বাংলাদেশে চালু হচ্ছে পেপাল
- আপডেটের সময় : ১২:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ অক্টোবর ২০১৭
- / ১৭৭৩ টাইম ভিউ
অনলাইনে অর্থ লেনদেনের সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক গেটওয়ে পেপাল অবশেষে বাংলাদেশে চালু হতে যাচ্ছে। আগামী ১৯ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিতব্য ‘বাংলাদেশ আইসিটি এক্সপো’ শীর্ষক তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক মেলায় প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় সেবাটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।
সোমবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সমকালকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক পেপাল বিশ্বের ২০০টিরও বেশি দেশে ২৫টি মুদ্রায় অনলাইনে অর্থ লেনদেনের সুবিধা দিয়ে থাকে। এ তালিকায় এবার যুক্ত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
জানা গেছে, সোনালী, রূপালী, অগ্রণী, জনতাসহ দেশের নয়টি ব্যাংকে দেশজুড়ে পেপাল সেবা পাওয়া যাবে। এ সেবা চালু হলে অনলাইনে কাজ করেন এমন ফ্রিল্যান্সাররা বৈধ পথে সহজে ব্যাকিং চ্যানেলের মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন।
২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশে পেপাল আনার বিষয়ে সরকারি-বেসরকারি পর্যায় থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে ব্যাকিং খাতে নীতিমালা সংশ্লিষ্ট জটিলতায় বাংলাদেশে আসতে রাজি হচ্ছিল না প্রতিষ্ঠানটি। সর্বশেষ চলতি বছরের এপ্রিল মাসে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার পেপালের কেন্দ্রীয় অফিসে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান বিপণন কর্মকর্তা জুলিয়ান কিং-এর সঙ্গে সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর কয়েক দফা বৈঠকের পর নীতিমালা সংক্রান্ত সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা অপসারণের পর দেশে পেপাল চালু করতে সম্মত হয় প্রতিষ্ঠানটি। এরই অংশ হিসেবে পেপালের মালিকানাধিন অনলাইনে আর্থিক লেনদেনে ‘জুম’ সেবা দেশে চালু করে পেপাল। জুমের পর এবার দেশে সরাসরি পেপাল সেবাই চালু হচ্ছে বলে নিশ্চিত করে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জানান, উদ্বোধন পর মেলায় আসা ফ্রিল্যান্সাররা সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর বুথ থেকে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে।
এদিকে আউটসোর্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে পেপাল ছাড়াও পেওনিয়ার, পেইজা, নেটলারের মতো গেটওয়ে রয়েছে। তবে এসব গেটওয়ে অধিকাংশ মার্কেটপ্লেস সমর্থন করে না। ক্ষেত্রে বিশেষ এসব গেটওয়ে সমর্থন করলেও পেপালের তুলনায় উচ্চ ফি দিতে হয়। সফল ফ্রিল্যান্সার আল আমীন কবির বলেন, টাকা তোলার সুযোগ না থাকলেও বাধ্য হয়ে ফ্রিল্যান্সাররা অনলাইন মার্কেপ্লেসে কাজের পারিশ্রমিক পেপালে নেন। উত্তোলন যোগ্য না হওয়ায় দেশের ফ্রিল্যান্সারদের কয়েক মিলিয়ন ডলার পেপালে সবসময় পড়ে থাকে। এছাড়া মার্কেটপ্লেসের বাইরে প্রাতিষ্ঠানিক কিংবা ব্যক্তিগত যোগাযোগে অনলাইনের মাধ্যমে কাজ নিলেও ক্লায়েন্ট (কাজ প্রদানকারী) সবসময় পেপালে বিল দিয়ে থাকেন। পেপালের অভাবে ফ্রিল্যান্সাররা মধ্যস্বত্বভোগী মার্কেটপ্লেস বাদ দিয়ে ক্লায়েন্টের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে ব্যক্তিগতভাবে কাজ কাজ নিতে পারছেন না। পেপাল চালু হলে এসব সমস্যার সমাধান হবে। এটি বাংলাদেশের জন্য দারুন সুখবর বলে জানান তিনি।