেদন করার জন্য ।
আবেদন পত্রের সাথে পাসপোর্ট কপি,আকামার কপি যদি থাকে,দেশ থেকে আসা রিক্রুটিং এজেন্সীর নাম,যার মাধ্যমে আসা নাম মোবাইল নাম্বার, কোম্পানীর নাম ,আবেদন কারীর নাম সাক্ষর সহ দূতাবাসের (শ্রম) বিভাগে জমা দিতে হবে ।